বিতর্ক পাত্তা না দিয়ে সৌদি আরবের পর্যটন দূত হলেন মেসি
প্রকাশিতঃ 4:26 pm | May 11, 2022
স্পোর্টস ডেস্ক, কালের আলো:
লিওনেল মেসি তার জীবনে কম সংস্থার বা পণ্যের দূতিয়ালি করেননি। এবার সে তালিকায় যোগ হলো আরও একটা নাম। তাকে নিজেদের পর্যটনশিল্পের নতুন দূত হিসেবে ঘোষণা করেছে সৌদি আরব।
জেদ্দা সেশনে নামে ২ হাজার ৮০০ আলাদা ইভেন্টের সম্মিলিত আয়োজনে ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক উৎসবে যোগ দিতে যাওয়া মেসির ছবি ছড়িয়ে খবরটি সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়। অবশ্য পরে প্যারিস সেন্ট জার্মেইয়ের তারকা মেসি স্পন্সরকৃত ইনস্টাগ্রাম পোস্টে লোহিত সাগরে ইয়াটে ভ্রমণের ছবি দেন। সেখানে মেসির সঙ্গে দেখা যায় আর্জেন্টিনা ও পিএসজিতে মেসির সতীর্থ লিয়ান্দ্রো পারেদসকেও। লোহিত সাগরে ইয়াটে বসে তাদের সূর্যাস্ত দেখতে দেখা যায় সে ছবিতে।
ছবির ক্যাপশনে মেসি লিখেছেন: ‘লোহিত সাগর আবিষ্কার করছি।’ সেখানে হ্যাশট্যাগে তিনি যোগ করেন: ‘ভিজিট সৌদি।’
খবরে জানা যায়, মঙ্গলবার (১০ মে) ভোররাতে সৌদি পর্যটন সংস্থার অ্যাম্বাসেডর ঘোষণার পর পিএসজি তারকা সৌদি আরব পৌঁছান। স্থানীয় সংস্কৃতির রীতি অনুযায়ী তাকে বরণ করে নেওয়া হয়। সৌদি পর্যটন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তিনি সৌদির গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন স্থানগুলো ঘুরে দেখবেন বলে জানা গেছে।
সৌদি আরবের পর্যটনমন্ত্রী আহমেদ আল খতিব টুইটারে লেখেন: ‘সৌদি আরবে লিওনেল মেসিকে স্বাগত জানাতে পেরে আমি আনন্দিত। আপনাকে লোহিত সাগর, জেদ্দা সেশন এবং আমাদের প্রাচীন ইতিহাস-ঐতিহ্য ঘুরে দেখানোর জন্য আমরা যারপরনাই উত্তেজিত। এটা তার প্রথম সফর নয়, এই রাজ্যে এটাই তার শেষবার আসাও নয়।’
সৌদি আরবের সঙ্গে অংশীদারি বিষয়ে প্রথম যখন গুঞ্জন ওঠে, তখন মানবাধিকার সংস্থাগুলো মেসিকে আহ্বান জানায় সৌদির সঙ্গে যুক্ত না হতে। ২০২১-এর ফেব্রুয়ারিতে দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট বিচারবহির্ভূতভাবে বন্দিদের স্বজনদের এক চিঠি প্রকাশ করে। সেখানে তারা লেখেন: ‘আপনি লাখ লাখ মানুষের অনুপ্রেরণা এবং আপনি যা বলেন, যা করেন তা প্রকৃতই গুরুত্ব রাখে। স্পষ্টভাবে জেনে রাখুন, আপনার প্রচুর ক্ষমতা রয়েছে; কিন্তু ক্ষমতার সঙ্গে সঙ্গে মহান দায়িত্বও চলে আসে।’
সৌদির দূত হওয়ায় মেসির সেখানকার ভক্তদের মধ্যে উচ্ছ্বাস দেখা গেছে। সৌদি জাতীয় দলের স্ট্রাইকার সামি আল জাবের তেমনই এক মেসিভক্ত। তিনি টুইট করেছেন: ‘মেসি বিশ্বের একজন প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব, তাই তাকে সৌদি পর্যটনের অ্যাম্বাসেডর বানানোটা বেশ চমৎকার একটা পদক্ষেপ। এটা যে পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে জেদ্দার অবস্থানকে আরও ইতিবাচকভাবে তুলে ধরবে, এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।’
কালের আলো/এমএইচ/জেআর