আদালতে ব্যারিস্টার মইনুল
প্রকাশিতঃ 2:46 pm | November 29, 2018
আদালত প্রতিবেদক, কালের আলো:
সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে নিয়ে মানহানিকর মন্তব্যের জেরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারে উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে ঢাকা সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বেলা দেড়টার দিকে তাকে আদালতে হাজির করা হয়।
দুপুর ২টায় তার উপস্থিতিতে এ মামলার চার্জশিট গ্রহণের শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। এর আগে গত ১৩ নভেম্বর মামলাটিতে দাখিলকৃত চার্জশিট গ্রহণের শুনানির দিন আগামী ২৯ নভেম্বর ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল।
গত ২৪ অক্টোবর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ উপকমিটির যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সদস্য সুমনা আক্তার লিলি সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে ‘চরিত্রহীন’ বলা নিয়ে সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালে এ মামলা দায়ের করেন। ওইদিন বিচারক মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণের জন্য গুলশান থানাকে নির্দেশ দেন।
থানায় মামলাটি এহাজার হিসেবে গ্রহণ করার পর কারাগারে থাকা সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের এই উপদেষ্টাকে গত ১ নভেম্বর তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনে গ্রেপ্তার দেখায় সিএমএম আদালত।
মামলায় বাদীর অভিযোগ, আসামি ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন গত ১৬ অক্টোবর ৭১ টেলিভিশনের লাইভ টেলিকনফারেন্সে সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টির প্রশ্নের জবাবে তাকে ‘চরিত্রহীন’ বলেন। তার ওই মানহানিকর বক্তব্যে শুধু সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টির মানহানি ঘটেনি। একজন নারী হিসেবে বাদীরও মানহানি ঘটেছে, যা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫ (২) ও ২৯(২) ধারার অপরাধ।
আইনের ২৫ (১) ধারা অনুযায়ী, মিথ্যা তথ্য-উপাত্ত ওয়েবসাইট ও অন্য কোনো ডিজিটাল মাধ্যমে প্রকাশ করলে ২৫ (২) ধারা অনুযায়ী তিন বছরের কারাদণ্ড বা তিন লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে।
অন্যদিকে ২৯ (১) ধারা অনুযায়ী, দণ্ডবিধির ৪৯৯ ধারার মানহানিকর তথ্য যদি কেউ দ্বিতীয়বার প্রকাশ করলে ২৯ (২) ধারা অনুযায়ী পাঁচ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড বা ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে। দুইটি ধারার মধ্যে ২৯ (২) ধারার একই আইনের ৫৩ (ঘ) অনুযায়ী জামিন অযোগ্য।
সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে ‘চরিত্রহীন’ বলা নিয়ে মানহানির অভিযোগে এর আগে ২২টির মামলা হয়েছে, যার মধ্যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রথম মামলা। অপর মামলাগুলোর মধ্যে মাসুদা ভাট্টি নিজে ঢাকার সিএমএম আদালতে একটি মামলা করেছেন। রংপুরে হওয়া একটি মামলায় ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে গত ২২ অক্টোবর গ্রেপ্তারের পর গত ২৩ অক্টোবর ঢাকা সিএমএম আদালত তাকে কারাগারে পাঠায়।
কালের আলো/সিএম/এমএইচএ