অন্তরে স্বাধীনতার চেতনার বহ্নিশিখা; ২৬ আনসার সাইক্লিস্টের সাহসী পথযাত্রায় মুগ্ধ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
প্রকাশিতঃ 9:50 pm | December 13, 2021

বিশেষ সংবাদদাতা, কালের আলো :
স্বাধীনতাকামী বাঙালি জাতির মুক্তির মহাকাব্য রচনার দিন ২৬ মার্চ। ধন্য সেই পুরুষ, অবিসংবাদিত নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে মুক্তিপাগল দামাল সন্তানরা বাংলার আকাশে ছড়িয়ে দিয়েছিল স্বাধীনতার লাল সূর্যের আলো। অত:পর উঠেছিল স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের সূর্য। বীরের জাতি বাঙালি পূর্ণ করেছে স্বাধীনতার ৫০ বছর, সুবর্ণজয়ন্তী। একই সঙ্গে বাঙালির চির আরাধ্য পুরুষ বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী।
বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশের অদম্য অগ্রযাত্রায় নিজেদের সম্পৃক্ত করেছে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী। দেশের স্বাধীনতা অর্জনেও গৌরবৌজ্জ্বল ভূমিকা রয়েছে তাদের। বিজয়ের মাসে স্বাধীনতার বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসে উদ্বেলিত হওয়ার সময়টিতে দেশের সর্ববৃহৎ সুশৃঙ্খল এই বাহিনী গ্রহণ করে নতুন এক দু:সাহসী অভিযাত্রা। রক্তমাখা সূর্যোদয়কে নতুন আভায় রাঙিয়ে দিতে ১ হাজার ৫০ কিলোমিটার সাইক্লিং শোভাযাত্রা।
চলতি বছরের বিজয়ের মাসের সূচনা দিনে পঞ্চগড় থেকে শুরু হওয়া এই বর্ণাঢ্য অভিযাত্রায় সম্পৃক্ত হয়েছিল ২৬ নারী-পুরুষ সাইক্লিস্ট। যেখানে অংশ নিয়েছিলেন জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত সাইক্লিস্ট রেহানা-তরিকুলরাও। টানা ১২ দিন ১৮ জেলা ঘুরে এই শোভাযাত্রার পর্দা নেমেছে রোববার (১২ ডিসেম্বর) পর্যটন নগরী কক্সবাজারে।
দীর্ঘ এই পথযাত্রায় স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর ক্ষণে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর লড়াকু সাইক্লিস্টরাও যেন নিজেদের হৃদয়পটে সৃষ্ট গভীর ক্ষত থেকে বিজয়ের আনন্দে একাকার হয়েই উচ্চারণ করেছেন সেই অমর পঙ্ক্তিমালা- ‘রক্ত দিয়ে নাম লিখেছি, বাংলাদেশের নাম’।
বর্ণময় এই সাইক্লিং শোভাযাত্রার সমাপ্তির দিনটিকে উৎসবের রঙে রাঙিয়ে দিতে সেদিন সন্ধ্যায় কক্সবাজার শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম মাঠে আয়োজন করা হয় বর্ণাঢ্য এক অনুষ্ঠানের। যেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি।

বিজয়ের মাসে তিনি বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সাইক্লিস্টদের অদম্য পথযাত্রাকে দেশ এবং বাহিনীটির জন্য আরও একটি অভূতপূর্ব বিজয় হিসেবেই মোটা দাগে উপস্থাপন করেন। তিনি হৃদয়ের অতল থেকেই শুভেচ্ছা জানান দেশবরেণ্য সাইক্লিস্টদের এবং বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মিজানুর রহমান শামীমকে।
উৎসবমুখর দিনটিতে দেশীয় শিল্পীদের গান ও নৃত্য এবং কবিতা আবৃতির পরিবেশনা যেমন ছিল তেমনি ১০০টি ফানুস উড়িয়ে এবং ৫০টি আতশবাজির ঝিলমিল আলোতে আলোকিত করা হয় বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের আকাশ। ছিল মনমুগ্ধকর লেজার শো। যেখানে তুলে আনা হয় ৫২ থেকে স্বাধীনতার ৫০ বছরের অগ্রযাত্রার সুবর্ণরেখা। অনবদ্য এসব আয়োজন উপভোগ করেন মন্ত্রী, এমপি থেকে শুরু করে স্থানীয়রাও।
অনন্য আয়োজনের শুরুর গল্প
কর্মে বীর, চিন্তায় ধীর আর দেশপ্রেমে অধীর-এই আপ্তবাক্য যেন একেবারেই মানানসই বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মিজানুর রহমান শামীমের সঙ্গে। তিনি বাহিনীটির মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণের পর থেকেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের তত্ত্বাবধানে আধুনিক ও পেশাদার বাহিনী হিসেবে আনসার ও ভিডিপিকে গড়ে তুলতে গ্রহণ করেন নানামুখী কর্মপরিকল্পনা। নিজ বাহিনীর ভাবমূর্তিকে নব উচ্চতায় উপস্থাপনেও বাস্তবায়ন করেন সুদৃঢ় পদক্ষেপ।
স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বাহিনীর সব স্থাপনায় মুজিব কর্নার নিশ্চিত করেছেন। তৈরি করছেন পিতা মুজিবের ভাস্কর্য।

