শেখ হাসিনার আবেগময় সেই চিঠিই তরান্বিত করে মুক্তি আন্দোলনকে!

প্রকাশিতঃ 10:11 am | July 16, 2022

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো :

বঙ্গবন্ধু কন্যা ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা সেদিন মঈনুদ্দিন-ফখরুদ্দিনের যৌথবাহিনীর কাছে জানতে চেয়েছিলেন, কেন তাকে গ্রেফতার করা হচ্ছে? দেশে কি সামরিক শাসন জারি হয়েছে? সেদিন কোন সদুত্তর দিতে পারেনি আইন প্রয়োগকারী সদস্যরা।

আরও পড়ুন: অফুরান দেশপ্রেমেই অনন্য উচ্চতায় মুজিব কন্যা

২০০৭ সালের ১৬ জুলাই সম্পূর্ণ অন্যায় ও ষড়যন্ত্রমূলকভাবে গ্রেফতারের আগ মুহুর্তে জাতির উদ্দেশ্যে নির্ভীক চিত্তেই একটি চিঠি লিখেছিলেন শেখ হাসিনা। পরদিন সেই চিঠি জাতীয় দৈনিকগুলো ফলাও করে প্রকাশ করে। ওই চিঠিতে আজকের প্রধানমন্ত্রী লিখেছিলেন- ‘প্রিয় দেশবাসী, আমার ছালাম নিবেন। আমাকে সরকার গ্রেফতার করে নিয়ে যাচ্ছে। কোথায় জানি না। আমি আপনাদের গণতান্ত্রিক অধিকার ও অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যেই সারাজীবন সংগ্রাম করেছি। জীবনে কোনো অন্যায় করিনি। তারপরও মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। উপরে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন ও আপনারা দেশবাসী আপনাদের উপর আমার ভরসা। আমার প্রিয় দেশবাসী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের কাছে আবেদন কখনও মনোবল হারাবেন না।

আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার কারাবন্দি দিবস, যেদিন অবরুদ্ধ হয়েছিল গণতন্ত্র

অন্যায়ের প্রতিবাদ করবেন। যে যেভাবে আছেন অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবেন। মাথা নত করবেন না। সত্যের জয় হবেই। আমি আছি আপনাদের সাথে, আমৃত্যু থাকব। আমার ভাগ্যে যাহাই ঘটুক না কেন আপনারা বাংলার জনগণের অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম চালিয়ে যান। জয় জনগণের হবেই। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়বই। দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটাবোই। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।
শেখ হাসিনা, ১৬.০৭.২০০৭

মূলত বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার আবেগময় এই চিঠি তাঁর মুক্তি আন্দোলনকে তরান্বিত করে। সৃষ্টি করে জনমত। চিঠির একটি লাইন যেনো অনবদ্য বিদ্রোহী কবিতার পঙক্তি হয়ে বাজতে থাকে লক্ষকোটি নেতাকর্মীদের কানে।

আরও পড়ুন: সেই কুশীলবদের ‘টার্গেট’ ছিল ‘মাইনাস শেখ হাসিনা’

অনুপ্রেরণামূলক এই চিঠিতে শেখ হাসিনা অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছিলেন। দেশের গণতান্ত্রিক ও অর্থনৈতিক মুক্তির লড়াইয়ে তাঁর নেতৃত্বের একনিষ্ঠতা তখন সত্য হয়ে উঠেছিল শব্দমালার গাঁথুনিতে। ঐতিহাসিক এই চিঠি নতুন প্রজন্মের লড়াকুদের অনুপ্রাণিত করবে সব সময়।

কালের আলো/জিকেএম/এমএএএমকে