‘ভবিষ্যত ও দেশপ্রেমিক নেতৃত্ব তৈরি করতেই ডাকসু নির্বাচনের উদ্যোগ’
প্রকাশিতঃ 10:56 am | January 22, 2018
অ্যাক্টিং এডিটর, কালের আলো:
‘প্রাচ্যের অক্সফোর্ড’ খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) সিনেটে রেজিস্টার্ড গ্রাজুয়েট প্রতিনিধি নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব অধ্যাপক ডা: এম.এ.আজিজ। আওয়ামী লীগপন্থী গণতান্ত্রিক ঐক্য পরিষদের প্যানেলে নিরঙ্কুশ বিজয়ী ২৪ প্রতিনিধির একজন তিনি। তাঁর প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ১০ হাজার ৫১২।
মর্যাদাপূর্ণ এ নির্বাচনে জয়ের পর এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রাণের দাবির সঙ্গে একাত্নতা পোষণ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন অনুষ্ঠানের উদ্যোগ নিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চান এ রাজনীতিক। রোববার (২১ জানুয়ারি) রাতে কালের আলো’র সঙ্গে আলাপকালে এমন ভাবনার কথাই জানিয়েছেন তিনি।
অসীম দৃঢ়তার সঙ্গে অধ্যাপক ডা: এম.এ.আজিজ বলেছেন, ‘বাঙালির স্বাধিকার ও স্বাধীনতার আন্দোলনে আশার প্রদীপ জ্বালিয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)। ছাত্রদের অধিকার আদায় ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি দেশের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব তৈরির ‘আতুড়ঘর’ হিসেবে বিবেচনা করা হয় ডাকসুকে।
অথচ দীর্ঘ ২৮ বছর ধরে ডাকসু নির্বাচন হয় না। জাতির ভবিষ্যত নেতৃত্ব তৈরি করতেই ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠানের উদ্যোগ নেয়া হবে। এর মাধ্যমে ছাত্র সমাজের অধিকার ফিরিয়ে দেয়া হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটে নব-নির্বাচিত রেজিস্টার্ড গ্রাজুয়েট প্রতিনিধি অধ্যাপক ডা:এম.এ.আজিজ বলেন, ‘আদর্শিক, সৃজনশীল, মেধাবী ও দেশপ্রেমিক নেতৃত্ব তৈরি করতে ডাকসু নির্বাচনের বিকল্প নেই। এ নির্বাচনের উদ্যোগ নেয়াই হবে আমাদের (সিনেট সদস্য) অন্যতম প্রধান কাজ।’
বিজয়ের অনুভূতি জানিয়ে তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক ঐক্য পরিষদের এ নিরঙ্কুশ বিজয় প্রমাণ করে দেশের শিক্ষিত মানুষ মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষে। এরই ধারাবাহিকতায় বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও মানুষ আরেকবার ব্যালট বিপ্লবের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু কন্যা, জননেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে টানা তৃতীয়বার ক্ষমতায় আনবে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ও উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অক্ষুন্ন রাখতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্যকে সব ধরণের সহযোগিতা করারও অঙ্গীকার করেন ওয়ান ইলেভেনে শেখ হাসিনা মুক্তি আন্দোলনে চিকিৎসক অঙ্গণে পরিচিত মুখ ডা:এম.এ.আজিজ।
ইতিহাস-ঐতিহ্যে ভরপুর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চিত্রপট তুলে ধরে তিনি বলেন, ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৭১’র মহান মুক্তিযুদ্ধসহ দেশের গণতান্ত্রিক প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জড়িত। ঢাবি চত্বর ঘুরলে বাংলাদেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সঙ্গে অনায়েসেই পরিচিত হওয়া যায়।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের সাবেক শিক্ষার্থীদের মধ্যে অধ্যাপক ডা: এম.এ.আজিজই প্রথম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) সিনেটে রেজিস্টার্ড গ্রাজুয়েট প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন। ময়মনসিংহ বিভাগ থেকে একমাত্র এ প্রতিনিধি ভোটের হিসাবেও রীতিমতো চমক সৃষ্টি করেছেন।
ময়মনসিংহের ‘চরাঞ্চলের বন্ধু’ অধ্যাপক ডা:এম.এ.আজিজ ‘শেখ হাসিনা অন্ত:প্রাণ’ নেতা হিসেবেই পরিচিত। একাদশ সংসদ নির্বাচন দূয়ারে কড়া নাড়ায় ময়মনসিংহ-৪ (সদর) আসন থেকে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে মাঠে জোর তৎপরতা চালানো নেতাদের নাম উচ্চারণ করলে টপেই চলে আসছে তাঁর নাম।
ঘনিয়ে আসা সংসদ নির্বাচন ও মনোনয়ন রাজনীতির আগে মর্যাদাপূর্ণ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) সিনেটে রেজিস্টার্ড গ্রাজুয়েট প্রতিনিধি নির্বাচনে তাঁর সাফল্য আশাবাদী করে তুলেছে তার অনুসারী-অনুগামী ও দলীয় নেতা-কর্মীদের। তাদের বিশ্বাস, ঢাবি সিনেটের মতো সংসদীয় রাজনীতিতেও বাজিমাত করবেন খ্যাতিমান এ চিকিৎসক নেতা।
কালের আলো/এএ