ঢাকেশ্বরী মন্দিরের জমি নিয়ে ৬৫ বছরের দ্বন্দ্ব নিরসন করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রকাশিতঃ 11:49 pm | October 15, 2018
নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:
ঢাকেশ্বরী মন্দিরের দেড় বিঘা জমির মালিকানা নিয়ে প্রায় ৬৫ বছরের পুরানো দ্বন্দ্ব ছিল। সেই দ্বন্দ্ব নিরসন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (১৫ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দিরের পূজা মণ্ডপ পরিদর্শনে গিয়ে জমি সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনের কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরের জমি সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দকে আশ্বস্ত করে বলেছেন, সরকার ইতোমধ্যেই এ ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
তিনি বলেন, ‘এই ঢাকেশ্বরী মন্দিরে জমি নিয়ে একটা সমস্যা ছিল। ইতোমধ্যেই সেই সমস্যাটা আমরা সমাধান করে ফেলেছি। বাকি কাজটা আপনাদের ওপরই নির্ভরশীল।’
এ সময় হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ এটিকে এবার পূজার শ্রেষ্ঠ উপহার বলে অভিহিত করেন। ঢাকেশ্বরী মন্দির কমিটির সভাপতি নির্মল চ্যাটার্জী বলেন, আমরা বলেছিলাম এটা দেবত্তর সম্পত্তি, অন্যরা বলেছিলো এটা তাদের নিজেদের। প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে ৬৫ বছরের একটা ঝামেলার অবসান হলো।
আমরা বলবো, পূজা উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এই সমস্যার সমাধান করে, এই সম্পত্তি আমাদের উপহার দিয়েছেন- যোগ করেন তিনি।
নির্মল চ্যটার্জী বলেন, মন্দিরে ঢোকার বাম পাশের বস্তি ও দোকান-পাট গুলো দখলে আছে। প্রধানমন্ত্রী আমাদের বলেছেন, জমি সংক্রান্ত এ ঝামেলা অবসান হয়েছে। আমি সনাতন সম্প্রদায়কে এটা উপহার দিয়ে গেলাম।
দখলের বিষয়ে মন্দির কমিটির সভাপতি বলেন, আইনগত একটা প্রক্রিয়া আছে। যারা এত দিন মালিকানা দাবি করেছিল, তাদের দখলে কিছু রাইটসের ব্যাপার রয়েছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের দোষ ছিল কিছু। সেগুলো শেষ করে আমরা এটা দখলে নেব।
ঢাকেশ্বরী মন্দিরে শুভেচ্ছা বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আপনারা নিরাপদে যার যার ধর্ম স্বাধীনভাবে পালন করবেন। কারা বেশি সংখ্যায়, কারা কম সংখ্যা বড় কথা নয়। যে যার ধর্ম উৎসবের সঙ্গে, স্বাধীনভাবে পালন করবেন। সেটা নিশ্চিত করতেই বাংলাদেশ গড়ে উঠেছে। ধর্ম যার যার উৎসব সবার। প্রতিটি উৎসবে আমরা সকলে এক হয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে উৎসব পালন করি। ধর্মীয় সম্প্রতি স্থাপনে বাংলাদেশ বিশ্বে একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
কালের আলো/ওএইচ