বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ময়মনসিংহে কলেজছাত্রীকে ছুরিকাঘাত

প্রকাশিতঃ 12:13 pm | January 20, 2018

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | কালের আলো:

বিয়ের প্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ায় মামাতো ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হয়েছেন এক কলেজছাত্রী। ১৯ জানুয়ারি বিকেলে ময়মনসিংহ শহরের গাঙ্গিনারপাড়ে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে সহপাঠিরা ওই কলেজছাত্রীকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।

ময়মনসিংহ ২নং টাউন ফাড়ির ইনচার্জ সজিব রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আহত কলেজ ছাত্রী ফারহানা আক্তার রীমা (১৮) ফুলবাড়িয়া উপজেলার শিবগনজ বাজারের হোমিও চিকিৎসক হেলাল উদ্দিনের মেয়ে। সে মুমিনুন্নেছা সরকারী মহিলা কলেজের অর্থনীতি বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।

জানা গেছে, রীমাকে ছুরিকাঘাত করেছে তার মামাতো ভাই আবুল কাশেম। কাশেম ঢাকার একটি গামের্ন্টসের কর্মী।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) এস এ নেওয়াজী সাংবাদিকদের জানান, আহত রিমা ও কাশেম পূর্ব পরিচিত এবং তাদের মধ্যে আগেই সম্পর্ক থাকতে পারে। হঠাৎ মনমালিন্য হওয়ায় এমন ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আবুল কাশেমকে গ্রেফতারের অভিযান চলছে বলেও জানান তিনি।

রীমার বাবা হেলাল উদ্দিনের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, পড়াশোনার জন্য রীমাকে ময়মনসিংহ শহরের গোলকিবাড়িতে ছাত্রী মেসে পাঠান। প্রেম ও বিয়ের জন্য কয়েক বছর ধরে আবুল কাশেম রীমাকে উত্যক্ত করেছিল। বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে শুক্রবার বিকেলে কৌশলে ডেকে নিয়ে ময়মনসিংহ শহরের গাঙ্গিনারপাড়ে ওই ছাত্রীকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।

হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. মাহাবুব হোসেন জানান, ওই ছাত্রীর কানের নিচে, বুকে ও হাতে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। রক্তক্ষরণ হওয়ায় তাকে ক্যাজ্যুয়ালটি ইউনিটে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ফারহানা আক্তার রীমা জানান, দীর্ঘদিন ধরে আবুল কাশেম তাকে উত্যক্ত করে আসছে। বিশেষ প্রয়োজনে দু’শো টাকা ধার চেয়ে শুক্রবার বিকালে তাকে শহরের গাঙ্গিনারপাড়ে ডেকে আনে। এরপর সেখানে আবারও বিয়ের প্রস্তাব দেয় কাশেম। তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় একপর্যায়ে ‘পাগলামি’ শুরু করে এবং ক্ষিপ্ত হয়ে ক্ষুর দিয়ে উপর্যুপরি তাকে আঘাত করে পালিয়ে যায়।