তথ্যমন্ত্রীর চার চ্যালেঞ্জ

প্রকাশিতঃ 9:55 pm | January 26, 2018

আনিসুর রহমান ফারুক | কালের আলো:

দেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সরকারকে টানা তৃতীয়বার ক্ষমতায় আনতে চার চ্যালেঞ্জের ওপর জোর দিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু এমপি।

তিনি বলেছেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হয়েছে। এখন আমাদের সামনে কয়েকটি চ্যালেঞ্জ। প্রথমটি হচ্ছে যথাসময়ে নির্বাচন সম্পন্ন করা এবং নির্বাচন বানচালের চক্রান্ত ধ্বংস করে দেয়া।

রাজাকার, জঙ্গি, তেঁতুল হুজুর ও তাদের সঙ্গীদের ক্ষমতার বাইরে রাখা। দলবাজ, লুটেরাদের ধ্বংস করে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা। লাল পতাকা হাতে তেঁতুল হুজুর, জঙ্গি ও তাদের সঙ্গীদের ধ্বংস করার এ সংগ্রামে শ্রমিকরা অবশ্যই থাকবে।

শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জাতীয় শ্রমিক জোট, বাংলাদেশের জাতীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

জাতীয় শ্রমিক জোটের কেন্দ্রীয় সভাপতি শিরীন আখতার এমপি’র সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নইমুল আহসান জুয়েলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে প্রখ্যাত শ্রমিক নেতা মেজবাহ উদ্দিন, সুলতান উদ্দিন আহমেদসহ জাতীয় শ্রমিক নেতারা বক্তব্য রাখেন।

তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, আমাদের সংবিধান আছে। সংবিধানে কিছু অধিকারের কথা আছে। কিন্তু সংবিধানের পাতায় সেটি আটকে আছে, জীবনের খাতায় যায়নি।

দৃঢ়তার সঙ্গে মন্ত্রী বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশে রাজাকার ও গরিব থাকবে না। এটা শ্রমিক-কর্মচারী ও দেশবাসীর কাজ। শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি ও কাজ পাওয়ার দাবিতে চলমান সংগ্রামে জাসদ পাশে থাকবে।

আক্ষেপ করে তিনি বলেন, ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকার থাকলেও শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি নেই। উন্নয়নের সুফল ঘরে ঘরে দেখতে চাই। ন্যায্য মজুরি ঘোষণা করতে হবে, বৈষম্য দূর করতে হবে।

তেঁতুল হুজুরদের বাংলার মাটি থেকে বঙ্গোপসাগরে ফেলে দেয়ারও অঙ্গীকার করেন মন্ত্রী। বক্তৃতার ফাঁকে ফাঁকে হাসানুল হক ইনু সমাজতন্ত্রের পক্ষে নিজেই শ্লোগান ধরেন। তাঁর সঙ্গে কন্ঠ মেলান দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত শ্রমিকরাও।

সভাপতির বক্তৃতায় জাতীয় শ্রমিক জোট, বাংলাদেশের সভাপতি শিরীন আক্তার এমপি বলেন, ঢাকা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার গৌরবের কথা বলে, ভাষা ও স্বাধীনতার কথা বলে। আমাদের বেঁচে থাকার প্রেরণা জুগায়। আমাদের চ্যালেঞ্জ সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করা। অর্থনীতিকে সামনে এগিয়ে নেয়ার পাশাপাশি শ্রমিক-কর্মচারীদের জীবনকে নিরাপদ করতে হবে। যারা খেটে খায়, মেহনত করে সেই শ্রমজীবি মানুষদের বাদ দিয়ে বাংলার মাটিতে কোন উন্নয়ন হতে পারে না।’

বিশাল এ সম্মেলনে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত জাতীয় শ্রমিক জোটের নেতা-কর্মীদের হাতে হাতে ছিল লাল-সবুজের পতাকা। আবার অনেক কর্মীর হাতে শোভা পায় অধিকার আদায়ের প্রতীক লাল পতাকাও। এ সম্মেলনকে ঘিরে দুপুর থেকেই কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার লোকে লোকারণ্য হয়ে উঠে। বিকেলে সম্মেলনস্থলে এসে যোগ দেন তথ্যমন্ত্রী। এ সময় দলীয় নেতা-কর্মীরা পতাকা নেড়ে তাকে স্বাগত জানান।

এ সম্মেলনে জাতীয় শ্রমিক জোট ময়মনসিংহ জেলা শাখার সভাপতি মো: শামসুল আলম খান ও সাধারণ সম্পাদক সন্দীপ দত্তের নেতৃত্বে নেতা-কর্মীরা বিশাল শোডাউন করে যোগ দেয়।