ত্যাগ ও গ্রহণযোগ্যতার মাপকাঠিতে উত্তীর্ণ আ’লীগের অ্যাডভোকেট খোকা

প্রকাশিতঃ 6:49 pm | January 30, 2018

বিশেষ প্রতিবেদক, কালের আলো :

ময়মনসিংহে আওয়ামী রাজনীতিতে স্বনামে খ্যাত অ্যাডভোকেট জহিরুল হক খোকা। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের এ প্রবীণ নেতা দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেছেন ময়মনসিংহ জেলা পরিষদের প্রশাসক হিসেবে। ছাত্র রাজনীতির পথ মাড়িয়ে রাজনীতিতে উঠে আসা পরিচ্ছন্ন ইমেজের এ নেতা এখন সামলাচ্ছেন জেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতি। আছেন দলটির সভাপতি পদে।

প্রধানমন্ত্রীর প্রয়াত বিশেষ সহকারী কবি মাহবুবুল হক শাকিলের বাবা অ্যাডভোকেট জহিরুল হক অনেক দিন নেতৃত্ব দিয়েছেন ময়মনসিংহ জেলা আইনজীবি সমিতির। একাধিকবার ছিলেন সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। একই সঙ্গে ছিলেন বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য ও বার কাউন্সিল ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান।

রোববার (২৮ জানুয়ারি) ময়মনসিংহ জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যকরী পরিষদের নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ সমর্থিত সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদকে বিজয়ী করতে আদাজল খেয়ে মাঠে নেমে পড়েন এ নেতা। দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে বিরামহীন প্রচারণাও চালান। তাঁর এমন কার্যকরী ভূমিকার ফলও মিলেছে।

নির্বাচনে ১৫ টি পদের মধ্যে সভাপতিসহ ১০ টি পদে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগপন্থী আইনজীবিরা। দলীয় আইনজীবিদের এমন বিজয়ের নেপথ্য পুরুষ হিসেবে উঠে আসছে তাঁর নাম। প্রখ্যাত এ আইনজীবি এখানকার ভোটারদের কাছেও গ্রহণযোগ্য।

দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে দল সমর্থিত আইনজীবিদের বিজয়ী করতে মাঠে তাঁর সক্রিয়তা পাল্টে দেয় ভোটের হিসাব-নিকাশ। বয়সকে হার মানিয়ে ভোটারদের দূয়ারে দূয়ারে ছুটে চলা এবং বিনয়-ভালবাসার মিশেলে ভোট প্রার্থনার মধ্যে দিয়ে এ নির্বাচনে জয়-পরাজয় নির্ধারণে তিনিই মূলত প্রভাবকের ভূমিকা পালন করেছেন বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।

ভোটের ফলাফলের পর প্রচারণার আলো থেকে যোজন যোজন দূরে থাকা এবং আওয়ামী রাজনীতিতে ত্যাগ, জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতার মাঠকাপিতে উত্তীর্ণ এ নেতা মুখোমুখি হন দৈনিক কালের আলো’র।

আলাপের শুরুতেই ময়মনসিংহ জেলা আইনজীবি সমিতির কার্যকরী পরিষদের নির্বাচনে ১৫ টি পদের মধ্যে সভাপতিসহ ১০ টি পদে ক্ষমতাসীন দলের আওয়ামী লীগপন্থী প্যানেলের আইনজীবিদের বিজয়ী হওয়ায় তাদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান তিনি।
ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের এ সভাপতি বলেন, ‘এ বিজয় প্রমাণ করে সচেতন ও বিজ্ঞ আইনজীবিরা মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও এ বিজয় জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করবে এবং নৌকার বিজয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’

সততার জন্য দলমতের উর্ধ্বে থাকা এ প্রবীণ রাজনীতিক বিশ্বাস করেন, বঙ্গবন্ধ কন্যার হাত ধরেই বদলে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন আর স্বপ্ন নয় বাস্তবতা।

দেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে একাদশ সংসদ নির্বাচনেও নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে হবে। সব ভেদাভেদ ভুলে নৌকার প্রার্থীকে বিজয়ী করতে ঐক্যবদ্ধভাবে দলীয় নেতা-কর্মীদের কাজ করতে হবে।’

অ্যাডভোকেট জহিরুল হক খোকা ও তাঁর পরিবারের সততার প্রশংসা করে একবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়কমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, ‘বাবার মতোই সততার মূর্ত প্রতীক ছিলেন আমাদের শাকিল। সে ছিলো নির্লোভ। তাঁর পরিবারে ২০ বছর আগে যে সম্পদ ছিলো এখনো তাই আছে। তাঁরা ইচ্ছা করলে সম্পদ বাড়াতে পারতো।’

ঘনিয়ে আসা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ময়মনসিংহ-৪ (সদর) আসনে নৌকার প্রার্থী হিসেবে জোরেশোরে উচ্চারিত হচ্ছে প্রবীণ এ রাজনৈতিক নেতার নাম। দলীয় একাধিক জরিপেও স্বচ্ছ ইমেজের এ রাজনীতিক এগিয়ে আছেন।

জাতীয় পার্টির দখলে থাকা এ আসনটিতে এবারের নির্বাচনে অ্যাডভোকেট খোকাকেই শেষ পর্যন্ত দলীয় প্রার্থী করা হতে পারে এমন খবরে আশান্বিত দলটির মাঠ পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা।

অবশ্য এ বিষয়ে কোন কথা বলতে রাজি হননি অ্যাডভোকেট জহিরুল হক খোকা। শুধু বলেছেন, ‘নেত্রী বিশ্বাস করে যখন যে দায়িত্ব দিয়েছেন তা যথাযথভাবে পালনের চেষ্টা করেছি। আগামীতেও কোন দায়িত্ব দিলে অবশ্যই পালন করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।’

 

কালের আলো/ওএইচ