‘হেলমেট পরে পল্টনে হামলার নির্দেশ দিয়েছিল বিএনপির নেতারা’

প্রকাশিতঃ 7:38 pm | November 20, 2018

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:
উস্কানি দিয়ে রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে ফায়দা নিতেই নয়াপল্টনে পুলিশের ওপর হামলা হয়। ১৪ই নভেম্বরের ঘটনায় ছয়জনকে গ্রেফতারের পর সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি করেন কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম।

নির্বাচনের আগে দুটি রাজনৈতিক দলের মদদ এবং একটি রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার ইন্ধনে সহিংসতা হতে পারে- ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত এমন খবরের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ফৌজদারি অপরাধের চেষ্টা করলে ছাড় দেয়া হবে না। নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, স্বাধীনতা বিরোধীদের তৎপরতা রুখতে সতর্ক থাকতে হবে বাংলাদেশের মানুষকে।

বিএনপির মনোনয়ন ফরম বিতরণকে কেন্দ্র করে ১৪ই নভেম্বর পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে নয়া পল্টন এলাকায়। আগুন দেয়া হয় পুলিশের দুটি গাড়িতে। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত অভিযোগে ছয়জনকে গ্রেফতারের পর সংবাদ সম্মেলন করে প্রকাশ করা হয় তাদের ঘটনার সময়ের এবং গ্রেফতারের পরের ছবি। এদের মধ্যে হোসেন আলী ১১ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সভাপতি প্রার্থী, সোহাগ ভূঁইয়া শাহজাহানপুর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক, আশরাফুর ইসলাম রবিন ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, আব্বাস আলী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, নিপুণ রায় চৌধুরী বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং আরিফা সুলতানা রুমা ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সাধারণ সম্পাদক, খালেদ সাইফুল্লাহ বিএনপি সমর্থক, সাইফুল ইসলাম রাসেল লালবাগ থানা বিএনপি আহ্বায়ক,আবুল হাসেম সবুজ কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর থানা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক, মামুনুর রশিদ খোকন বিএনপি সমর্থক,আমির হোসেন, বরগুনার তালতলী উপজেলা শ্রমিকদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বলে জানায় পুলিশ। বিস্তারিত রাজনৈতিক পরিচয়ের পাশাপাশি নাম ঠিকানাও প্রকাশ করে পুলিশ। তাদের দাবি রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে ফায়দা নেয়াই ছিলো হামলার মূল উদ্দেশ্য।

এ সময় মনিরুল ইসলাম বলেন, কোন কোন নেতারা হেলমেট নিয়ে যেতে নির্দেশ দিয়েছিল। যাতে চেহারা ফুটেজে না আসে। পুলিশকে উস্কানি দিতে যাতে পুলিশ ওখানে নির্বিচারে একশনে যায়। যাতে ছবিগুলো দেখিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা লোটা যায়।

এদিকে গেলো ১৭ই নভেম্বর দিল্লি ভিত্তিক গণমাধ্যম ইকোনোমিক টাইমস-এর এক প্রতিবেদনে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয় নির্বাচনের আগে বাংলাদেশে সহিংসতা করতে পারে দুটি রাজনৈতিক দল। আর পেছনে ইন্ধন দিতে পারে একটি রাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা। এ ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে কাউন্টার টেররিজম ইউনিট প্রধান এ বিষয়ে তথ্য থাকা না থাকার নিয়ে মন্তব্য না করলেও বলেন, যে কোন ধরণের অপরাধের চেষ্টা করা হলেও কঠোর হাতে দমন করা হবে।

এ সময় মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা প্রত্যাশা প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের শুভবুদ্ধির উদয় হোক। কেউ কোন ধরনের নাশকতার চেষ্টা করলে আমরা আইনের আওতায় আনা হবে।’

নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, নির্বাচন সামনে রেখে স্বাধীনতা বিরোধী গোষ্ঠী ও তাদের দোসররা তৎপর হবে এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। মেজর জেনারেল শিকদার অব মোহাম্মদ আলী শিকদার বলেন, ‘তারা তাদের স্বার্থে রাজনীতি বাংলাদেশে যারা করে বিশেষ করে জামায়াত ইসলামি এবং বিএনপি। তারা তাদের সর্বোচ্চ শক্তি নিয়ে মাঠে নামবে। সুতরাং বাংলাদেশের জনগণ নির্বাচন কমিশন এবং আইন শৃঙ্খলাবাহিনীকে সতর্ক থাকতে হবে।’

কালের আলো/এনএম