বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ঢাকা ম্যারাথন, বিশ্ববাসী জানবে জাতির পিতার লড়াই-সংগ্রামের কথা

প্রকাশিতঃ 12:27 am | December 06, 2021

বিশেষ সংবাদদাতা, কালের আলো :

সেই নিষ্পাপ মুখ। রূপসী বাংলার স্নিগ্ধ মুখশ্রী তার দু’নয়নজুড়ে। যিনি ভেঙেছিলেন হাজার বছরের পরাধীনতার শৃঙ্খল। উপহার দিয়েছিলেন স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। উন্নত সমৃদ্ধ এবং মর্যাদাশীল জাতি হিসেবে বিশ্বের বুকে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছিলেন বাঙালিকে।

ঝকঝকে আকাশে আজও পতপত উড়ে পতাকার মতো জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মুখ।

বাঙালি জাতির ইতিহাসের মহানায়ক-মহামানব’র শান্ত ফটোগ্রাফের খানিক দূরেই ভালোবাসা আর শ্রদ্ধার প্রতীক লাল-সবুজের পতাকা। পাশেই দু’ দৌড়বিদের ম্যারাথন।

এসবের মাঝখানে রক্তিম লাল আর স্নিগ্ধ সবুজ জমিনের ওপরে দেশের মানুষের গর্ব আর আস্থার প্রতীক বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর লোগো। নিচে লেখা ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ঢাকা ম্যারাথন-২০২২’।

নজরকাড়া এমন অবয়বেই প্রস্তুত করা হয়েছে ২০২২ সালে রাজধানীতে অনুষ্ঠিতব্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ঢাকা ম্যারাথন’র লোগো।

অপরিমেয় উচ্ছ্বাস-আনন্দের আবাহনে রোববার (০৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকা সেনানিবাসের কুর্মিটোলা গল্ফ ক্লাবে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ঢাকা ম্যারাথন-২০২২’ এর লোগো উন্মোচন করেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ড.এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আয়োজিত এই ম্যারাথনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর লড়াই-সংগ্রামের কথা বিশ্ববাসী নতুনভাবে জানতে পারবে বলে মনে করেন সেনাপ্রধান।

এই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী।

এ সময় সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার উজ জামান, সেনাবাহিনীর চীফ অব জেনারেল স্টাফ (সিজিএস) লেফটেন্যান্ট জেনারেল আতাউল হাকিম সারওয়ার হাসানসহ অন্যান্য সামরিক ও অসামরিক উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সংস্লিষ্ট সূত্র জানায়, বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আয়োজনে চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি প্রথমবারের মতো আয়োজন করা হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ঢাকা ম্যারাথন।

ওই সময় বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়ামের সামনে থেকে শুরু হয় ম্যারাথন দৌড় প্রতিযোগিতা। দেশি-বিদেশি দৌড়বিদের অংশগ্রহণে ওই ম্যারাথনের নাম উঠে যায় আন্তর্জাতিক ম্যারাথন অ্যাসোসিয়েশনের (এইমস) ক্যালেন্ডারে।

কালের আলো/এমএএএমকে