পদ্মা সেতুতে বসলো দ্বিতীয় স্প্যান
প্রকাশিতঃ 4:06 pm | January 28, 2018
শরীয়তপুর সংবাদদাতা | কালের আলো: পদ্মা সেতুতে দ্বিতীয় স্প্যানটি অবশেষে বসানো হয়েছে।
রোববার সকাল সাড়ে ৮টায় স্প্যানটি খুঁটির ওপর বসিয়ে দেয়া হয়।
শনিবার থেকে স্প্যানটি খুঁটিতে বসানোর কাজ শুরু হলেও সন্ধ্যা ঘনিয়ে যাওয়ায় বসানোর কাজ স্থগিত রাখা হয়। পরে রোববার বেলা উঠতেই স্প্যানের কাজ শুরু হয়। ঘড়ির কাটায় ঠিক সাড়ে ৮টা বাজতেই ৭বি নম্বর বিশাল স্প্যানটি পিলারের ওপর নেয়া হয়। সেখানে এখন সেট করার প্রক্রিয়া চলছে। বেয়ারিং ও অস্থায়ী কাঠামোর সঙ্গে এটি সেট করা হচ্ছে। তবে ৩৮ নম্বর খুঁটিতে স্থাপন করা ৭এ নম্বর প্রথম স্প্যানের সঙ্গে ওয়েল্ডিং করার পর এ অস্থায়ী কাঠামো সরিয়ে নেয়া হবে।
দায়িত্বশীল প্রকৌশলীরা জানিয়েছেন, স্প্যানটি খুঁটির ওপর বসিয়ে দিলেও ক্র্যান দিয়ে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে, পুরোপুরি ভার দেয়া হয়নি। প্রথম স্প্যানের মতোই আনুসাঙ্গিক কাজ শেষ হওয়ার পর ক্রেনটি সরিয়ে নেয়া হবে।
ধূসর রঙের ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৩ হাজার ১৪০ টন ওজনের স্প্যানটি খুঁটিতে লেগে যাওয়ার পর পদ্মা সেতু এখন ৩০০ মিটার দৃশ্যমান হচ্ছে।
এরই মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় স্প্যান বসানো নিয়ে প্রায় দুমাসের অপেক্ষার অবসান হলো। প্রথম স্প্যানটি বসেছিল গত ৩০ সেপ্টেম্বর। তার প্রায় চার মাস পর দ্বিতীয় স্প্যান বসলো। তবে এখন থেকে প্রতিমাসেই একাধিক স্প্যান বসানো সম্ভব হবে বলে দায়িত্বশীলরা মনে করছেন।
এবারে স্প্যান বসানো নিয়ে কোনো আনুষ্ঠানিকতা ছিল না। কোনো সংবাদকর্মীকেও সেখানে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। প্রকৌশলীরা বলেছেন, প্রথম স্প্যান বসানোর সময় আনুষ্ঠানিকতা ছিল। এখন ঘন ঘনই স্প্যান বসবে। আনুষ্ঠানিকতা আর হবে না।
দায়িত্বশীল এক প্রকৌশলী জানান, শনিবার স্প্যান বহনকারী ক্রেনের জাহাজটি খুঁটি থেকে মাত্র ২০০ ফুট দূরে অবস্থান করে। স্প্যান বসনোর কাজে দায়িত্বরত সার্ভেয়ার মীর ফারুক হোসেন সিএসসি বলেন, “তিন হাজার ছয়শ টন ধারণক্ষমতার ভাসমান ক্রেনের জাহাজ ‘তিয়ান ইয়াহাও’ স্প্যানটিকে পাঁজা করে ধরে খুঁটি দুটোর ওপর বসিয়ে দেয়।
স্প্যানটি বসানোর আগে ওয়েট টেস্ট, বেজ প্লেট, দৈর্ঘ, পাইল পজিশন, টায়াল লোড টেস্ট, মেজারমেন্টসহ যাবতীয় আনুষঙ্গিক কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়।
মীর ফারুক হোসেন জানান, স্প্যানটি শনিবার বসানোর কথা থাকলেও স্প্যানটি খুঁটির নিকটে পৌঁছতে পৌঁছতে দিনের আলো শেষ হয়ে যায়। আর স্প্যান বসানোর পরেও অনেক কাজ থাকে যা রাতে করা সম্ভব নয় বিধায় রোববার সকালে বসানো হলো।