স্বাধীনতা থেকে উন্নয়নের মহাসড়কে বাংলাদেশ-ম্যুরাল নির্মাণ কাজ চলমান, বিভিন্ন প্রামাণ্য চিত্র নির্মাণ, বাহিনীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাক্ষাৎকার ও আলোকচিত্র ধারণ, ৫০ টি জাতীয় পতাকা নিয়ে ৫০ মিনিটের শোভাযাত্রা, প্রতি জেলায় বাহিনীর একজন করে অস্বচ্ছল সদস্যের জন্য ঘর নির্মাণ, অর্কেস্ট্রা দলের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বিশেষ মুখপত্র প্রকাশের উদ্যোগ গ্রহণের পাশাপাশি বাস্তবায়ন করছেন ডিজি।
এসবের পাশাপাশি সৃষ্টিশীল চিন্তাশক্তির অধিকারী এই মহাপরিচালকের মাথায় আসে সম্পূর্ণ ভিন্ন এক কনসেপ্ট। লাখ লাখ মানুষের সর্বোচ্চ ত্যাগের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীনতার সুমহান চেতনাকে সুবর্ণজয়ন্তীর বিশেষ ক্ষণে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ছড়িয়ে দিতে ২৬ মার্চের সঙ্গে মিল রেখে নিজ বাহিনীর ২৬ জন নারী-পুরুষ সাইক্লিস্টদের নিয়ে সাইক্লিং শোভাযাত্রার বাস্তবায়ন করেন।
চলতি বছরে পহেলা ডিসেম্বর দেশের উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের আনসার জেলা কমান্ড্যান্টের কার্যালয় থেকে বেলুন ও শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে এই সাইক্লিং শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ডিজি। রক্তের দামে কেনা লাল সবুজের পতাকা নিয়ে সেদিনই শুরু হয় সাইক্লিং অভিযাত্রা।
গত সোমবার (০৬ ডিসেম্বর) টুঙ্গিপাড়ায় গিয়ে পৌঁছে ২৬ সাইক্লিস্ট। এরপর তাদের সঙ্গে নিয়ে টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে বিনম্র শ্রদ্ধা জানান মহাপরিচালক।

এ সময় অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খন্দকার ফরিদ হাসানসহ বাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় তৎপর আনসার
কক্সবাজারে নান্দনিক আয়োজনের অনিন্দ্য সুন্দর মুহুর্তে প্রধান অতিথি হিসেবে নিজের চেনা স্টাইলেই বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর বীরত্বগাঁথার প্রশংসা করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, দেশের স্বাধীনতা অর্জনে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর গৌরবৌজ্জ্বল অবদান রয়েছে। ঠিক তেমনি স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় তারা সদা তৎপর রয়েছে।
আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর উন্নয়নে সরকার কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এই বাহিনীকে আরও শক্তিশালী করতে বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণসহ গুরত্বপূর্ণ কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে সরকার।’

