‘ক্রীড়াবীদ’ সেনাপ্রধানের ‘সোনালী অধ্যায়’, অলিম্পিকের নেতৃত্বেও কাজে লাগাতে চান ‘অভিজ্ঞতা’

প্রকাশিতঃ 5:54 am | December 28, 2021

বিশেষ সংবাদদাতা, কালের আলো :

প্রায় ৩৮ বছরের বর্ণাঢ্য সামরিক জীবন। ধাপে ধাপে নিজেকে বিকশিত করেছেন। পৌঁছেছেন শেকড় থেকে শিখরে। হয়েছেন দেশের ১৭ তম সেনাপ্রধান। মেধা, জ্ঞান ও যুক্তির আলোকেই বিবেচনা করেন সবকিছু। এসব পরিচয় ছাপিয়ে বহুমাত্রিক এক ব্যক্তিত্ব হিসেবেই নিজেকে মেলে ধরেছেন জেনারেল ড. এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।

আরও পড়ুনঃ গণমাধ্যমের মুখোমুখি জেনারেল শফিউদ্দিন, যুগোপযোগী চ্যালেঞ্জ নিয়ে এগোতে চান বিওকে

দুরন্ত জীবনের উষালগ্নে খেলার মাঠেও তিনি ছিলেন দুর্দান্ত। ক্রিকেটের পাশাপাশি খেলেছেন ফুটবলও। ফলে দু’টি খেলাতেই রয়েছে তার বাস্তব এক অভিজ্ঞতা। সেই অভিজ্ঞতাকেই কাজে লাগিয়ে এগিয়ে নিতে চান বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনকে (বিওএ)। সবার সহযোগিতায় দেশের ক্রীড়াঙ্গণকেও নিতে চান নতুন এক উচ্চতায়।

আরও পড়ুনঃ স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অপার দেশপ্রেমের প্রতি শ্রদ্ধা-কৃতজ্ঞতা সেনাপ্রধানের

প্রথমবারের মতো নিজের ফুটবল ও ক্রিকেট অধ্যায়ের স্মৃতি নিয়ে আশা জাগানিয়া তথ্যই দিয়েছেন বিওএ সভাপতি ও সেনাপ্রধান জেনারেল শফিউদ্দিন। জানিয়েছেন, প্রথম বিভাগ ফুটবল ও ক্রিকেট দু’টি খেলাতেই নিজের অভিজ্ঞতার কথা।

সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনের (বিওএ) নব নির্বাচিত সভাপতি হিসেবে আনুষ্ঠানিক দায়িত্বভার গ্রহণ ও নতুন কমিটির সদস্যদের সঙ্গে পরিচিতি সভা শেষে কথা প্রসঙ্গে তিনি জানান নিজের এমন সোনালী অধ্যায়ের কথা।

সেনাপ্রধান ও বিওএ সভাপতি বলেছেন, ‘আমি ক্যাডেট কলেজ থেকে ইনডোর, আউটডোর গেমসে জড়িত ছিলাম। আই এম অ্যা স্পোর্টস লাভার পারসন। আমি সব সময় সেরাটা দিতে চাই।’

দেশের বর্তমান এই সেনাপ্রধান খেলেছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ফুটবল দলেও। নিজের মুখে বলেছেন, ‘খুলনাতে প্রথম বিভাগ ফুটবল ও ক্রিকেট খেলার অভিজ্ঞতাও আছে। খেলেছি সেখানকার ব্রাদার্স ইউনিয়নে।’ তাই এসব খেলায় সুবিধা বাড়ানোর লক্ষ্যের কথাও জানান তিনি।

জানা যায়, ১৯৮৩ সালের ২৩ ডিসেম্বর বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমির দীর্ঘ মেয়াদি কোর্সে কমিশন লাভের পর একজন ক্রিকেটার হিসেবে স্বর্ণালী অধ্যায়ের ইতি টানলেও নিজ বাহিনীর ফুটবল দলে খেলেছেন ঠিকই।

এরপর বাকী জীবনের চিত্রপট যেন এক ইতিহাস। তাঁর মেধা, দক্ষতা, পেশাদারিত্ব এবং সততার মূল্যায়ন করে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর প্রধান হিসেবে গুরুদায়িত্ব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বঙ্গবন্ধুকন্যার মতোন তিনিও ক্রীড়াপাগল। সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বিওএ’র সভাপতি হিসেবেও প্রথম সভাপতি যার মাঠের সঙ্গে ছিল নিবিড় যোগাযোগ। ১৯৭৬ সালে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ অলিম্পিকের ১৬ তম সভাপতি হিসেবেও ইতোমধ্যেই অভিষেক হয়েছে তার।

ফলে জীবনের সর্বোচ্চ সফলতার চূড়ান্ত ক্ষণটিতে আরও এক দফায় খেলাধূলার সঙ্গে সরাসরি জড়িয়ে নিলেন নিজেকে। দীর্ঘ এক অভিজ্ঞতায় শর্টকাট নয়, তিনি গুরুত্ব দিয়েছেন সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনায়। সেনাপ্রধানের অভিজ্ঞতায় আরও বেশি সমৃদ্ধ হবে বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশন (বিওএ), এমনটিই মনে করছেন ক্রীড়া সংশ্লিষ্টরা।

কালের আলো/এমএএএমকে