পরেশ বড়ুয়ার মৃত্যুর খবরকে গুজব বলে উড়িয়ে দিল উলফা

প্রকাশিতঃ 11:52 pm | November 07, 2018

কালের আলো ডেস্ক:

ভারতের আসাম রাজ্যের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব আসামের (উলফা) কমান্ডার ইন চিফ পরেশ বড়ুয়া সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে দেশটির গোয়েন্দাদের একাংশ। বুধবার দিনভর এ নিয়ে আসামের রাজনীতিতে চলে নানা জল্পনা, যার রেশ ছড়িয়ে পড়ে দিল্লির প্রশাসনিক মহলেও। যদিও বিকেলে বিবৃতি দিয়ে পরেশ বড়ুয়ার মৃত্যুর খবরকে গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছে উলফা।

বুধবার লুকইস্ট ডটইন নামে একটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে পরেশ বড়ুয়ার মৃত্যুর খবর দিয়ে বলা হয়, সম্প্রতি এ শীর্ষ নেতার অবস্থান সম্পর্কে জানতে পারেন গোয়েন্দারা। জানা যায়, ১০-১২ দিন আগে মিয়ানমার-চীন সীমান্তে সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছিলেন তিনি। তার চিকিৎসা চলছিল। সেই আঘাতের জেরে তার মৃত্যু হয়েছে। তবে কোথায়, কবে দুর্ঘটনা ঘটেছে সে ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা চলছে বলে জানায় সংবাদমাধ্যমটি।

এদিক উলফার এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তারা লক্ষ্য করছে, দলের ভাইস চেয়ারম্যান ও চিফ অব স্টাফ মেজর জেনারেল পরেশ বড়ুয়ার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়েছে সংবাদমাধ্যমের একাংশে। খবরটি ভুয়া। তাদের নেতা সুস্থ ও নিরাপদ আছেন।

সংগঠনের প্রচার বিভাগের সদস্য রোমেল অসোম দাবি করেন, পরেশ বড়ুয়ার দুর্ঘটনা ও মৃত্যু নিয়ে যে খবর রটেছে, তার পুরোটাই গুজব।

উলফার অন্য একটি সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি পরেশ বড়ুয়া মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। এতে তার কোমর ও পায়ে চোট লাগে। জখমও হয়। দীর্ঘ এক দশকেরও বেশি সময় ধরে মিয়ানমার-চীন সীমান্তের রুইলি এলাকায় থাকছেন এই নেতা। সম্প্রতি তার ক্যাম্প থেকে আসা এক আত্মসমর্পণকারী উলফা ক্যাডারের কাছ থেকেও জানা যায়, ডায়াবেটিসের কারণে পরেশের শারীরিক অবস্থা বেশ খারাপ। ডায়াবেটিস থাকায় আহত পরেশের শারীরিক পরিস্থিতি দিন দিন খারাপ হচ্ছিল বলেও জানায় উলফা।

২০০৪ সালে বাংলাদেশের চট্টগ্রামে উদ্ধার হওয়া ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় এ উলফা নেতার মৃত্যুদণ্ডের রায় আছে। ওই বছরের ১ এপ্রিল রাত ১টার দিকে চট্টগ্রামের আনোয়ারায় কর্ণফুলী নদীর তীরে চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেডের (সিইউএফএল) সংরক্ষিত জেটিঘাট থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ আটক করা হয়। চীনে তৈরি এসব অস্ত্র ও গোলাবারুদ সমুদ্রপথে উলফার জন্য আনা হয়েছিল বলে পরে তদন্তে উঠে আসে। অস্ত্রের এ চালান বাংলাদেশের ভূখণ্ড ব্যবহার করে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস ও আনন্দবাজার পত্রিকা

কালের আলো/ডিএম