গাজী নাসির উদ্দিনের চোখে বদলে যাওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
প্রকাশিতঃ 12:32 am | January 30, 2018
কালের আলো ডেস্ক:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরবের অতীত আছে। রাজনীতি ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনে দেশকে পথ দেখিয়েছে। স্বাভাবিক কারণেই এখানে কিছু মেধাবী ছাত্রছাত্রী ভর্তি হতো। কিছু ভালো শিক্ষকও স্বাভাবিক কারণে ছিলেন। বিষয়টা এমন না যে এখানে মেধাবীরা, অগ্রসররা ভর্তি হয়।
বিষয়টা এমন যে, কিছু লোকের আইকিউ গড়পড়তার উপরে থাকে। তাদের কেউ কেউ হয়তো এখানে ভর্তি হয়। এখানে পড়ালেখা করার কারণে শ্লাঘাবোধ করার বাস্তব কোন কারণ থাকতে পারে না। কিন্তু আমাদের সময়েও দেখেছি অনেকের শ্লাঘাবোধ তৈরি হয়।
তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা ব্যাপার ইউনিক ছিল এমনকি নব্বইয়ের শেষ দিকে আমাদের আমলেও। তাহলো, পরিবেশ মুক্ত ছিল। ছাত্র সন্ত্রাসীরা তখনো থাকলেও চিন্তা সংস্কৃতিতে বৈচিত্র্যকে খুব চোখ রাঙাত না কেউ। এখন বিশ্ববিদ্যালয় তেমনটি আছে বলা যাবে না। থাকবার কারণও নেই। সময়ের বদলের ছাপ তো থাকবেই।
বর্তমানের কথাই বলি, সাত কলেজের ছাত্র ছাত্রীদের নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বক্তব্য রীতিমত রেসিজমের পর্যায়ে পড়ে। কমার্স ফ্যাকাল্টি একটা আনকুত শপিং মলের মত লাগে। মধুর পাশে দাঁড় করানো হইছে অশ্লীল সদৃশ সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ। ছাত্র ছাত্রীরা দিনভর বিসিএস এর প্রস্তুতি নেন লাইব্রেরিতে বসে। সিগারেট খাওয়া নিষিদ্ধ করা বিকট বিকট গেইট বানানো সবই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চরিত্রের সঙ্গে বেমানান লাগে আমার কাছে। খুব সস্তাভাবে অন্যদের অনুকরণ করে নিজেদের ঢাবিয়ান পর্যন্ত পরিচয় দেয়।
তো এই যদি হয় অবস্থা তাইলে একে অপরকে গাঁজাখোর বলে গালি যখন দেয় তখন সেটা গড় সামাজিক মাপকাঠিতে ফিট করে যায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাপকাঠি গড় সামাজিক মাপকাঠিতে মিলে গেলে বুঝতে হবে সে তার স্বাতন্ত্র্য হারিয়েছে। জাতিকে কালচারালি লিড করার ক্ষমতা আর তার নেই।
লেখক: গাজী নাসির উদ্দিন আহমেদ, নিউজ এডিটর, বিডিনিউজ২৪.কম