ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে চোখ ওঠা রোগীর সংখ্যা বাড়ছেই

প্রকাশিতঃ 8:05 pm | October 10, 2022

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

চোখের কনজাঙ্কটিভাইটিস রোগটি বাংলাদেশে পরিচিত ‘চোখ ওঠা’ নামে। চোখ ওঠা রোগ একটি স্পর্শকাতর রোগ। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ‘চোখ ওঠা’ রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। যা আসলে চোখের কনজাংটিভার প্রদাহজনিত সমস্যা।

শুধু দেশের বিভিন্ন অঞ্চলই নয় এর প্রভাব দেখা পড়েছে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে (কেরানীগঞ্জ) বন্দি কয়েদি ও হাজতিদের মাঝেও।

জানা গেছে, গত ১৫ দিনে চোখ ওঠা রোগে আক্রান্ত হয়েছেন আনুমানিক পাঁচশতাধিক বন্দি। তবে কারা হাসপাতাল থেকে তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

সোমবার (১০ অক্টোবর) বিকেলে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার হাসপাতালের সিনিয়র চিকিৎসক মাহমুদুল হাসান শুভ বলেন, চোখ ওঠা রোগ যেহেতু ছোঁয়াচে, তাই কারাগারে বন্দিদের মাঝে এর প্রাদুর্ভাব হুহু করে বাড়ছে।

তিনি আরও বলেন, গত ১৫ দিনে কারাগারে বন্দি আনুমানিক ৫০০ শতাধিক হাজতি- কয়েদি চোখ ওঠা রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের জন্য কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন) স্যারের উদ্যোগে পর্যাপ্ত ড্রপের ব্যবস্থা করা হয়েছে। চোখ ওঠা বন্দিদের কারা হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। যতটা সম্ভব তাদেরকে ওয়ার্ডে থাকা জন্য বলা হয়েছে।

কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন) ব্রি. জেনারেল এ এস এম আনিসুল হক বলেন, কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দিদের মাঝে চোখ ওঠা রোগ একটু বেড়ে গেছে। কারা চিকিৎসকরা তাদের চিকিৎসা দিচ্ছেন। আমরা চোখের ড্রপের ব্যবস্থা করেছি। এছাড়া নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, যেসব বন্দী এ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন, তারা যেন সুস্থ বন্দিদের সঙ্গে মেলামেশা না করে। তবে এ নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই। গত সাত দিন আগেও আনুমানিক আড়াইশোর মধ্যে বন্দি আক্রান্ত হয়েছিল। সেটা এখন ধীরে ধীরে কমে আসছে।

কারাগার থেকে একটি সুত্র জানায়, এখন পর্যন্ত কোনো বন্দী ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়নি। তবে চোখ উঠা রোগে বন্দিদের পাশাপাশি পাহারায় থাকা কারারক্ষীদের অনেকেই আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া আক্রান্তদের মধ্যে কর্মকর্তারাও আছেন।

কালের আলো/ডিএস/এমএম