শেখ হাসিনার আলোতেই বিশ্ব দেখছে নতুন বাংলাদেশ
প্রকাশিতঃ 10:49 am | March 22, 2022

বিশেষ সংবাদদাতা, কালের আলো:
এক অন্ধকার রাতে পরিবারের সবাইকে হারিয়েছেন। দেশে ফিরে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছেন। বারবার কারান্তরীণ হয়েছেন। কমপক্ষে ১৯ বার সশস্ত্র হামলার মুখে পড়েছেন। ভাগ্যক্রমে বেঁচে গেছেন। প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে দেশের মানুষের মৌলিক অধিকার আদায়ে সংগ্রামে অটল থেকেছেন।
প্রতিটি মৃত্যু পরীক্ষা থেকে বেঁচে এসে শেখ হাসিনা নতুন উদ্যমে বাংলাদেশ গড়তে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। শত্রুর গুলি, বুলেট, বোমা, গ্রেনেড তাঁকে দাবিয়ে রাখতে পারেনি। কষ্টসহিষ্ণু পথ পেরিয়ে তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশের কাতারে নিয়েছে ঠাঁই। প্রবৃদ্ধির হার অর্জনে এশিয়ার অনেক দেশকে ছাড়িয়ে গেছে ইমার্জিং টাইগার, বাংলাদেশ।
সোমবার (২১ মার্চ) নতুন এক ইতিহাস গড়লেন বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরাধিকার শেখ হাসিনা। দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে শতভাগ বিদ্যুতায়নের মাইলফলক অর্জনের মাধ্যমে নতুন এক উচ্চতায় নিয়ে গেলেন দেশকে। উদ্বোধন করলেন দেশের সর্বোচ্চ উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন ১ হাজার ৩শ’ ২০ মেগাওয়াট পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র।
বলা হচ্ছে, টানা ১৩ বছর প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে থেকে দেশকে উন্নয়নের ‘রোল মডেল’ হিসেবে বিশ্বের বুকে আরও একবার সুপরিচিত করলেন বঙ্গবন্ধু তনয়া। করোনা মহামারিসহ বিভিন্ন সঙ্কটে একমাত্র ত্রাণকর্তা তিনিই। বিএনপি-জামায়াতসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলের নানামুখী ষড়যন্ত্রের পরও বিশ্বের সুখী দেশের তালিকায় ৭ ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ।
চলতি বছর জাতিসংঘের ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্টে ১৪৬টি দেশের তালিকায় ৯৪ নম্বরে রয়েছে বাংলাদেশ। গত বছরের প্রতিবেদনে বিশ্বের ১৪৯টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১০১।
স্বপ্নের পদ্মাসেতু উপহার দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিশ্বকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছেন বিশ্ব ব্যাংক ছাড়াও নিজের টাকায় কিভাবে পদ্মাসেতুর মতো মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে পারেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেদিন বলেছিলেন, ‘বিশ্ব ব্যাংকের অর্থ সহায়তা ছাড়াই আমরা পদ্মা সেতু নির্মাণ করবো।’ সেদিন থেকেই আত্মপ্রত্যয়ী কোটি কোটি বাঙালি মানসকিভাবে প্রস্তুত হয়ে গিয়েছিল ব্যক্তিগতভাবে অর্থ তুলে নিজেদের টাকাতেই সেতু নির্মাণ করার।
যেমনভাবে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণে বাঙালি প্রস্তুত হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধের জন্য। আত্মনির্ভরশীল জাতি গড়ার দৃঢ়তার মন্ত্র এভাবেই শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে শিখিয়েছেন।
বহুল প্রতীক্ষিত মেট্রোরেলের কাজও এগিয়ে নিয়ে চলেছেন। পুরোদমে চলছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, মাতারবাড়ি প্রকল্পের কাজ। এমন সব মেগা প্রকল্প বিশ্বের বুকে নতুন এক বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই সার্বক্ষণিক তদারকি করছেন সব মেগা প্রকল্পের।
অভিযোগ রয়েছে, এসব মেগা প্রকল্পগুলো নিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরণের ষড়যন্ত্র করেছে বিএনপি-জামায়াত। এই চক্রের সুরে কথা বলেছে সুশীল সমাজের একাংশও। তাঁরা জাতীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে নানামুখী ষড়যন্ত্র করে।
চক্রটির ষড়যন্ত্রের ফলে মেগা প্রকল্পগুলো সাময়িকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও শেখ হাসিনার বিচক্ষণতা, দূরদর্শিতায় সফলভাবেই সব ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে এগিয়ে চলছে উন্নয়নের প্রকল্পগুলো। একজন শেখ হাসিনা বাংলাদেশে উন্নয়নের আলোকবর্তিকা। তাঁর আলোতে বিশ্বই দেখছে উন্নত বাংলাদেশকে। সাবাস প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিনম্র অভিবাদন আপনাকে।
কালের আলো/এসবি/এমএম