অবিশ্বাস্য স্বপ্নের দুয়ার খুলে যাওয়ার দিন

প্রকাশিতঃ 7:31 am | June 25, 2022

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

অনন্য গৌরবোজ্জ্বল এক মুহুর্তে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ। বদলে যাওয়া বাংলাদেশের আরও একধাপ এগিয়ে যাওয়ার সূচনার দিন। দীর্ঘ অপেক্ষা শেষে অবিশ্বাস্য স্বপ্নের দুয়ার খুলে যাচ্ছে আজ। দেশের ইতিহাসে বৃহত্তম যোগাযোগ স্থাপনা স্বপ্ন-আবেগের পদ্মা সেতুর উদ্বোধন হচ্ছে আজ। স্বপ্নপূরণের আনন্দরেণু ছড়িয়ে পড়েছে দেশের প্রতিটি প্রান্তরে। বাংলাদেশের নিজস্ব অর্থায়নে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটারের দৈর্ঘ্যরে এই সেতুটি মুন্সীগঞ্জকে শরীয়তপুর এবং মাদারীপুরের সঙ্গে এবং দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলকে উত্তর ও পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে সংযুক্ত করবে।

সম্ভব হবে সড়ক ও রেলপথে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ২১টি জেলার সঙ্গে রাজধানী ঢাকার সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন। প্রতি বছর দারিদ্র্য নিরসন হবে দশমিক আট-চার শতাংশ হারে। আজ শনিবার (২৫ জুন) নতুন এক সূর্যোদয়ের স্বাক্ষী হতে চলেছে আঠার কোটির বাংলাদেশ। এদিন সকাল ১০ টায় বাংলাদেশের সামর্থ্যরে স্মারক সেতুটি উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনের পর সেতুটি যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে। পদ্মা সেতু বাস্তবায়নের একক কৃতিত্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। তবে সরকারপ্রধান বারবার এই সাফল্যের কৃতিত্ব দিয়েছেন দেশের সাধারণ মানুষকে।

আজ সেই ঐতিহাসিক মাহেন্দ্রক্ষণ। এই দিনটির জন্যই কীনা কতো দীর্ঘ অপেক্ষা। সেই অপেক্ষার প্রহর শেষ হচ্ছে। আজ শনিবার (২৫ জুন) সকাল ১০টায় হেলিকপ্টারযোগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে এসে উপস্থিত হবেন। মাওয়া প্রান্তে সেতুর উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করবেন ও সুধী সমাবেশে অংশ নেবেন তিনি। পরবর্তীতে সেখান থেকে সেতু পার হয়ে শরীয়তপুর অংশে দলীয় একটি বিশাল জনসভায় অংশ নেবেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সব প্রস্তুতিও সম্পন্ন হয়েছে। বিদেশি কুটনীতিকসহ দেশ বরেণ্য সুধীজনরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। সমাবেশের দৃষ্টিনন্দন মঞ্চ তৈরিসহ সার্বিক ব্যবস্থাপনার কাজ শেষ করতে ব্যস্ত সময় পার করেছেন কর্মীরা। পদ্মা সেতুর নিরাপত্তার মূল দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। ইতোমধ্যেই পদ্মা সেতুর মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে ও শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে দুটি থানা উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

পদ্মা সেতুতে বাংলাদেশসহ অন্তত ২০টি দেশের বিশেষজ্ঞ, প্রকৌশলী, টেকনিশিয়ান ও কর্মীরা কাজ করেছেন নিরলসভাবে। তাদের মেধা আর শ্রমেই এই পদ্মা সেতু। সেতুতে বেশিরভাগই বিদেশি বহুজাতিক কোম্পানির তৈরি নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে। বাংলাদেশের ব্যবহৃত হয়েছে রড, সিমেন্ট ও বালু।

সেতু বিভাগের তৈরি তালিকা বলছে, মূল সেতুর কাজে বাংলাদেশ, সংযুক্ত আরব আমিরাত, চীন, ভারত, লুক্সেমবার্গ, সিঙ্গাপুর ও অস্ট্রেলিয়ার তৈরি নানা উপকরণ ব্যবহার করা হয়েছে। এর বাইরেও সেতুর কাজে জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডসসহ আরও অনেক দেশের যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয়।

