কালের আলো রিপোর্ট:

বেড়িয়ে এসেছে থলের বিড়াল। উন্মোচিত হয়েছে ‘আয়নাঘর’ কল্পকাহিনীতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করা শেখ মো. সেলিমের মুখোশ। প্রবাসী শ্রমিক পরিচয়ে দেশপ্রেমিক একটি গোয়েন্দা সংস্থার বিরুদ্ধে ভয়ানক কুৎসা ও মিথ্যাচার রটানো এই সেলিম সরাসরি বিএনপি’র রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। মূলত বিএনপি’র দেশত্যাগী পলাতক ও দন্ডিত জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার ছক বাস্তবায়নেই অভিনয় করে এখন বগল বাজাচ্ছেন মালয়েশিয়া যুবদলের এই সাবেক সহসভাপতি।

মালয়েশিয়ার সিমুনিয়া মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে বর্তমানে দায়িত্ব পালন করে আসা এই দেশদ্রোহী মূলত দীর্ঘ সময় যাবত অনলাইনে-অফলাইনে সরকার বিরোধী প্রচারণা চালিয়ে তারেকের দৃষ্টি কাড়তে সক্ষম হয়েছেন। দল ক্ষমতায় গেলে তারেক তাকে বিশেষভাবে মূল্যায়ন করবেন এই প্রতিশ্রুতিতে দলীয় নেতার ছক বাস্তবায়নেই স্বঘোষিত নাস্তিক তাসনিম খলিলের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন বহু অপকর্মের হোতা এই যুবদল নেতা।

সাধারণ মানুষের বিশ্বাস অর্জনেই এই যুবদল নেতাকে দৃশ্যপটে হাজির করা হয়েছে প্রবাসী শ্রমিক পরিচয়ে। গোপন করা হয়েছে তার রাজনৈতিক পরিচয়।

সূত্র মতে, এই প্রোপাগান্ডা বাস্তবায়নে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা বিভাগের পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত ন্যাশনাল এনডাউমেন্ট ফর ডেমোক্রেসির (এনইডি) দেওয়া বিশাল অঙ্কের বাজেট তাসনিম খলিলের হাতে তুলে দিয়েছেন আরেক নির্লজ্জ প্রতারক জুলকারনাইন সায়ের ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের বহুল সমালোচিত ড.কামালের মেয়ের জামাই ডেভিড বার্গম্যান। তাসনিম ও বার্গম্যান মিলেই এসব অপপ্রচারের প্লট রচনা করেছেন। পাশাপাশি তারেক ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী মহল থেকেও মোটা দাগে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে এই চক্রটি।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন ছবিতে দেখা যায়, শেখ মো. সেলিম মালয়েশিয়া যুবদল আয়োজিত যে কোনো অনুষ্ঠানে ফ্রন্টলাইনে থাকেন। গাজীপুর পৌর ছাত্রদলের রাজনীতিও নিয়ন্ত্রণ করেন। বিএনপির পক্ষে তার প্রচারণার নানা ছবিও ভাইরাল সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে।

জানা যায়, সাম্প্রতিক সময়ে এনইডির অর্থায়নে ফুলেফেঁপে উঠেছেন তাসনিম-সায়ের গংরা। পাশাপাশি বিএনপির পলাতক নেতা তারেকের সঙ্গেও তাদের দুস্তিও জমে উঠেছে। দেশপ্রেমিক একটি গোয়েন্দা সংস্থাকে টার্গেট করে ঘৃণ্য অপপ্রচারের নীল নকশা বাস্তবায়নে মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশের নেতাদের সঙ্গে তাসনিম খলিলকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন তারেক নিজেই।

কিন্তু অভিনয়ের বিষয়বস্তুতে সবাইকে পরাস্ত করে তাসনিমের মন জয় করেন করিৎকর্মা শেখ মো. সেলিম। তার কথা বলার স্টাইল গোয়েবলস কায়দাকেও হার মানানোর ফলে শেষতক ‘আয়নাঘর’ প্রোপাগান্ডার প্রধান চরিত্র হয়ে উঠেন এই সেলিমই। এভাবেই মঞ্চস্থ হয় রাষ্ট্রবিরোধী তুমুল বিতর্কিত ‘ফেক অ্যান্ড ফেব্রিকেটেড ভিউজ’।

কালের আলো/ডিএস/এমএম