‘সৌদি সবুজায়ন’ : সহযাত্রী হতে চায় বাংলাদেশ, মিলেছে ইতিবাচক সাড়া

প্রকাশিতঃ 10:35 am | November 04, 2021

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট, কালের আলো :

জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় যুগান্তকারী এক উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। মরুর দেশে সবুজ বিপ্লব ঘটাতে তিনি সূচনা করতে যাচ্ছেন ‘সৌদি সবুজায়ন’ কর্মপরিকল্পনা।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশিদের ‘ভাই’ সম্বোধন হাইলের পুলিশপ্রধানের

ভ্রাতৃপ্রতিম দেশটির এই গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগে সহযাত্রী হতে চায় বাংলাদেশ। নিজেদের এই আগ্রহের কথা দেশটির হাইলের গভর্নর প্রিন্স আবদুল আজিজ বিন সাদ’কে জানিয়েছেন রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বিপিএম (বার)।

বুধবার (০৩ নভেম্বর) তিনি হাইলের গভর্নরের সঙ্গে বৈঠককালে এই আগ্রহের বিষয়টি তুলে ধরে বলেন, ‘সৌদি আরবের সবুজায়ন উদ্যোগের আওতায় ১০ বিলিয়ন বৃক্ষরোপণ কর্মসুচিতে বাংলাদেশ তাঁদের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা দিয়ে সহযোগিতা করতে ইচ্ছুক।’

মরুভূমির জন্য উপযোগী ও সহনশীল বৃক্ষের চারা সরবরাহ করার বিষয়েও কথা বলেন রাষ্ট্রদূত। এ সময় ইতিবাচক সাড়া দিয়ে হাইলের গভর্নরও সৌদি আরবে বৃক্ষরোপণ ও মরুভূমিতে বিলুপ্ত বৃক্ষসমূহ পূনরুদ্ধারে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে যৌথ গবেষণার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন।

বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা ও জ্ঞানের ভিত্তিতে সৌদি আরবের সাথে কারিগরি ও বৈজ্ঞানিক ক্ষেত্রে সহযোগিতা করলে দু’দেশ সবুজায়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে আরো নিবিড়ভাবে কাজ করতে পারে বলে গভর্নর জানান।

এ বিষয়ে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সৌদি আরবের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ গবেষণার ও প্রস্তাব দেন তিনি। এছাড়া, হাইল গভর্নর বাংলাদেশের সাথে পানি ব্যবস্থাপনা নিয়ে যৌথ গবেষণার প্রস্তাব দেন যার মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্জিত জ্ঞান ব্যবহারের মাধ্যমে দুদেশ উপকৃত হতে পারে।

প্রসঙ্গত, ভবিষ্যত প্রজন্মের জীবনমানের উন্নয়ন ও সুরক্ষার লক্ষ্যে সৌদি সবুজায়ন মূলত দেশটির একটি জাতীয় উদ্যোগ। এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে বৈশ্বিক জলবায়ু উন্নয়নের ভিত্তিতে কার্বন নি:সরণ চার শতাংশেরও বেশি কমানো সম্ভব হবে।

চালু হবে নবায়নযোগ্য শক্তি কর্মসূচি। এর মাধ্যমে আগামী ৯ বছরের মধ্যে নবায়নযোগ্য শক্তিকে ০.৩ শতাংশ থেকে ৫০ শতাংশে বৃদ্ধি করা যাবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী হাইলের জেলখানায় বিভিন্ন কারণে বন্দী বাংলাদেশী অভিবাসীদের মুক্তির ব্যাপারে গভর্নরের সহযোগিতা কামনা করেন।

হাইলের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানের কথা তুলে ধরে রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের সুন্দরবন, কক্সবাজার ও বিভিন্ন পর্যটন স্থানের সাথে সহযোগিতার মাধ্যমে দুদেশের মধ্যে পর্যটক বৃদ্ধির বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এছাড়া দুদেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য
বিনিময়ের কথাও রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন।

রাষ্ট্রদূত করোনা আক্রান্ত অভিবাসীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা ও করোনা ভাইরাসের টিকা প্রদান করায় সৌদি সরকারের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।

কালের আলো/এমএইচ/এসআইএল