১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডে ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজতে কমিশন গঠন করতে হবে

প্রকাশিতঃ 11:59 am | August 16, 2021

নিজস্ব সংবাদদাতা, কালের আলো:

মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা জানিয়েছেন, ১৫ আগস্ট হত্যাকান্ডের ষড়যন্ত্রকারী ও নেপথ্য কুশীলবদের খুঁজে বের করতে কমিশন গঠন করতে হবে। এই হত্যাকন্ডের সাথে জড়িত ও সুবিধাভোগীদের মুখোশ উম্মোচন করে জনগণের সামনে তাদের আসল পরিচয় তুলে ধরতে হবে। ষড়যন্ত্রকারীদের আইনের আওতায় এনে ও বিদেশে পলাতক বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনীদের দেশে ফিরিয়ে এনে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

রবিবার (১৫ আগস্ট) ঢাকায় বাংলাদেশ শিশু একাডেমির সম্মেলনকক্ষে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সায়েদুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান লাকী ইনাম, মহাপরিচালক জ্যোতি লাল কুরী, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রাম চন্দ্র দাস, জয়িতা ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফরোজা খান, অতিরিক্ত সচিব ফরিদা পারভীন ও জাতীয় মহিলা সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মাকসুরা নূরসহ মন্ত্রণালয় ও দপ্তর-সংস্থার কর্মকর্তারা। অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি মন্ত্রণালয়ের দপ্তর-সংস্থার মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা সংযুক্ত ছিলেন।

প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, বঙ্গবন্ধু ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চেয়েছিলেন। স্বাধীনতা অর্জনের পর বঙ্গবন্ধু যখন অর্থনৈতিক মুক্তি ও সবুজ বিপ্লবের ডাক দিলেন তখনই ষড়যন্ত্রকারীরা জাতির পিতাকে হত্যা করে। পরাজয়ের গ্লানি মোচনের জন্য মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারীরা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে। সপরিবারে হত্যার কারণ ছিল বঙ্গবন্ধুর পরিবারের নেতৃত্বে যেন স্বাধীনতার মূল্যবোধ ও শক্তি এদেশে আর ঘুরে দাঁড়াতে না পারে।

প্রতিমন্ত্রী জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের বাংলাদেশ শিশু একাডেমির কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, বঙ্গবন্ধুর জীবন আদর্শ ও চেতনা শিশুদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে। আজকের শিশুরাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ২০৪১ সালের উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেবে।

সভাপতির বক্তব্যে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম বলেন, ঘাতকেরা জাতির পিতাকে হত্যার মাধ্যমে তার চেতনা ও আদর্শকে মুছে ফেলতে চেয়েছিল। কিন্তু তা করতে পারেনি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও চেতনা বাংলাদেশে চিরপ্রবাহমান।

আলোচনা অনুষ্ঠান আগে ভার্চ্যুয়াল পদ্ধতিতে শিশুরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও চেতনার ওপর ছড়া, কবিতা ও স্বরচিত কবিতা পরিবেশন করে।

আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের শহিদ সদস্যদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

কালের আলো/আরএস/এমএইচএস