ইউক্রেনের তিনটি জাহাজ জব্দ করেছে রাশিয়া

প্রকাশিতঃ 11:41 am | November 26, 2018

কালের আলো ডেস্ক:

রাশিয়ার জলসীমায় প্রবেশ করার অভিযোগে ইউক্রেনের জাহাজ আটকে দিয়েছে রুশ নৌবাহিনী— বিবিসি

ক্রিমিয়ার উপদ্বীপে ইউক্রেনের নৌবাহিনীর তিনটি জাহাজ জব্দ করেছে রাশিয়া। এ ঘটনাকে ঘিরে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা চরম আকার নিয়েছে।

দুই দেশই এ ঘটনায় একে-অন্যকে পাল্টাপাল্টি দোষারোপ করেছে বলে বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট পেদ্রো পোরোশেঙ্কো বলেছেন, এর প্রতিক্রিয়ায় সোমবার তিনি পার্লামেন্টে সামরিক আইন জারির ঘোষণার জন্য আহ্বান জানাবেন।

সংকটের শুরু হয় যখন রাশিয়া অভিযোগ তোলে যে, ইউক্রেনের জাহাজ রুশ সীমানায় ঢুকে পড়েছে।

রুশ-বাহিনী সাগরে যেখানে দু’দেশের অংশীদারিত্ব আছে সেখানে কের্চ স্ট্রেইট সেতুর নিচে ট্যাংকার স্থাপন করেছিল।

ইউক্রেনের জাতীয় নিরাপত্তা এবং প্রতিরক্ষা কাউন্সিলের মিটিংয়ের সময় প্রেসিডেন্ট পেদ্রো পোরোশেঙ্কো রাশিয়ার আচরণকে ‘বিনা উসকানিতে উন্মত্ততা’ বলে বর্ণনা করেছেন।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার ভোরে ইউক্রেনের বারডিযানস্ক এবং নিকোপল যুদ্ধজাহাজ এবং দি ইয়ানা কাপা জাহাজ কৃষ্ণ সাগরের ওডিসি বন্দর থেকে রওনা হয় আযোভ সাগরের মারিউপোলের উদ্দেশ্যে।
ব্রিজের নিচে ট্যাঙ্কার, আর ওপরে রুশ বিমান— বিবিসি

ইউক্রেন বলছে, রাশিয়া জাহাজের পথ আটকাতে চেষ্টা করে, যদিও এরপর নৌযানগুলো কের্চ স্ট্রেইটের উদ্দেশ্যে চলছিল কিন্তু ট্যাংকার দ্বারা বাধাপ্রাপ্ত হয়।

রাশিয়া ওই এলাকাতে দুটো যুদ্ধবিমান এবং দুটো হেলিকপ্টার ডেকে আনে। তাদের অভিযোগ— নৌযানগুলা অবৈধভাবে তাদের জলসীমায় প্রবেশ করেছিল এবং ওই পথে চলাচল সাময়িকভাবে স্থগিত থাকবে নিরাপত্তার কারণে।

ইউক্রেনের নৌবাহিনীর সদস্যরা জানান, জাহাজ হামলা মুখে পড়লে তারা ওই এলাকা ছেড়ে যাওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। তাদের ছয়জন নাবিক আহত হয়ে বলেও জানানো হয়।

রাশিয়ার কর্মকর্তারা অবশ্য পরে নিশ্চিত করে যে, তাদের একটি টহল জাহাজ তিনটি ইউক্রেনের জাহাজকে জোর করে জব্দ করে। তবে তাদের দাবি কেবল তিনজন নাবিক আহত হয়েছেন।

এদিকে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন কের্চ স্ট্রেইট-এ চলাচলের স্বাধীনতা পুনরুদ্ধার করার জন্য রাশিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে এবং ‘চরম সংযমের সাথে যেকোনো কাজ করার জন্য’ উভয়পক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

নেটো বলেছে, তারা ইউক্রেনের সার্বভৌমত্বকে সম্পূর্ণভাবে সমর্থন করে এবং এর আঞ্চলিক অখণ্ডতা, আঞ্চলিক জলসীমায় তার ন্যাভিগেশন অধিকারকে সমর্থন দেয়।

নেটো মনে করে, ইউক্রেন জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠকের অনুরোধ করেছে এবং মস্কোর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপের দাবি করেছে।

কালের আলো/ও/এমএইচএ