কারাগারে এহছানুল হক মিলন
প্রকাশিতঃ 5:16 pm | November 23, 2018
কালের আলো প্রতিবেদক:
সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপির আন্তর্জাতিক-বিষয়ক সম্পাদক আ ন ম এহছানুল হক মিলনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে চাঁদপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সফিউল আজমের আদালতে মিলনকে হাজির করা হলে, আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। একটি হত্যা মামলা, একটি হত্যা চেষ্টা মামলা ও একটি চাঁদাবাজির মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
এর আগে ভোরে চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজার থানার চট্টেশ্বরী রোডের একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে চাঁদপুর গোয়েন্দা পুলিশ।
চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বলেন, এহসানুল হক মিলন গত কিছুদিন ধরে তিনি চট্টগ্রামের চট্টেশ্বরী রোডে শাহ আলম নামে এক পরিচিত ব্যক্তির বাড়িতে লুকিয়ে ছিলেন। গোপন খবরের ভিত্তিতে আজ ভোর ৪টার দিকে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল ‘মমতাজ ছায়ানীড়’ নামের ওই বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।
সকালে তাকে চাঁদপুর এনে প্রথমে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে নিয়ে রাখা হয়। সেখান থেকে তাকে বেলা ১১টায় আদালতে নেওয়া হয়।
আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, ‘দীর্ঘদিন এহসানুল হক দেশের বাইরে ছিলেন। এরপর তিনি ওমরা করতে সৌদি আরব গেলে সেখানে অসুস্থ হয়ে পড়েন। দীর্ঘদিন সেখানে তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। কিছুদিন আগে দেশে ফিরেছেন। দেশে এসে তার ইচ্ছে ছিল স্বেচ্ছায় আদালতে হাজির হবেন। কিন্তু একটি বিশেষ পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার কারণে আদালতে হাজির হতে পারেননি।’
এহছানুল হকের এই আইনজীবী বলেন, ‘সব মামলার ওয়ারেন্ট কচুয়া থানা থেকে আসেনি। যে কয়টি মামলায় তাকে শোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়েছে সেগুলো বিচারিক আদালতের মামলা। আজ তিনটি মামলায় তাকে শোন অ্যারেস্ট করা হয়েছে। আগামী রোববার শুনানি হবে।’
অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম আরো বলেন, ‘আমরা আদালতের কাছে আবেদন করেছি, তিনি যেহেতু গুরুতর অসুস্থ, জেলখানায় তার প্রপার ট্রিটমেন্ট দেওয়ার জন্য। আদালত বলেছেন এ বিষয়ে একটি দরখাস্ত দেওয়ার জন্য। সেটিও আমরা করেছি। এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তার চিকিৎসার ব্যবস্থা নেবেন বলে আমরা আশা করছি।’
শুক্রবার সকাল থেকেই আদালত প্রাঙ্গণে উপস্থিত ছিলেন— জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক, মিলনের স্ত্রী কেন্দ্রীয় মহিলা দলের সাবেক সহ-সভাপতি নাজমুন নাহার বেবীসহ বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের কয়েকশ নেতাকর্মী।
বিএনপির ২০০১-২০০৬ মেয়াদের সরকারের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মিলন ২০১০ সালে জামিনে মুক্তি পেয়ে মালয়েশিয়ায় চলে যান। একাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে দিন দশেক আগে তার দেশে ফেরার খবর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে আসে। এর মধ্যে তিনি প্রকাশ্যে না এলেও তার স্ত্রী নাজমুন নাহার বেবী চাঁদপুর-১ (কচুয়া) আসনে মিলনের জন্য বিএনপির মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করে জমা দেন।
আদালতে হাজিরার সময় নিরাপত্তা চেয়ে এবং স্বাভাবিক নির্বাচনী কর্মকাণ্ডে যুক্ত হওয়ার জন্য সব প্রতিবন্ধকতা দূর করতে নির্বাচন কমিশনের হস্তক্ষেপ চেয়ে গত ১৮ নভেম্বর স্ত্রীর মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনে একটি চিঠিও দেন মিলন।
কালের আলো/বিএম/এমএইচএ