বাংলাদেশকে ১০-১২ বিলিয়ন ডলার ঋণ দিচ্ছে এডিবি

প্রকাশিতঃ 10:25 am | September 22, 2021

নিজস্ব সংবাদদাতা, কালের আলো:

আগামী ৫ বছরে ১২০০ কোটি মার্কিন ডলার (১২ বিলিয়ন) সহায়তা (ঋণ ও অনুদান) দেবে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। সংস্থাটি বাংলাদেশের জন্য নতুন কান্ট্রি পার্টনারশিপ স্ট্র্যাটেজি (সিপিএস) চালু করেছে এবং নতুন এই কৌশলপত্রের আওতায় এ সহায়তা দেবে এডিবি।

প্রতিযোগিতা, কর্মসংস্থান এবং বেসরকারি খাতের উন্নয়ন বৃদ্ধি, সবুজ প্রবৃদ্ধি ও জলবায়ু অভিযোজন বৃদ্ধি এবং মানব পুঁজি ও সামাজিক সুরক্ষা জোরদার করাই নতুন এই কৌশলপত্রের লক্ষ্য ধরা হয়েছে।

মঙ্গলবার এডিবি থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, সিপিএস চুক্তির আওতায় ২০২১-২০২৫ অর্থবছরে সরকারি ও বেসরকারি বিনিয়োগের মাধ্যমে ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে বাংলাদেশ।

সিপিএস-এর মাধ্যমে করোনা সংকট থেকে দ্রুত আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে ঘুরে দাঁড়াবে বাংলাদেশ। এ সময়ে বাংলাদেশকে ১০ থেকে ১২ বিলিয়ন ডলার ঋণ দেবে এডিবি। প্রতি ডলার ৮৫ টাকা ধরে বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ দাঁড়ায় ৮৫ হাজার কোটি থেকে এক লাখ দুই হাজার কোটি টাকা।

এডিবির দক্ষিণ এশিয়ার মহাপরিচালক কেনিচি ইয়োকোয়ামা বলেন, টেকসই প্রবৃদ্ধি ও যথাযথ পলিসি ব্যবস্থা বাংলাদেশকে উন্নয়নের ভালো ফলাফল অর্জনে সহায়তা করেছে। তবে দেশের শিল্প ও রফতানি ভিত্তিতে বৈচিত্র্য প্রয়োজন। কৃষি পণ্য, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, হালকা ইঞ্জিনিয়ারিং ও ফার্মাসিউটিক্যালসের পণ্য উৎপাদন, রফতানি সামগ্রীর বৈচিত্র্য, প্রতিযোগিতামূলক বৃদ্ধি এবং নতুন বাজারে প্রবেশে বাংলাদেশের অর্থনীতি গতি পেয়েছে। সিপিএস-করোনা সংকট থেকে উত্তরণ, দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখবে এবং যথেষ্ট কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে।

এডিবি বাংলাদেশের বেসরকারি খাতের কার্যক্রম আরও প্রসারিত করবে এবং অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে উচ্চ স্তরের সুসম্পর্ক অব্যাহত রাখবে। ব্যাংকিং খাতের উন্নতি, ব্যবসা করার সহজতা, ব্যবসা ও বিনিয়োগের পরিবেশ বেসরকারি খাতের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে এবং অর্থনৈতিক বৈচিত্র্যকে উন্নীত করতে সহায়তা করবে।

সিপিএস চুক্তির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জলবায়ু পরিবর্তন ও অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য দেশের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হবে। পানি, নদী এবং উপকূলীয় অঞ্চলের সমন্বিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবগুলো সরাসরি মোকাবিলা করার জন্য সহায়তা করে এডিবি। সিপিএস কর্মসূচির সম্প্রসারণের সময় জলবায়ু পরিবর্তনকে সংহত করার জন্য একটি সামগ্রিক পদ্ধতি প্রয়োগ করা হবে।

এডিবি জানিয়েছে, বাংলাদেশে দারিদ্র্য কমানোর প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। বৈষম্য ও দারিদ্র্য কমাতে সুনির্দিষ্ট কর্মকাণ্ডের মধ্যে রয়েছে সরকারের সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির কার্যকর বাস্তবায়ন, অধিকতর ন্যায়সঙ্গত গ্রামীণ ও আঞ্চলিক উন্নয়ন, স্বল্পমূল্যের আবাসন এবং মৌলিক সেবায় বিনিয়োগ-দরিদ্রদের জন্য মানসম্মত স্বাস্থ্য ও শিক্ষা। আগামী পাঁচ বছরে বাংলাদেশের লক্ষ্য, দারিদ্র্য ২০ দশমিক পাঁচ থেকে ১৫ দশমিক ছয় শতাংশ এবং চরম দারিদ্র্যকে ১০ দশমিক পাঁচ শতাংশ থেকে সাত দশমিক চার শতাংশে কমিয়ে আনা।

এডিবির নতুন কৌশল তার অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার বাস্তবায়নকে সহযোগিতা করার জন্য সরকারের সঙ্গে কাজ করবে, যার লক্ষ্য উচ্চ সম্পদ সংগ্রহের প্রয়োজনীয়তা, উৎপাদন ও রফতানির বৈচিত্র্য এবং টেকসই নগরায়ন।

কালের আলো/জেএসডি/এমএম