বাণিজ্যমেলার স্থায়ী প্রদর্শনী কেন্দ্রের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিতঃ 11:40 am | October 21, 2021

নিজস্ব সংবাদদাতা, কালের আলো:

রাজধানীর পূর্বাচলে নবনির্মিত ‘বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্র’ উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) সকালে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন তিনি। আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলাসহ বিভিন্ন পণ্য-ভিত্তিক মেলার স্থায়ী ভেন্যু হিসেবে বছরব্যাপী ব্যবহার হবে এই কেন্দ্র।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, অনেকের সন্দেহ থাকতে পারে উন্নয়নশীল দেশ হলে বোধ হয় অনেক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবো। আসলে যেসব সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবো তার চেয়ে বেশি সুবিধা আমরা পাবো। আমাদের বাণিজ্য বাড়বে, রপ্তানি বাড়বে, রপ্তানি সুবিধা পাবো।

তিনি বলেন, ডিজিটাল ডিভাইস হবে সবচেয়ে বড় রপ্তানি পণ্য। পাট ও পাটজাত পণ্যও আমরা রপ্তানি করতে পারি। আমাদের দেশে বিনিয়োগ হবে, তেমনি আমরাও বিদেশে বিনিয়োগ করতে পারবো। সে ক্ষেত্রে আমাদের মন্ত্রণালয়কে আরও বিশেষ উদ্যোগী হতে হবে।

জানা যায়, ২০ একর জমির ওপর ২৪ হাজার ৩৭০ বর্গমিটার জায়গায় গড়ে তোলা হয়েছে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্র। ৭৭৩ কোটি টাকা ব্যয়ে এটি নির্মাণ করেছে চীনের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান চাইনিজ স্টেট কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন। এর মধ্যে চীন সরকারের অনুদান ৫২০ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। এছাড়া বাংলাদেশ সরকার দিয়েছে ২৩১ কোটি টাকা এবং রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) অর্থায়ন করেছে ২১ কোটি ২৭ লাখ টাকা।

আধুনিক প্রদর্শনী কেন্দ্রটির মিলনায়তনের দৈর্ঘ্য ১৫ হাজার ৪১৮ বর্গমিটার। এতে স্টল আছে ৮০০টি। দোতলা পার্কিং ভবনের জায়গা ৭ হাজার ৯১২ বর্গমিটার। ৫০০টি গাড়ি রাখা যাবে এখানে। এছাড়া মূল ভবনের সামনে খোলা জায়গায় আরও একহাজার গাড়ি পার্কিংয়ের সুযোগ রয়েছে।

প্রদর্শনী কেন্দ্রের দৃষ্টিনন্দন ঢেউ খেলানো ছাদের নিচে রয়েছে ২ লাখ ৬৯ হাজার বর্গফুটের দুটি পৃথক প্রদর্শনী হল। এছাড়া আছে ৪৭৩ আসন বিশিষ্ট একটি মাল্টি ফাংশনাল মিলনায়তন, ৫০ আসনের কনফারেন্স কক্ষ, ৬টি নেগোসিয়েশন মিটিং রুম, ৫০০ আসনের রেস্তোরাঁ, শিশুদের খেলার জায়গা, নামাজের রুম, ২টি অফিস, মেডিক্যাল বুথ, গেস্ট রুম, ১৩৯টি টয়লেট, বিল্ট-ইন পাবলিক অ্যাড্রেস সিস্টেম, নিজস্ব পানি শোধনাগার, স্টোর রুম, সিসিটিভি কন্ট্রোল রুম, অটোমেটেড সেন্ট্রাল এসি সিস্টেম, ইনবিল্ট ইন্টারনেট, ওয়াইফাই, ঝরনা, অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা, ইন-বিল্ট পতাকা স্ট্যান্ড এবং রিমোট-কন্ট্রোলড প্রবেশপথ।

কালের আলো/এসবি/পিএমকে