হাইকোর্টের দেয়া মইনুল-জাফরুল্লাহর আগাম জামিন স্থগিত চায় রাষ্ট্রপক্ষ
প্রকাশিতঃ 8:48 pm | October 22, 2018

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো :
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রাক্তন উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মানহানির দুই মামলায় ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে করা চাঁদাবাজির দুই মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদন করা হয়েছে।
সোমবার আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় রাষ্ট্রপক্ষ এ আবেদন করে।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রাফি আহমেদ বলেন, আমরা জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদন করেছি। আগামীকাল চেম্বার বিচারপতির আদালতে স্থগিত আবেদনগুলো শুনানির জন্য আসবে।
গতকাল ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মানহানির দুই মামলায় তাকে ৫ মাসের আগাম জামিন দেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি মুহাম্মদ আবদুল হাফিজ ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীমের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
একই দিন আশুলিয়ায় জমি দখলের চেষ্টা, ভাঙচুর ও হত্যাচেষ্টার দুই মামলায় ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকেও আগাম জামিন দেন হাইকোর্ট।
গত ১৬ অক্টোবর রাত ১২টার দিকে ৭১ টেলিভিশনে মিথিলা ফারজানা উপস্থাপিত ’৭১ জার্নাল’ নামক টকশোতে সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে ‘চরিত্রহীন’ বলেন ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন। ওই বক্তব্যকে কেন্দ্র করে আজ ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নূরের আদালতে মাসুদা ভাট্টি বাদী হয়ে মামলা করেন। ওই মামলায় ব্যারিস্টার মইনুলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
পাশাপাশি মইনুল হোসেনের একই বক্তব্যকে কেন্দ্র করে ২১ অক্টোবর তার বিরুদ্ধে জামালপুরের আদালতে ২০ হাজার কোটি টাকার মানহানির মামলা করেন যুব মহিলা লীগের জামালপুর শাখার আহ্বায়ক ফারজানা ইয়াসমীন লিটা।
এদিকে, গত ১৫ অক্টোবর রাতে আশুলিয়া থানায় জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুরের মোহাম্মদ আলী (৫৬) ও নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের আনিছুর রহমান (৫৫)।
মামলার এজহারে বলা হয়, আশুলিয়া থানাধীন পাথালিয়া মৌজায় ৪.২৪ একর জমির ক্রয় সূত্রে মালিক মোহাম্মদ আলী, আনিছুর রহমান ও তাজুল ইসলাম। তাদের মালিকানাধীন জমিতে কাঁটাতারের বেষ্টনী দিয়ে টিনশেড ঘর বানিয়ে গাছ রোপণ করেছেন। কিন্তু আসামিরা দীর্ঘদিন ধরে এ জমি দখল করার চেষ্টা করছেন। সর্বশেষ গত ১৪ অক্টোবর আসামিরা ওই জমিতে হাজির হয়ে বলেন, জাফরুল্লাহ চৌধুরীর নির্দেশে এ জমি গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কাছে হস্তান্তর করতে হবে অথবা গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রকে ১ কোটি টাকা জরিমানা দিতে হবে। বাদীরা এ টাকা দিতে অস্বীকার করলে আসামিরা ভাঙচুর করেন। এর ৪ দিন পরে ১৯ অক্টোবর চাঁদা দাবি, ভাঙচুর ও জমি দখলের অভিযোগ এনে আশুলিয়া থানায় আরো একটি মামলা দায়ের করা হয়। ওই দিন রাতে আশুলিয়ার ডেন্ডাবর এলাকার বাসিন্দা হাসান ঈমাম বাদী হয়ে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীসহ দু্জনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৩০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
কালের আলো/এনএম