সৌদি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক; বাংলাদেশে আসছেন জিসিসি মহাসচিব
প্রকাশিতঃ 11:14 pm | June 29, 2022
কালের আলো ডেস্ক:
সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. জাবেদ পাটোয়ারীর সঙ্গে এক বৈঠক করেছেন গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিলের (জিসিসি) এর মহাসচিব ড. নায়েফ ফালাহ এম আল-হাজরাফ।
বৈঠকে চলতি বছরে বাংলাদেশ সফর আসার কথা জানান জিসিসি মহাসচিব।
বুধবার (২৯ জুন) রিয়াদের জিসিসি সচিবালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিলের (জিসিসি) এর সঙ্গে বাংলাদেশের সহযোগিতার বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার কথা রয়েছে। রিয়াদের বাংলাদেশ দূতাবাস এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বাংলাদেশ ও জিসিসি সচিবালয় ইতোমধ্যে সমঝোতা স্মারকটি চূড়ান্ত করেছে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন সমঝোতা স্মারক সইয়ের জন্য জিসিসির মহাসচিবকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
বৈঠকে জিসিসি মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশ ও জিসিসিভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা, অভিন্ন মূল্যবোধ ও বোঝাপড়ার ভিত্তিতে অত্যন্ত শক্তিশালী বন্ধন রয়েছে।
তিনি বাংলাদেশের আর্থসামাজিক ও কৃষি উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন। এছাড়া তিনি জলবায়ু পরিবর্তন, বিশ্ব শান্তি এবং অন্যান্য অনেক বিষয়েও বাংলাদেশের গঠনমূলক ভূমিকা প্রশংসনীয় বলে উল্লেখ করেন।
বাংলাদেশ এবং জিসিসি পারস্পরিক সুবিধার জন্য অগ্রাধিকারভিত্তিক ক্ষেত্র চিহ্নিতকরণ ও সেসব ক্ষেত্রে এক সঙ্গে কাজ করতে পারে বলে জানান জিসিসি মহাসচিব।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ একটি খাদ্য উৎপাদনকারী দেশ এবং কৃষি ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সক্ষমতা ও অভিজ্ঞতা জিসিসি সদস্য রাষ্ট্রগুলোর খাদ্য নিরাপত্তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
বৈঠকে রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, জিসিসি দেশ এবং মধ্যপ্রাচ্য বিশ্বের অন্যতম জ্বালানি যোগানদাতা অঞ্চল এবং বিশ্ব রাজনীতিতে বরাবরই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এ অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতা সবার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি ইয়েমেনে শান্তির জন্য সাম্প্রতিক উদ্যোগের জন্য জিসিসি মহাসচিরের প্রশংসা করেন এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরে রাশিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে জিসিসির সম্পৃক্ততার ও প্রশংসা করেন।
মহাসচিবের বাংলাদেশ সফরের বিষয়ে রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, এ সফর জিসিসি মহাসচিবকে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন প্রত্যক্ষ করার সুযোগ করে দেবে। পাশাপাশি পারস্পরিক বাণিজ্য বাড়ানোসহ অনেক বিষয়ে বাংলাদেশের সক্ষমতা সম্পর্কে সম্যক ধারণা পাওয়া যাবে। রাষ্ট্রদূত সহযোগিতা কাঠামোর সমঝোতা স্মারকটি চূড়ান্ত হওয়ায় তার সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং যত দ্রুত সম্ভব সমঝোতা স্মারকটি সইয়ের ওপর জোর দেন।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন দূতাবাসের কাউন্সিলর হুমায়ূন কবির।
কালের আলো/বিএস/এমএন