বুধবার (২২ জুন) বেলা ১১টায় নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে পদ্মা সেতুর সর্বোশেষ তথ্য জানাতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘৪শ কেভি ট্রান্সমিশন লাইন টাওয়ার ও গ্যাস লাইনের এক হাজার কোটি টাকা ব্যয়সহ মূল সেতু নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছিলো ১২ হাজার ১৩৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা ধরা হলেও ব্যয় হয়েছে ১১ হাজার ৯৩৮ কোটি ৬৩ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। এছাড়াও নদী শাসনে ৮ হাজার ৭০৬ কোটি ৯১ লাখ, অ্যাপ্রোচ সড়কে এক হাজার ৮৯৫ কোটি ৫৫ লাখ, পুনর্বাসনে এক হাজার ১১৬ কোটি ৭৬ লাখ এবং ভূমি অধিগ্রহণে ব্যয় হয়েছে ২ হাজার ৬৯৮ কোটি ৭৩ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে।’

সরকার প্রধান সেদিন জানান, ‘২১ জুন পর্যন্ত পদ্মা সেতুর সার্বিক অগ্রগতি: ভৌত- ৯৪ দশমিক ৫০ শতাংশ ও আর্থিক- ৯১ দশমিক ৮৫ শতাংশ। মূল সেতু: ভৌত- ৯৯ দশমিক ৫০ শতাংশ ও আর্থিক- ৯৮ দশমিক ৩৯ শতাংশ। নদীশাসন: ভৌত- ৯৪ শতাংশ ও আর্থিক- ৮৯ দশমিক ১০ শতাংশ।’

৪১ টি স্প্যান বসাতে ৩ বছর দুই মাস ১০ দিন
গৌরব ও আত্মপ্রত্যয়ের পদ্মা সেতুতে প্রথম স্প্যান বসেছিল ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর। শেষ স্প্যানটি বসে ২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর। মোট ৪১টি স্প্যান বসাতে সময় লেগেছে তিন বছর দুই মাস ১০ দিন। বিশ্বত্রাস করোনাভাইরাস মহামারি এবং পদ্মার অত্যধিক স্রোত স্প্যান বসানোর কাজে গতি কমিয়ে দিয়েছিলো। পরে ২০২০ সালের ১১ অক্টোবর ৩২তম স্প্যান বসানোর পর অনুকূল আবহাওয়া পাওয়া যায়।

কারিগরি কোনো জটিলতাও তৈরি হয়নি। ফলে বাকি স্প্যানগুলো দ্রুত বসানো সম্ভব হয়। এই স্প্যানই সেতুর মূল অবকাঠামো। পিলারের ওপর বসানো হয়েছে এগুলো। এর ওপর দিয়ে চলবে যানবাহন, আর নিচ দিয়ে চলবে ট্রেন। প্রতিটি স্প্যানের দৈর্ঘ্য ১৫০ মিটার। এসব স্প্যান চীনে তৈরি করে জাহাজে করে বাংলাদেশে নিয়ে আসা হয়েছে। ৪২টি পিলারের সঙ্গে স্প্যানগুলো জোড়া দেওয়ার মাধ্যমে পুরো সেতু দৃশ্যমান হয়।

মূল পদ্মা সেতুর, অর্থাৎ নদীর অংশের দৈর্ঘ্য ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার। তবে ডাঙার অংশ ধরলে সেতুটির মোট দৈর্ঘ্য হবে ৯ কিলোমিটারের কিছু বেশি। মাত্র সাত মিনিটে পদ্মা পাড়ি দেওয়া সম্ভব হবে। স্প্যানের ভেতর দিয়ে চলবে ট্রেন। সেতুতে একটিই রেললাইন থাকবে। তবে এর ওপর দিয়ে মিটারগেজ ও ব্রডগেজ দুই ধরনের ট্রেন চলাচলেরই ব্যবস্থা থাকবে। ভায়াডাক্টে এসে যানবাহন ও ট্রেনের পথ আলাদা হয়ে মাটিতে মিশেছে।

