সাগর-রুনি হত্যার এক দশক; তদন্ত প্রতিবেদন পিছিয়েছে ৮৫ বার
প্রকাশিতঃ 10:25 am | February 11, 2022
নিজস্ব সংবাদদাতা, কালের আলো:
রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে ভাড়া বাসায় সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি নৃশংসভাবে খুন হওয়ার ১০ বছর পার হয়েছে। এতো বছরেও এই হত্যাকাণ্ডে দায়ের হওয়া মামলার তদন্ত কাজ শেষ হয়নি। বিগত ১০ বছরে ৮৫ বার সময় নিয়েও আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিতে পারেননি তদন্ত কর্মকর্তারা।
তবে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, মামলাটির তদন্ত শেষ হওয়ার বিষয়টি এখনো ঝুলে আছে ফরেনসিক ও ডিএনএ রিপোর্টের ওপর। ফরেনসিক ও ডিএনএ পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে এই দুই পরীক্ষার প্রতিবেদন না আসা পর্যন্ত শেষ হবে না তদন্ত।
এদিকে, মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে জানানো হয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্রে আলামত পরীক্ষা করে ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া দুজন অজ্ঞাত পুরুষের ডিএনএ পরীক্ষা করে শনাক্ত করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এখন মামলাটি যুক্তরাষ্ট্রে ফরেনসিক ও ডিএনএ টেস্টের নামে ঝুলে আছে। ছয় বছর আগে সেখানকার দুটি বেসরকারি ল্যাবে এ টেস্টের জন্য নমুনা পাঠানো হয়।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের পর তখনকার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন দ্রুত হত্যাকারী খুঁজে বের করার কথা বলেছিলেন। আর, তখনকার পুলিশ প্রধান হাসান মাহমুদ খন্দকার খুনি চিহ্নিত হয়েছে বলেই নিশ্চিত করেছিলেন।
কিন্তু, বাস্তবে এ মামলার ন্যূনতম অগ্রগতিও দেখতে পায়নি দেশবাসী। এমন মামলা হয়তো খুঁজে পাওয়াই কঠিন যে, দীর্ঘ ১০ বছরেও এর তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দেওয়া যায়নি। শুধু সময় পেছানোর মধ্যেই কার্যক্রম সীমাবদ্ধ।
মামলাটির জিআরও পরিদর্শক জালাল উদ্দিন এ বিষয়ে বলেন, আদালত থেকে ৮৫ বার সময় নিয়েও তদন্ত কর্মকর্তা অভিযোগপত্র জমা দিতে পারেননি। মামলাটি স্পর্শকাতর হওয়ায় হয়তো সময় বেশি লাগছে।
এদিকে সাগর-রুনি হত্যার এক দশক পূর্ণ হওয়ায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) তিন দিনব্যাপী কর্মসূচির গ্রহণ করেছে।
বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) ডিআরইউর দপ্তর সম্পাদক রফিক রাফি স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বছর ঘুরে আবারও সেই ১১ ফেব্রুয়ারি। ২০১২ সালে এইদিন সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারওয়ার ও মেহেরুন রুনি নির্মমভাবে খুন হয়েছিলেন। এক দশক পেরিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু প্রকৃত হত্যাকারীদের এখনও শনাক্ত ও গ্রেফতার করা হয়নি। বিচার প্রক্রিয়াও থমকে আছে। নিষ্ঠুর এই হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবিতে ডিআরইউসহ গোটা সাংবাদিক সমাজ আজও সোচ্চার।
ডিআরইউ তিন দিনের কর্মসূচি হলো- বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯ টায় ডিআরইউ চত্বরে মোমবাতি প্রজ্বলন; শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় ডিআরইউ চত্বরে প্রতিবাদ সমাবেশ; রোববার সকালে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি পেশ।
কালের আলো/ডিআরবি/এমএম