স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অপার দেশপ্রেমের প্রতি শ্রদ্ধা-কৃতজ্ঞতা সেনাপ্রধানের

প্রকাশিতঃ 6:00 am | December 28, 2021

বিশেষ সংবাদদাতা, কালের আলো :

সেই সময়ে অস্ত্রের মতো ধারালো হয়ে উঠেছিল তাদের পায়ের ফুটবল। ফুটবলই হয়ে উঠেছিল কঠিন প্রতিবাদের ভাষা। জনমত গড়েছিলেন স্বাধীনতার পক্ষে। অর্থ সংগ্রহ করেছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্যে।

আরও পড়ুনঃ ‘ক্রীড়াবীদ’ সেনাপ্রধানের ‘সোনালী অধ্যায়’, অলিম্পিকের নেতৃত্বেও কাজে লাগাতে চান ‘অভিজ্ঞতা’

বিশ্বকে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের মুক্তির বার্তা দিতে উঁচিয়ে ধরেছিলেন স্বাধীন দেশের পতাকা। এ যেন অনন্য এক ইতিহাসেরই গল্প। বলা হচ্ছে, স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের কথা। মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে যে ফুটবল দল এক অবিচ্ছেদ্য-গর্বিত অংশ।

আরও পড়ুনঃ গণমাধ্যমের মুখোমুখি জেনারেল শফিউদ্দিন, যুগোপযোগী চ্যালেঞ্জ নিয়ে এগোতে চান বিওকে

একাত্তরের মুক্তি সংগ্রামের এই তারকাদের গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গেই স্মরণ করেছেন বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনের (বিওএ) সভাপতি ও সেনাপ্রধান জেনারেল ড.এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। এই বিনম্র শ্রদ্ধা জানানোর মাধ্যমে গুণীদের কদর করার এক ব্যতিক্রমী নজিরও স্থাপন করেছেন প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রোকন উদ্দিন আহমেদ’র এই সন্তান।

বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনের (বিওএ) নব নির্বাচিত সভাপতি হিসেবে সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) আনুষ্ঠানিক দায়িত্ব গ্রহণ ও নতুন কমিটির সদস্যদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে এক গণমাধ্যমকর্মীর প্রশ্নের জবাবে দেশসেরা ফুটবলারদের নিয়ে গঠিত ‘স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল’র সদস্যদের প্রতি হৃদয়ের অলিন্দ থেকে গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে তাদের অপার দেশপ্রেমের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেন জেনারেল শফিউদ্দিন।

তাঁর এই কৃতজ্ঞতা প্রকাশের অভিব্যক্তিই যেন বলে দেয় মুক্তিযুদ্ধে ফুটবলারদের গুরুত্বপূর্ণ অবদানের বিষয়টিও। ৭১’র ২৫ জুলাই, কৃষ্ণনগরের নদীয়া স্টেডিয়ামে সেদিন এই বীর ফুটবলাররা আবেগ মিশিয়ে গেয়ে উঠেছিলেন জাতীয় সংগীত ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি’। দু’নয়নের অবিরাম জলধারা সেদিন প্রকারান্তরে শপথ করিয়েছিল একটি লাল সবুজের পতাকা আর স্বাধীন বাংলাদেশের তীব্র আশা-আকাঙ্খার আক্ষরিক বাস্তবায়নেও।

বিওএ’র নব নির্বাচিত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপে জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘ওল্ড হিরোদের আমরা সব সময়ই শ্রদ্ধা করি। কারণ আমি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করি, গুণির গুনগান না গাইলে গুনি পয়দা হয় না।

যারা আমাদের জন্য বিশেষ কিছু করে গেছেন, তাদেরকে কেন মনে করবো না? তাদের মহৎকর্মের ভিত্তির উপর দাঁড়িয়েই তো আজকের আমরা। আমাদের জন্য যদি আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা জীবন না দিতেন, শহীদরা আত্মাহুতি না দিতেন, এই দেশ কখনো স্বাধীন হতো না। যারা দেশ স্বাধীন করেছেন, কন্ট্রিবিউট করেছেন তাদের প্রতি আমরা যদি কৃতজ্ঞ না থাকি এটা অন্যায় হবে। তাই আমরা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।’

কালের আলো/এমএএএমকে