নিজের অর্থায়নে পদ্মা সেতুর ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর
দীর্ঘ ২৪ বছরের যাত্রার পেছনের গল্পের জন্য ফিরে যেতে হবে ১৯৯৮ সালে। ওই বছর সরকারের তহবিলে প্রথম এই সেতুর প্রাক-সম্ভাব্যতা যাচাই করা হয়। ২০০১ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ২০০৩ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত জাপানের সংস্থা জাইকার অর্থায়নে এর সম্ভাব্যতা পুনরায় যাচাই করা হয়। এরপর ২০০৭ সালে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির বৈঠকে (একনেক) প্রকল্পটি অনুমোদন পায়। এরপর অর্থায়নে এগিয়ে আসে বিশ্বব্যাংক; কিন্তু কিছুদিন পরই বিপত্তি দেখা দেয়। এতে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সংস্থাটি প্রকল্প থেকে সরে দাঁড়ায়। ফলে সেতুর ভবিষ্যৎ শঙ্কায় পড়ে যায়। কানাডার আদালতে বিশ্বব্যাংকের অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হয়। এক পর্যায়ে বিশ্বব্যাংক পুনরায় ফিরে আসে অর্থায়নের জন্য। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়ে নিজস্ব অর্থায়নে এর বাস্তবায়নের ঘোষণা দেন। অবশেষে পদ্মার বুকে মাথা উঁচিয়ে দাঁড়িয়েছে সেতু।

মূল কাঠামো স্টিলের, পাঁচ ভাগে ভাগ হয় সেতুর কাজ
সেতু নির্মাণকারী চাইনিজ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ কোম্পানির সূত্র বলছে, পদ্মা সেতুর মূল কাঠামো স্টিলের। তবে মূল সেতুতে স্টিলের বাইরেও ৩০টি উপকরণের ব্যবহার বেশি হয়েছে। এর মধ্যে দেশীয় রড, সিমেন্ট, বালু, বৈদ্যুতিক ক্যাবল, পাইপ, ডিজেল, বিটুমিন ও জিও ব্যাগ রয়েছে। সেতু বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, নদী শাসন, সংযোগ সড়ক ও অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণে রড, সিমেন্ট, বালু ও পাথরের ব্যবহার আরও বেশি হয়েছে।

সেতু বিভাগের হিসাব অনুযায়ী, পদ্মা সেতুতে সিমেন্ট লেগেছে আড়াই লাখ টনের বেশি। পুরোটাই ব্যবহৃত হয়েছে দেশে তৈরি ‘স্ক্যান সিমেন্ট’। রড লেগেছে ৯২ হাজার টনের বেশি। ‘বিএসআরএম’ এবং ‘কেএসআরএম’ নামে দুটি ব্র্যান্ডের দেশীয় রড ব্যবহৃত হয়েছে। সেতু বিভাগ জানায়, পদ্মা সেতুতে বালু লেগেছে সাড়ে তিন লাখ টন, যার পুরোটাই সিলেটের। সিলেট থেকে আনা প্রাকৃতিক বালুই ব্যবহার করা হয়েছে এই সেতুতে।

জানা গেছে, সেতু তৈরিতে বিদ্যুৎ ব্যবস্থার জন্য সোয়া ৪ কোটি লিটার ডিজেল পোড়ানো হয়েছে। বিটুমিন লেগেছে ২ হাজার টনের বেশি। নদী তীর রক্ষায় ২৫০ কেজি ওজনের জিও ব্যাগ বসানো হয়েছে প্রায় ২৪ লাখ। এগুলোর সবই বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে কেনা হয়েছে। দেশে তৈরি বিদ্যুতের ক্যাবল ব্যবহার হয়েছে প্রায় পৌনে ৩ লাখ মিটার এবং পাইপ এক লাখ ২০ হাজার মিটার, যা বাংলাদেশের বিভিন্ন কোম্পানির উৎপাদিত।

পদ্মা সেতু নির্মাণে কংক্রিটের পথের ওপরে প্রথমে দুই মিলিমিটারের পানি নিরোধক একটি স্তর বসানো হয়েছে, যা ‘ওয়াটারপ্রুফ মেমব্রেন’ নামে পরিচিত। যুক্তরাজ্য থেকে ৫৬০ টন ওয়াটারপ্রুফ মেমব্রেন আনা হয়েছে। সেতুর পাশে রেলিংয়ের অ্যালুমিনিয়ামও এসেছে যুক্তরাজ্য থেকে।

