বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়িক সম্পর্ক গড়ে তুলতে আগ্রহী সৌদির ব্যবসায়ীরা
প্রকাশিতঃ 10:49 am | November 17, 2021

কূটনৈতিক সংবাদদাতা, কালের আলো:
বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়িক সম্পর্ক গড়ে তুলতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে সৌদি আরবের উত্তর সীমান্ত অঞ্চলের আরআর চেম্বার অব কমার্স। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) সৌদিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারীর সঙ্গে বৈঠককালে আরআর চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি নওয়াফ মাজাল আল দাইদি এসব কথা জানান।
সৌদি ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করলে তাদের সব সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা হবে বলে উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত। চলতি মাসের ২৮-২৯ তারিখে বিডা কর্তৃক বাংলাদেশে আয়োজিত বিনিয়োগ সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যোগদানের জন্য আরআর-এর ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রদূত জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, সৌদি ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের আওতায় বিনিয়োগ করতে পারে। সম্প্রতি এ বিষয়ে সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হওয়ায় এ সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
আরআর চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের ব্যবসার বিস্তারিত তথ্যসহ তাদের প্রোফাইল আরআর চেম্বারের ব্যবসায়ীদের প্রদানের অনুরোধ জানান।

এ সময় রাষ্ট্রদূত ও উত্তর সীমান্ত অঞ্চল প্রদেশের ব্যবসায়ীদের বিস্তারিত তথ্য প্রদানের অনুরোধ করেন যাতে দুদেশের ব্যবসায়ীরা তথ্য বিনিময়ের মাধ্যমে ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়িক সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারে। চেম্বার সভাপতি আরআর চেম্বারের বিভিন্ন তথ্য উপস্থাপন করেন ও সৌদি আরব থেকে বাংলাদেশ উন্নত মানের কাপড় বোনার উল আমদানি করতে পারে বলে জানান।
রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী ঔষধ শিল্পে বাংলাদেশের অগ্রগতি তুলে ধরে বাংলাদেশ থেকে প্রয়োজনীয় ঔষধ আমদানির জন্য ব্যবসায়ীদের অনুরোধ জানান। এছাড়া বাংলাদেশের হস্তশিল্প, সিরামিক, তৈরি পোশাক ও চামড়াজাত পণ্য আমদানির জন্য ও ব্যবসায়ীদের অনুরোধ করেন রাষ্ট্রদূত।
এর আগে এদিন রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী উত্তর সীমান্ত অঞ্চল প্রদেশের পুলিশ প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রিয়াদ বিন বদর আল হুজাইমির সঙ্গে বৈঠক করেন।

এ সময় রাষ্ট্রদূত যে সব বাংলাদেশি গৃহকর্মী তাদের গৃহকর্তাদের বাসা থেকে পালিয়ে আসে তাদের পুনরায় গৃহকর্তাদের কাছে ফেরত না দিয়ে সেফহোমে আশ্রয় দিয়ে দূতাবাসকে অবহিত করার জন্য অনুরোধ করেন।
এছাড়া পাসপোর্ট বা ইকামার মেয়াদোত্তীর্ণ বাংলাদেশি অভিবাসীদের যেন গ্রেফতার না করা হয় সে ব্যাপারে পুলিশ প্রধানকে অনুরোধ করেন। পুলিশ প্রধান এ সব বিষয়ে ইতিবাচক আশ্বাস প্রদান করেন।
এ সব সভায় দূতাবাসের ইকনমিক কাউন্সেলর মুর্তুজা জুলকার নাঈন নোমান ও কাউন্সেলর মো. বেলাল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

কালের আলো/এসবি/এমএইচএ