ই-কমার্স গ্রাহকের অর্থ ফেরত নিয়ে হাইকোর্টের রুল
প্রকাশিতঃ 2:03 pm | November 01, 2021

নিজস্ব সংবাদদাতা, কালের আলোঃ
পেমেন্ট করে অর্ডার দেওয়ার পরও পণ্য না দিয়ে গ্রাহকদের গেটওয়েতে আটকে থাকা অর্থ ফেরত (রিফান্ড) দেওয়া নিয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
সোমবার (১ নভেম্বর) বিচারপতি মো.মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো.কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এম. আব্দুল কাইয়ুম এবং ব্যারিস্টার সাবরিনা জেরিন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) এ সংক্রান্ত বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশনা চেয়ে রিট আবেদন করেন ভোক্তা অধিকার নিয়ে কাজ করা বেসরকারি সংস্থা ‘কনশাস কনজ্যুমার্স সোসাইটি (সিসিএস)’।
সিসিএস’র পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সাবরিনা জেরিন ডাকযোগে এ নোটিশ পাঠান।
নোটিশে ই-কমার্সে অর্ডার করেছেন কিন্তু পণ্য পাননি এমন গ্রাহকদের অর্থ কেন ফেরত দেওয়া হবে না তা আগামী সাত দিনের মধ্যে জানতে চাওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ই-কমার্সে পেমেন্টের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ঘোষিত নিয়ম (এস্ক্রো সিস্টেম) সংশোধন করে গ্রাহকের টাকা স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফেরত পাওয়ার স্থায়ী পদ্ধতি কেন চালু করা হবে না তা বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ও ব্যাংকটির পেমেন্ট সিস্টেম বিভাগের মহাব্যবস্থাক, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ও একই মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক, মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস বিকাশ ও নগদ, পেমেন্ট গেটওয়ে এসএসএল ওয়্যারলেস, ফোস্টার পে এবং সূর্য পে- এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
ব্যারিস্টার সাবরিনা জেরিন বলেন, আমরা সিসিএস থেকে প্রায় সাড়ে তিনশ ভুক্তভোগীর সুনির্দিষ্ট তথ্য পেয়েছি। এস্ক্রোতে টাকা আটকে থাকা নিয়ে বেশ জটিলতা হচ্ছে। এ সমস্যা সমাধানের জন্য আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। নোটিশের জবাব না পাওয়ায় এ রিট দায়ের করা হয়।
ই-কমার্সে কোনো গ্রাহক পণ্যের অর্ডার দিলে তার টাকা বর্তমানে পেমেন্ট গেটওয়েতে আটকে থাকে। পণ্য ডেলিভারি হওয়ার পর প্রমাণ জমা দিয়ে সেই ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান টাকা ছাড় পান। গত ৩০ জুন বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেম বিভাগ থেকে এক নির্দেশনায় এ পদ্ধতি চালু করা হয়। কিন্তু গ্রাহক পণ্য না পেলেও ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের অনুমতি ছাড়া টাকা ফেরত পান না। ফলে গ্রাহকের টাকা আটকে থাকছে। এ পদ্ধতি চালু হওয়ার পর থেকে ইতোমধ্যে গ্রাহকের কয়েকশ কোটি টাকা গেটওয়েগুলোতে আটকে আছে।
কালের আলো/টিআরকে/এসআইএল