ব্যারিস্টার মইনুলের বিরুদ্ধে আরও চার মামলা

প্রকাশিতঃ 8:55 pm | October 22, 2018

ডেস্ক রিপোর্ট, কালের আলো:

নারী সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে নিয়ে অশালীন মন্তব্য করার অভিযোগে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে সোমবার রংপুর, কুমিল্লা, ভোলা ও কুড়িগ্রামে মামলা হয়েছে। এছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এক মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ইংরেজি দৈনিক অবজারভারের ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি আয়েশা আহমেদ লিজা বাদী হয়ে জেলার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা আহমেদের আদালতে সোমবার দুপুরে ব্যারিস্টার মইনুলের বিরুদ্ধে মামলা করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে বিকেলে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। বাদীর অভিযোগ, তার ওই বক্তব্যে নারী সাংবাদিক সমাজকেই অবমাননা করা হয়েছে।

রংপুর: নারীবিদ্বেষী বক্তব্য দিয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে সোমবার বিকেলে নগরীর মুলাটোল এলাকার মিলি মায়া বেগম বাদী হয়ে রংপুরের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ব্যারিস্টার মইনুলের বিরুদ্ধে মামলা করেন। জেলা জজ আদালতের পিপি আবদুল মালেক জানান, তারা আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা চেয়েছেন।

কুমিল্লা: ব্যারিস্টার মইনুলের বিরুদ্ধে গত রোববার কুমিল্লার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মানহানি মামলা করেছেন সুবীর নন্দী নামে একজন আইনজীবী। সোমবার শুনানি শেষে আগামী ২৩ ডিসেম্বর অধিকতর শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছেন বিচারক সোহেল রানা।

ভোলা: মাসুদা ভাট্টি সম্পর্কে অশ্লীল মন্তব্য করার প্রতিবাদে সোমবার জেলার অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শরীফ মো. ছানাউল হকের আদালতে ব্যারিস্টার মইনুলের বিরুদ্ধে ৫০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে মানহানি মামলা করেছেন ভোলা জেলা যুব মহিলা লীগের আহ্বায়ক খাদিজা আক্তার স্বপ্না। বিচারিক তদন্তের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

কুড়িগ্রাম: গত রোববার কুড়িগ্রামে ব্যারিস্টার মইনুলের বিরুদ্ধে মামলার পর গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। এ মামলা হাইকোর্ট থেকে ছয় সপ্তাহের জন্য আগাম জামিন পেয়েছেন তিনি।

এদিকে, জামালপুর ও ঢাকায় দুই মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়। এই দুই মামলায়ও আগাম জামিন নিয়েছেন ব্যারিস্টার মইনুল। তবে জামিন স্থগিত চেয়ে আদালতে আবেদন করেছে রাষ্ট্রপক্ষ।

গত ১৬ অক্টোবর একাত্তর টেলিভিশনের টক শো ‘একাত্তরের জার্নাল’ এ ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টি প্রশ্ন করেন, ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে আপনি যে হিসেবে উপস্থিত থাকেন- আপনি বলেছেন আপনি নাগরিক হিসেবে উপস্থিত থাকেন। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই বলছেন, আপনি জামায়াতের প্রতিনিধি হয়ে সেখানে উপস্থিত থাকেন।’

মাসুদা ভাট্টির এই প্রশ্নে রেগে গিয়ে মইনুল হোসেন বলেন, ‘আপনার দুঃসাহসের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ দিচ্ছি। আপনি চরিত্রহীন বলে আমি মনে করতে চাই। আমার সঙ্গে জামায়াতের কানেকশনের কোনো প্রশ্নই নেই। আপনি যে প্রশ্ন করেছেন তা আমার জন্য অত্যন্ত বিব্রতকর।’