বাংলাদেশ-মালদ্বীপের মধ্যে চার এমওইউ-চুক্তি সই

প্রকাশিতঃ 3:49 pm | December 23, 2021

নিজস্ব সংবাদদাতা, কালের আলো:

বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে দুই দেশের মধ্যে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, দ্বৈত কর পরিহার, বন্দি বিনিময় এবং যুব ও ক্রীড়া ক্ষেত্রে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

আরও পড়ুন: শেখ হাসিনা-সোলিহের উপস্থিতিতে নব দিগন্তের উন্মোচন করলেন জেনারেল শফিউদ্দিন-শামাল!

বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মদ সলিহর মধ্যে দ্বি-পক্ষীয় আলোচনা শেষে উভয় নেতার উপস্থিতিতে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

দ্বৈত কর পরিহার চুক্তিসহ বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা ও চিকিৎসা বিজ্ঞান (নবায়ন) সমঝোতা স্মারক এবং উভয় দেশের যুব ও ক্রীড়া উন্নয়নের ক্ষেত্রে সহযোগিতার সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।

৪ এমওইউ ও চুক্তি
১. দক্ষ স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগে মালদ্বীপের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এমওইউ সই। দুই দেশের পক্ষে এমওইউতে সই করেন মালদ্বীপের স্বাস্থ্যমন্ত্রী আহমেদ নাসিম ও বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

আরও পড়ুন: মালদ্বীপকে বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী হওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

২. স্বাস্থ্যসেবা ও চিকিৎসাবিজ্ঞানে মালদ্বীপের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের করা একটি এমওইউ নবায়ন। দুই পক্ষে এমওইউতে সই করেন মালদ্বীপের স্বাস্থ্যমন্ত্রী আহমেদ নাসিম ও বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

৩. যুব ও ক্রীড়া উন্নয়নে সহযোগিতা নিয়ে মালদ্বীপের যুব, ক্রীড়া ও কমিউনিটি ক্ষমতায়ন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের এমওইউ। দুই পক্ষে এমওইউতে সই করেন মালদ্বীপের যুব, ক্রীড়া ও কমিউনিটি ক্ষমতায়ন মন্ত্রী আহমেদ মাহলুফ এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।

৪. আয়করের ক্ষেত্রে দ্বৈত কর বাতিল এবং কর এড়ানো ও কর ফাঁকি রোধে মালদ্বীপ ও বাংলাদেশের মধ্যে চুক্তি। এতে সই করেন মালদ্বীপের অভ্যন্তরীণ রাজস্ব কর্তৃপক্ষের (এমআইআরএ) কমিশনার জেনারেল অব ট্যাক্সেশন ফাতুহুল্লাহ জামিল এবং বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।

একই অনুষ্ঠানে বন্ধুত্বের স্মারক হিসেবে মালদ্বীপকে উপহার দেয়া ১৩টি সামরিক যানের নথি হস্তান্তর করে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ড. এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ মালদ্বীপের চিফ অব ডিফেন্স ফোর্স মেজর জেনারেল আব্দুল্লাহ শামালের নিকট এসব নথি হস্তান্তর করেন।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী মালেতে প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ে পৌঁছালে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মদ সলিহ তাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেন। এ সময় শেখ হাসিনাকে গার্ড অব অনার প্রদান ও গান স্যালুট দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানানো হয়। প্রধানমন্ত্রী উভয় দেশের ‘লাইন অব প্রেজেন্টেশন’ ও পরিদর্শন করেন।

শেখ হাসিনা প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ে রক্ষিত দর্শনার্থী বইয়ে স্বাক্ষর করেন এবং সেখানে ফটো সেশনে অংশ নেন।
প্রধানমন্ত্রী বুধবার (২২ ডিসেম্বর) বিকেলে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি বিশেষ ফ্লাইটে প্রথমবারের মতো ছয় দিনের দ্বিপাক্ষিক সফরে মালদ্বীপের রাজধানী মালে পৌঁছেন। বাসস।

কালের আলো/ডিএসবি/এমএম