বিজয়ের মাসের গুরত্ব উপস্থাপন করতে গিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত কাজগুলো বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একে একে করে যাচ্ছেন। জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর কারণে আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দেখে যেতে পারছি। এটা অনেক বড় সৌভাগ্যের বিষয়।’
সাইক্লিং শোভাযাত্রা আয়োজনের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘বিজয়ের মাসে এটি আরেক বিজয়। এ বিজয় আনসার-ভিডিপি’র এবং আমাদের। এই বিজয়ের দিনে আমি আপনাদের সঙ্গে থাকতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি। এমন কীর্তির জন্য বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালকসহ সকল সাইক্লিস্ট এবং এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীকে আমি আন্তরিক অভিনন্দন জানাই।’
বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীকে আরও ঢেলে সাজানো হবে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে প্রতি মুহূর্ত ও যথাসময়ে কাজ করছে আনসার বাহিনী। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণে আনসার বাহিনীর অবদান অপরিসীম।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আনসার বাহিনীর একটি নাট্য দল রয়েছে। বাঙালির হাজার বছরের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের ভান্ডারের কথা তারা স্মরণ করিয়ে দেয়।
সব ভালো কাজে আনসার বাহিনী রয়েছে তাই এই বাহিনীকে আরও যুগোপযোগী করতে সরকার বদ্ধপরিকর বলেও মন্তব্য করেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, আনসার বাহিনীর সকল প্রয়োজন সরকার ধাপে ধাপে পূরণ করছে। বিশ্বের কোথাও এতো বড় সংখ্যার কোন বাহিনী আছে বলে আমার জানা নেই। আনসার বাহিনীকে নিয়ে আমরা গর্ব করি। এই বাহিনী আরও সফল ও মজবুত হয়ে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে ধরে রাখবে।

বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে এই আয়োজন
অনুষ্ঠানে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ডিজি মেজর জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম স্বাগত বক্তব্যে বলেন, মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে দেশের সবাইকে উদ্বুদ্ধ করতে আনসার বাহিনী এই সাইক্লিং শোভাযাত্রার আয়োজন করেছিল।
তিনি বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর দেশের ক্রীড়াঙ্গণে সদর্প পথচলা ও অর্জনের নানা দিক তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী দেশের বৃহৎ শৃঙ্খলা বাহিনী। ১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী ক্রীড়াঙ্গনে পদচারণা শুরু করে। ক্রীড়া ক্ষেত্রে অসমান্য অবদান রাখার মাধ্যমে এই বাহিনী সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা ‘স্বাধীনতা পদক অর্জন করে।
স্বাধীনতার পরবর্তীতে পুরুষ ও মহিলা খেলোয়াড়দের নিয়ে খেলাধুলায় এ বাহিনীর নতুন দিগন্তের সূচনা হয়। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্রীড়াঙ্গনে বিভিন্ন ইভেন্টের সাথে মিল রেখে নতুন নতুন দল গঠন করা হয়।
তিনি বলেন, খেলাধুলার বিভিন্ন ইভেন্টে শক্তিশালী দল গঠনের মাধ্যমে এ বাহিনীর খেলোয়াড়রা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্রীড়াঙ্গনে তাদের উজ্জ্বল প্রতিভা ও সফলতার স্বাক্ষর রেখে চলেছে। বঙ্গবন্ধু নবম বাংলাদেশ গেমস-২০২০ এ ১৩৩টি স্বর্ণ, ৮০টি রৌপ্য ও ৫৭টি তাম্র পদক অর্জন করে এক নাগাড়ে পঞ্চম বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে এই বাহিনীর ক্রীড়া দল।

সমাপনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কারা?
সমাপনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, কক্সবাজার-২ আসনের সংসদ সদস্য জাফর আলম, কক্সবাজার-৪ আসনের শাহীন আক্তার, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য কানিজ ফাতেমা আহমেদ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন ও অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খন্দকার ফরিদ হাসান।
দেশসেরা সাইক্লিস্টদের উচ্ছ্বাস
মহান স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে এমন আনন্দঘন আয়োজনে অংশ নিতে পেরে উচ্ছ্বসিত দেশসেরা সাইক্লিস্টরাও।
পরপর ৫ বার বাংলাদেশ গেমসের শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখা বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর এই সাইক্লিস্টরা বলেন, আমাদের নতুন অভিজ্ঞতা হয়েছে। এর আগে আমরা কখনও এই ধরনের সফর করিনি। পুরো অভিযাত্রা ছিল উপভোগ্যকর। এই অভিজ্ঞতা আমাদের সমৃদ্ধ করবে।

কালের আলো/এমএএএমকে