জো বাইডেনের অভ্যর্থনায় প্রধানমন্ত্রী, নীরব মেরুকরণের আভাস

প্রকাশিতঃ 10:05 pm | September 22, 2022

কূটনৈতিক প্রতিবেদক, কালের আলো:

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের উষ্ণ অভ্যর্থনা পেয়েছেন দেশটি সফররত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্কে অবস্থানরত প্রধানমন্ত্রী বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আয়োজিত অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে যোগদান করেন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে জো বাইডেন ও তার পত্নী জিল বাইডেন ছবি তুলেন।

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশনে অংশগ্রহণের জন্য নিউইয়র্ক সফররত রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানদের সম্মানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও তার স্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রের মিউজিয়াম অব ন্যাচারাল হিস্ট্রিতে এক নৈশভোজের আয়োজন করেন। পরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হোটেল লটেতে প্রেস ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একেএম আবদুল মোমেন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বাইডেন এবং তাঁর পত্নী অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান। এ সময় উভয় নেতা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাৎক্ষণিকভাবে এই ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু বলেননি। তিনি শুধু বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সফরে বাইডেনকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।’ মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক একান্ত আলাপ ও দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা রাজনীতিতে নতুন মেরুকরণের পূর্বাভাস বলেই মনে করছেন কূটনীতিতে অভিজ্ঞরা।

তারা বলছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও তার স্ত্রী’র আমন্ত্রণে এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগদান ও বাইডেনের সঙ্গে তার আলাপ-আলোচনা রাজনীতিতে বিশেষ তাৎপর্য এবং গুরুত্ব বহন করে। এই সাক্ষাতই বলে দিচ্ছে, নিজেদের সম্পর্ক এগিয়ে নিতে আগ্রহী দু’সরকার প্রধানই।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গত ডিসেম্বরে বাংলাদেশের এলিট ফোর্স র‍্যাবের সাবেক ও বর্তমান ৬ কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর এই প্রথম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্র সফর করছেন। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশনে আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর তিনি ভাষণ দিবেন।

কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এর ঠিক আগেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও তার স্ত্রীর আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রীর যোগদান ও আলাপ বড় রকমের ‘টার্নিং পয়েন্ট’ হিসেবেই দেখা হচ্ছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি জো বাইডেনের আলাদা কোনো নেতিবাচক মনোভাব নেই এই বিষয়টিও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। এটি অবশ্যই সরকারের জন্য ইতিবাচক। আবার স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির জন্য রীতিমতো মাথায় হাত। আমেরিকার মিউজিয়াম অব ন্যাচারাল হিস্ট্রিতে ঘটে যাওয়া নীরব এই মেরুকরণই এখন দেশের রাজনীতিতে আলোচনায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব পাচ্ছে।

কালের আলো/ডিএস/এমএম