জাফরুল্লাহর এভাবে বলা উচিত হয়নি: শওকত মাহমুদ

প্রকাশিতঃ 5:45 pm | October 22, 2018

কালের আলো ডেস্ক:
সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদকে নিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা জাফরুল্লাহ চৌধুরীর এভাবে বলা উচিৎ হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ।

রবিবার রাতে চ্যানেল টুয়েন্টি ফোরে ‘মুক্তবাগ’ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন শওকত মাহমুদ। এসময় তার সাথে অতিথি ছিলেন দৈনিক আমাদের নতুন সময়ের সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খান।

শওকত মাহমুদ বলেন, ‘জাফরুল্লাহ চৌধুরী যে কথা সেনাপ্রধান নিয়ে বলেছেন সেটা ক্ষমা চেয়েছেন। আমি মনে করি দেশের দায়িত্ববান ব্যক্তি সম্পর্কে কথা বলার আগে তার নিয়ে খোঁজ খবর নিয়ে কথা বলা ভালো।’

জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও জমি দখলের মামলাও হয়েছে তিনটি। এ বিষয়ে শওকত মাহমুদ বলেন, ‘তিনি (জাফরুল্লাহ) বিরোধী দলের রাজনীতি করেন বলেই বা জাতীয় ঐক্য ফ্রন্ট গঠনে ভূমিকা রাখছেন বলেই সরকার লোকজন দিয়ে করাচ্ছে।’

জাফরুল্লাহ চৌধুরী ছাড়াও টেলিভিশন লাইভে এসে নারী সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে ‘চরিত্রহীন’ বলায় ঐক্যফ্রন্ট নেতা মইনুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা নিয়েও কথা হয় এই আলোচনায়।

শওকত মাহমুদ বলেন, ‘ব্যারিস্টার মইনুল ইসলামে সাহেব যে কথাটি বলেছেন সেটা আমরা গ্রহণ করতে পারি না। একজন নারীকে তিনি সরাসরি যে কথাটি বলেছেন কোন ভাবে সমর্থন করা যায় না।’

‘তবে ব্যারিস্টার মইনুলকে নিয়ে যে ঝড় উঠেছে মাঝে মাঝে মনে হচ্ছে বেশি হয়েছে। কারণ উনি ঐক্যফ্রন্ট গঠনে ভূমিকা রাখছেন। কারণ এই দেশে নারী নির্যাতন, নারীকে অবমাননা করা, শামীম ওসমান আইভি রহমানকে যেভাবে টকশোর মধ্যে কথাগুলো বলেছিলেন তখন তো প্রতিবাদ লক্ষ্য করিনি।’

এসব ঘটনা নির্বাচনে রাজনীতির অংশ কি না- জানতে চাইলে শওকত মাহমুদ বলেন, ‘আমি মনে করি না নির্বাচন এখনও রাজনীতিমুখী হয়েছে। সরকারের শাসক দল নির্বাচন রাজনীতিমুখী রাজনীতি করতে চাইছে। কিন্তু জাতীয় ঐক্য ফ্রন্ট নির্বাচনকে সুষ্ঠু করার জন্য একটা আন্দোলন করতে চাইছে।’

‘ধরেন তিনমাস পর নির্বাচন হওয়ার কথা। প্রার্থীরা নমিনেশন পেয়ে এলাকায় এলাকায় কাজ করার কথা। কিন্তু দেখা যাচ্ছে বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীরা বাড়িঘর ছাড়া। কারও বিরুদ্ধে গায়েবী মামলা, কারও বিরুদ্ধে পুরনো মামলা। ঘরেই যদি না থাকতে পারি তাহলে তিনমাস পর কি নির্বাচন হবে? আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, পুলিশ প্রশাসন সবই ওই ভাবে কাজ করছে। আবার নির্বাচন কমিশনের বিরোধের কথা বাদই দিলাম। এখন প্রতিদ্বন্দ্বিতামুখী রাজনীতি নেই। রাজনীতি এখন থমকে আছে।’।

কালের আলো/এমএইচ