সেতুতে ব্যবহৃত স্টিলের উপকরণ এবং কলকবজার প্রায় সবই বিদেশ থেকে আনা হয়েছে। পদ্মা সেতুর কাজ পাঁচটি ভাগে ভাগ করা হয়। এগুলো হচ্ছেÑ মূল সেতু, নদী শাসন, দুই পাড়ে সংযোগ সড়ক নির্মাণ এবং অন্যান্য অবকাঠামো। সংশ্লিষ্টরা জনিয়েছেন, পদ্মা সেতুর পাইলিংয়ের ওপরের অংশের মাটিকে বেশি ওজন বহনে সক্ষম বিশেষ ধরনের মাইক্রোফাইন বা অতিমিহি সিমেন্ট ব্যবহার করা হয়েছে।

দুই হাজার টন এই বিশেষ সিমেন্ট আনা হয় সিঙ্গাপুর থেকে। লুক্সেমবার্গ থেকে আনা হয় ৯ হাজার টনের বেশি রেলের গার্ডার (স্ট্রিনজার)। অস্ট্রেলিয়া থেকে আনা হয় সেতুর পানি নিষ্কাশনের পাইপ ও পাইল বসানোর জন্য ব্যবহৃত পলিমার। এর মধ্যে পাইপ ব্যবহার করা হয়েছে ৩৯ হাজার মিটার। আর পলিমার ব্যবহার করা হয়েছে ২৪৯ টন। সেতুতে ব্যবহারের জন্য ভারত ও সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ৫ থেকে ২০ মিলিমিটারের সোয়া পাঁচ লাখ টন পাথর আনা হয়। এ ছাড়া সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে অ্যালুমিনিয়াম আনা হয়েছে, যা সেতুর রেলিংয়ে ব্যবহার করা হয়।

পদ্মা সেতুতে দুই ধরনের পাইল বসানো হয়েছে। মূল সেতু অর্থাৎ নদীর অংশে তিন মিটার ব্যাসার্ধের পাইপের মতো (ভেতরে ফাঁকা) স্টিলের পাইল বসানো হয়েছে ২৬৪টি। এসব পাইল এসেছে চীন থেকে। এগুলোর ওজন ছিল প্রায় ১ লাখ ৬২ হাজার টন। পদ্মা সেতুতে স্টিলের স্প্যান বসানো হয়েছে ৪১টি। চীনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের হেবেই প্রদেশের কারখানায় স্টিলের প্লেট দিয়ে এসব স্প্যান তৈরি করা হয়। স্প্যানগুলোতে লেগেছে ১ লাখ ২৬ হাজার টন স্টিলের প্লেট।

৯ মাত্রার ভূমিকম্প রক্ষায় বিয়ারিং
রিখটার স্কেলে প্রায় ৯ মাত্রার ভূমিকম্প থেকে রক্ষা করতে পদ্মা সেতুতে বিয়ারিং বসানো হয়েছে ৯৬ সেট। ভূমিকম্পের সময় সেতুটিকে সুরক্ষা দিতে ব্যবহৃত কলকবজার মধ্যে এই বিয়ারিংকে বলা হয় ফ্রিকশন পেন্ডুলাম বিয়ারিং। সবচেয়ে বড় বিয়ারিংয়ের ওজন ২৫ টনের মতো। এক সেট বিয়ারিং প্রায় ১০ হাজার টন ওজনের ভার বহন করতে সক্ষম। পদ্মা সেতুর আগে পৃথিবীর আর কোনও সেতুতে এ ধরনের বিয়ারিং ব্যবহৃত হয়নি বলে জানিয়েছেন সেতু বিভাগের সংশ্লিষ্টরা।

এই বিয়ারিং ছাড়াও পদ্মা সেতুতে অন্য ধরনের ৩ হাজার ৫৫৬ সেট বিয়ারিং ব্যবহার করা হয়েছে। এসব বিয়ারিং সেতুটির বিভিন্ন অংশকে যুক্ত রাখতে সহায়তা করছে। সব সেতুতেই তাপ ও চাপে সংকোচন-প্রসারণের জন্য সম্প্রসারণশীল জোড়া (এক্সপানশন জয়েন্ট) থাকে। এ কাজে ২৮ সেট বিয়ারিং স্থাপন করা হয়েছে। এই তিন ধরনের বিয়ারিং আনা হয়েছে চীন থেকে।

কালের আলো/বিএসবি/এমএম