সবজি বিক্রি করে জীবন চালায় হাসান-হোসাইন

প্রকাশিতঃ 5:59 pm | January 22, 2018

সুলতান আহমেদ, মান্দা (নওগাঁ) থেকে:

দারিদ্রতাই জীবনে বড় বাঁধা হাসান ও হোসাইনের। নিজস্ব জায়গা জমি বলতে তেমন খুব একটা বেশি নেই। আর তাই এই বার্ধক্য বয়সে এসেও আজ তারা রৌদ, গরম, ঝড়, বৃষ্টি উপেক্ষা করে এমনকি প্রতিনিয়ত খোলা জায়গায় প্রকৃতির সাথে লড়াই সংগ্রামের মধ্যে বছরের প্রতিটা মূহুর্ত অতিক্রম করে নওগাঁর মান্দা উপজেলার সতিহাটে মৌসুমী ফল যেমন-বাতাবী লেবু, মিষ্টি আমড়া, পেয়ারা সহ বিভিন্ন প্রকারের সবজি বেচে জীবন চলে তাদের দুই সহোদর জমজ ভাইয়ের।

তারা হলেন উপজেলার গনেশপুর ইউপি’র শ্রীরামপুর গ্রামের মৃত ইদন খাঁর ছেলে। তারা জানায় দুজনের মধ্যে যখন কেও একজন অসুস্থ হয়, তখন অন্যজনও নাকি অসুস্থ হয়ে পড়ে। আর এরই ধারাবাহিকতায় কিছুদিন পূর্বে উভয়েই টি.বি রোগে আক্রান্ত হয়ে এই বয়সে কোন কাজ কর্ম করতে না পারায় এবং সংসার চালাতে গিয়ে অর্থনৈতিক সংকটে পড়ে বাধ্য হয়েই সবজির ব্যবসা শুরু করেন।
এ থেকে যা আয় হয় তা দিয়ে চলে হাসান (৫৯) ও হোসাইনের (৫৯) সংসার। দারিদ্রের কষাঘাতে জড়জরিত হওয়ায় তারা প্রায় ১ যুগের বেশি সময় ধরে এভাবে জীবিকা নির্বাহ করে আসতেছে। হাসানের ১ ছেলে ২ মেয়ে এবং হোসেনের শুধু ২ মেয়ে বলে তারা জানায়। বয়সের ভারে ভারাক্রান্ত হাসান ও হোসাইনের বাড়িভিটা সহ আনুমানিক ২৫ কাঠা জমিতে চাষাবাদ করে এবং ব্যবসা থেকে কষ্টার্জিত অর্থ দিয়ে কোনমতে চলে তাদের জীবন।

এমতাবস্থায় তাদের ব্যবসায়ীক বাস্তব জীবন সম্পর্কে জানতে চাইলে হাসান ও হোসাইন বলেন, “কিছুই করার নাই, সবই ভাগ্য! আমরা গরীব মানুষ, আল্লাহ্ চালায় তাই কোনমতে পেটে-ভাতে চলি। কারো কাছে হাত পাততে হয় না, এটাই আল্লাহর কাছে হাজার শুকরিয়া। তবে সরকারীভাবে যদি কোন আর্থিক সহযোগিতা পাই তবে বাকীটা জীবন হয়তোবা এর চেয়ে একটু হলেও স্বচ্ছলভাবে কাটাতে পারবো।” আর এর জন্য তারা সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা কামনা করেছেন।

 

কালের আলো/এসএ/ওএইচ