যে কোন ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকার আহবান সেনাবাহিনী প্রধানের
প্রকাশিতঃ 7:48 pm | November 08, 2018
নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলোঃ
জাতীয় পতাকার মর্যাদা রক্ষার জন্য যে কোন ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকার আহবান জানিয়েছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, বিজিবিএম, পিবিজিএম, বিজিবিএমএস, পিএসসি,জি।
জাতীয় পতাকা প্রাপ্তির বিরল সম্মান ও গৌরব অর্জন করায় “চিরঞ্জীব চল্লিশ”কে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেছেন, “কর্মদক্ষতা, কঠোর পরিশ্রম এবং কর্তব্য নিষ্ঠার স্বীকৃতি হিসাবে এই পতাকা।
আমি আশা করি তার মর্যাদা রক্ষার জন্য যে কোন ত্যাগ স্বীকারে আপনারা সব সময় প্রস্তুত থাকবেন এবং আপনাদের প্রতি জাতির এই আস্থা অটুট রাখার জন্য সর্বদা সচেষ্ট থাকবেন।’
বৃহস্পতিবার (০৮ নভেম্বর) চট্টগ্রামস্থ সেনাবাহিনীর ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টাল সেন্টারে ৪০ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট (মেকানাইজ্ড)’কে জাতীয় পতাকা প্রদানকালে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে সেনাবাহিনী প্রধান প্যারেড গ্রাউন্ডে এসে পৌঁছালে আর্মি ট্রেনিং এন্ড ডকট্রিন কমান্ড’র (আর্টডক) জিওসি লে: জেনারেল মো: নাজিম উদ্দীন, জিওসি ২৪ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার, চট্টগ্রাম এরিয়া মেজর জেনারেল এস এম মতিউর রহমান এবং পাপা টাইগার, ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টাল সেন্টার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ হাবিবুল করিম তাঁকে স্বাগত জানান।
আইএসপিআর জানিয়েছে, সেনাবাহিনীর ঐতিহ্য অনুযায়ী বিভিন্ন ইউনিটের কর্মদক্ষতা, কর্তব্যনিষ্ঠা, সেনাবাহিনী তথা জাতীয় উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদান এবং আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে যুদ্ধ ও শান্তিকালীন বীরত্বপূর্ণ অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ আনুষ্ঠানিকভাবে এ জাতীয় পতাকা প্রদান করা হয়।
১৯৮২ সালের ৩০ এপ্রিল প্রতিষ্ঠিত ৪০ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট (মেকানাইজ্ড) তথা “চিরঞ্জীব চল্লিশ” দীর্ঘ ৩৬ বছরের নিরবিচ্ছিন্ন সেবা এবং অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এই বিরল সম্মানে ভূষিত করা হয়।
পরে সেনা প্রধান ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে সংরক্ষণের জন্য “টাইগার্স মিউজিয়াম” নির্মাণের ভিত্তি প্রস্তুর স্থাপন করেন।
এই অনুষ্ঠানে দুই সাবেক সেনাবাহিনী প্রধানসহ উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
অফিসার্স গানারী স্টাফ কোর্স গ্রাজুয়েশন সিরিমনি
এদিন চট্টগ্রামস্থ আর্টিলারি সেন্টার ও স্কুলে অফিসার্স গানারী স্টাফ কোর্স (এয়ার ডিফেন্স)-৯’র গ্রাজুয়েশন সিরিমনি অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে গ্রাজুয়েট অফিসারগণের মাঝে “জি+ সার্টিফিকেট” প্রদান করেন ।
অনুষ্ঠানে এই কোর্সের প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্য থেকে শ্রেষ্ঠ প্রশিক্ষণার্থী পুরস্কার, শ্রেষ্ঠ রিসার্চ পেপার পুরস্কার এবং শ্রেষ্ঠ টেকনিক্যাল প্রজেক্ট পুরস্কার প্রদান করা হয়।
পুরস্কার প্রদান শেষে সেনাবাহিনী প্রধান কোর্সের সঈে সংশ্লিষ্ট সকলের গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ধন্যবাদ প্রদান করেন। একই সঈে সফলতার সাথে কোর্স সম্পন্ন করার জন্য প্রশিক্ষণার্থীদের অভিনন্দন জানান তিনি।
আইএসপিআর জানায়, চলতি বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ৮ নভেম্বর পর্যন্ত চট্টগ্রামের হালিশহরে অবস্থিত আর্টিলারি সেন্টার ও স্কুল এ অফিসার্স গানারী স্টাফ কোর্স (এয়ার ডিফেন্স)-৯ পরিচালিত হয়।
এই কোর্সে ৫ বিদেশী অফিসারসহ মোট ১৭ প্রশিক্ষণার্থী অফিসার অংশগ্রহণ করেন। বিদেশী অফিসারদের মধ্যে ১ জন শ্রীলংকান, ১ জন নেপালী, ২ জন নাইজেরিয়ান এবং ১ জন মালয়েশিয়ান প্রশিক্ষণার্থী রয়েছেন।
আইএসপিআর বলছে, অফিসার্স গানারী স্টাফ কোর্স বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আর্টিলারি অফিসারগণের সর্বোচ্চ পেশাগত কোর্স।
এই কোর্সের মাধ্যমে রেজিমেন্ট অব আর্টিলারির অন্তর্ভূক্ত সকল আধুনিক যুদ্ধ সরঞ্জামাদি কার্যকরভাবে যুদ্ধে ব্যবহারের জন্য অফিসারদের প্রশিক্ষিত করে তোলা হয়।
এই কোর্সে অংশ নেয়া কর্মকর্তাদের বিইউপি’র মাস্টার অব সায়েন্স (এ্যাপ্লায়েড গানারী) (অএ) ডিগ্রী প্রদান করা হয়।
কালের আলো/এএম