রাজনীতির তারকা বাবার আলো ছড়ানো উত্তরাধিকার
প্রকাশিতঃ 11:30 pm | February 10, 2023

এম.আব্দুল্লাহ আল মামুন খান, অ্যাকটিং এডিটর :
তাদের বাবারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুসারী। টুঙ্গিপাড়ার মহামানবের ৫৫ বছরের মহাজীবনের বর্ণাঢ্য অধ্যায়ের সঙ্গে অনেকেই গভীরভাবেই জড়িয়েছিলেন নিজেদের। আওয়ামী লীগের তারকা রাজনীতিকের রক্তের উত্তরাধিকার হিসেবেই বঙ্গবন্ধুকন্যা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের রাজনীতিতে উঠিয়ে এনেছেন। নির্বাচিত হয়েছেন সংসদ সদস্য। অনেকেই সামলাচ্ছেন দলের পাশাপাশি সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বও। তাঁরা নিজেরাও বঙ্গবন্ধুকন্যার স্নেহধন্য হয়ে যোগ্যতা ও মেধার স্বাক্ষর রেখেছেন। দলীয় নেতাকর্মী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষেরও নজর কেড়েছেন। দ্যুতি ছড়িয়েছেন উজ্জ্বল আলোর।
স্পিকার ড.শিরীন শারমিন চৌধুরী এবং শিক্ষামন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের টানা পাঁচবারের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা: দীপু মনি। দু’জনের বাবা রফিক উল্লাহ চৌধুরী ও ভাষাবীর এম এ ওয়াদুদ খ্যাত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ হিসেবে। ছাত্রলীগের রাজনীতি করেছেন। জীবনের চলার পথের বাঁকে বাঁকে অনেক কঠিন পরিস্থিতি ও সংগ্রামমুখর জীবনের সঙ্গে লড়াই করেছেন। কখনও জাতির পিতার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেননি, শতভাগ বিশ্বস্ত ছিলেন বঙ্গবন্ধুর।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রগাঢ় আস্থা ও বিশ্বাস ধরে রেখেই জনস্বার্থের রাজনীতিকে নিজেদের পরম ব্রত করেছেন স্পিকার ড.শিরীন শারমিন চৌধুরী ও শিক্ষামন্ত্রী ডা: দীপু মনি। নির্লোভ ও ধৈর্য্যশীল ড.শিরীন নিজের দক্ষ কর্মযজ্ঞে জাতীয় সংসদকে অর্থবহ, কার্যকর ও প্রাণবন্ত করে তুলেছেন। ভোটের মাঠেও তিনি জনপ্রিয়। দেশের ২২ তম রাষ্ট্রপতি হিসেবেও দলীয় নেতা-কর্মীদের পছন্দের তালিকায় সর্বাগ্রে উচ্চারিত হচ্ছে তাঁর নাম।
বাবা যেমন বঙ্গবন্ধুর জন্য বারবার জীবনের ঝুঁকি নিয়েছেন তেমনি তাঁর কন্যা, শিক্ষামন্ত্রী ডা: দীপু মনিও ওয়ান ইলেভেনে নিজের বিশুদ্ধ রক্তের প্রতীকী স্বাক্ষর রেখেছেন। মঈন-ফখরুদ্দিন সরকারের বিপরীতে রাজপথে প্রতিবাদের ঝান্ডা হাতে শেখ হাসিনার মুক্তির পক্ষে প্রবল আওয়াজ তুলেন। অসীম সাহসে চরম ঝুঁকি নেন। আওয়ামী লীগের টানা তিন মেয়াদের মধ্যে দু’মেয়াদে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন চাঁদপুরের এই কৃতি সন্তান। সততার শক্তিতেই ষড়যন্ত্রকারীদের বারবার পর্যদুস্ত করেছেন। নিজ এলাকার ভোটারদের সঙ্গে রয়েছে তাঁর আত্মিক বন্ধন। বিরোধীদের দখলে থাকা চাঁদপুর-৩ আসনটি প্রায় ৩৫ বছর পর তিনিই উপহার দিয়েছেন বঙ্গবন্ধুকন্যাকে। জয়ের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছেন টানা তিনবার। মন্ত্রণালয় ও দলীয় সব কর্মযজ্ঞ সমানতালে সামাল দেওয়ার পাশাপাশি বরাবরই তিনি এলাকামুখী। ভোটের মাঠেও তাঁর জনপ্রিয়তাও ঈর্ষণীয়।
আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে নতুন প্রজন্মের উত্থানের অনন্য উদাহরণ যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ। বাবা শেখ ফজলুল হক মনি ছিলেন যুবলীগের প্রাণপুরুষ, প্রতিষ্ঠিাতা চেয়ারম্যান এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক। ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শক্তি ও সাহস। জীবন দিয়ে তিনি তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করেছেন। শেখ পরশ পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে রক্ত ও উত্তরাধিকারের রাজনীতিকে আরও মহীয়ান করেছেন। ধন্য সেই পুরুষ শেখ মুজিবের ছায়ায় বেড়ে ওঠা শেখ মনির মতো শেখ হাসিনার ছায়ায় বেড়ে ওঠা শেখ পরশ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর ভাবাদর্শকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আরও শক্তিশালী ও মজবুত করেছেন। তাঁর স্পর্শে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে রাজপথে যুবলীগ আজ অপ্রতিরোধ্য এবং অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। নেতৃত্বের বিচক্ষণতায় নিজেকে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষা নেওয়া, পেশায় শিক্ষক শেখ পরশ। সবাই মুগ্ধ তাঁর নেতৃত্বের দূরদর্শীতায়।
ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের পিতা মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক আক্তারুজ্জামান চৌধুরী বাবু, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর বাবা হামিদুর রহমান ও জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের বাবা ছহিউদ্দিন বিশ্বাস বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সান্নিধ্যে থেকে কাজ করেছেন নিরন্তর। বাঙালির প্রিয় ‘মুজিব ভাই’ তাদের পছন্দ করতেন। নিজেদের কর্মদক্ষতায় তাঁরাও তুমুল জনপ্রিয় ছিলেন সারা দেশে। নিজ নিজ বাবার পদাঙ্ক অনুসরণ করে তাদের সন্তানেরাও শ্রম ও মেধার দ্যুতি ছড়িয়েছেন। নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় তাদের গ্রহণযোগ্যতা ও জনপ্রিয়তা রয়েছে।
বাংলাদেশের প্রথম সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচএম কামরুজ্জামানের ৬ সন্তানের মধ্যে রাজনীতিতে বেশি সক্রিয় এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন। তিনি প্রায় এক যুগ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন। পদোন্নতি পেয়ে এখন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। রাজশাহী সিটি করপোরেশনের জননন্দিত এ মেয়র ‘গ্রিন ও ক্লিন সিটি’র রূপকার। রাজশাহী মহানগরের পরিচ্ছন্নতা ও সবুজায়নের প্রশংসা এখন সবার মুখে মুখে। দেশের সিটি করপোরেশনের সফল মেয়রদের তালিকাতেও উচ্চারিত হয় তাঁর নাম।
বাংলাদেশের প্রথম উপ-রাষ্ট্রপতি এবং মুক্তিযুদ্ধকালে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি হিসাবে দায়িত্ব পালনকারী জাতীয় নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলামের পাঁচ সন্তানের মধ্যে রাজনীতিতে সবচেয়ে আলোচিত ও পরিচিত নাম ছিলেন প্রয়াত সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। তিনি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী ছিলেন। তার মৃত্যুর পর তাঁর বোন ডা. সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সিমিন হোসেন রিমি রাজনীতিতে সক্রিয়। দশম এবং একাদশ জাতীয় সংসদের এমপি। তিনিও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য।
বাগেরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের রাজনৈতিক অভিভাবক, জীবন্ত কিংবদন্তি শেখ হেলাল উদ্দিন। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট ভাই শেখ আবু নাসেরের রক্তের উত্তরাধিকার। শেখ হেলাল উদ্দিনের সন্তান শেখ সারহান নাসের তন্ময়ও সংসদ সদস্য। সুদর্শন ও হাস্যোজ্জ্বল শেখ তন্ময় সাধারণ মানুষকে সহজেই কাছে টেনে নিতে পারেন। একজন সুবক্তা ও প্রতিশ্রুতিশীল সংগঠক হিসেবেও তাঁর সুনাম রয়েছে। বঙ্গবন্ধুর পরিবারের তৃতীয় প্রজন্মের মধ্যে রাজনীতিতে তাকে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। বাগেরহাট-২ আসনের এই সংসদ সদস্য সময়ে সময়ে কথা বলেন যুক্তিপূর্ণ ভাষায়। সম্ভাবনাময় এই রাজনীতিক তরুণ প্রজন্মের কাছেও ‘আইকন’ হিসেবে পরিচিত। সম্প্রতি খুলনায় যুবলীগের জেলা ও মহানগরের কাউন্সিলে সবার উপস্থিতিতে শেখ তন্ময়ের বক্তব্য বুদ্ধির সঙ্গে যুক্তির যুগপৎ সম্মিলনে হয়ে ওঠে অনবদ্য।
নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী ও দিনাজপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর বাবা আব্দুর রৌফ চৌধুরী ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, আওয়ামী লীগের রাজনীতিক এবং সাবেক এমপি ও প্রতিমন্ত্রী। ছাত্রলীগেই শুরু তাঁর রাজনীতির ক্যারিয়ার। রৌফ চৌধুরীর সন্তান খালিদ মাহমুদ চৌধুরীও একাধিবার আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। এলাকাতেও তিনি জনপ্রিয়।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী’র বাবা আছাদ আলী ছিলেন স্বাধীনতা যুদ্ধের অন্যতম সংগঠক এবং তৎকালীন পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য। এলাকার মানুষের সঙ্গে রয়েছে তাঁর নিবিড় যোগাযোগ। প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা আহসান উল্লাহ মাস্টারের ছেলে জাহিদ আহসান রাসেল শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী। রাজনীতিতে তাঁর ইমেজ ভালো। এলাকাতেও তিনি নিয়ম করেই সময় দেন।
চট্টল বীর, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের বারবার নির্বাচিত মেয়র প্রয়াত এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর বড় ছেলে মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এমপি সরকারের শিক্ষা উপমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি এর আগে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে নাহিম রাজ্জাক। নবম জাতীয় সংসদ থেকে টানা তৃতীয়বারের মতো তিনি শরীয়তপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। এলাকায় তাঁর অবস্থান সুসংহত।
আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মন্ত্রী আব্দুল জলিলের ছেলে ব্যারিস্টার নিজাম উদ্দিন জলিল জন আওয়ামী লীগের মনোনয়নে বর্তমানে সংসদ সদস্য। বঙ্গবন্ধুর অন্যতম সহচর এম মনসুর আলীর পরিবারের সদস্যদের মধ্যে বর্তমানে সংসদে আছেন তার নাতি তানভীর শাকিল জয়। জয়ের বাবা প্রয়াত নেতা মোহাম্মদ নাসিম। তিনি আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ১৪ দলের সমন্বয়ক ছিলেন। মন্ত্রী হিসাবে মোহাম্মদ নাসিম গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় সামলেছেন দক্ষ হাতে। তরুণ এ সংসদ সদস্য এলাকার মানুষের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করেন। বাবার পদাঙ্ক অনুসরণ করেই রাজনীতিতে নিজেকে মেলে ধরছেন।
সাবেক রাষ্ট্রপতি ও আওয়ামী লীগ নেতা জিল্লুর রহমানের ছেলে নাজমুল হাসান পাপন বাবার আসন থেকে তৃতীয়বারের মতো আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। ব্যস্ততার ভেতরেও এলাকায় তাঁর যোগাযোগ রয়েছে।
বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের তিন ছেলের মধ্যে রেজওয়ান আহমেদ তৌফিফ কিশোরগঞ্জ-৪ আসন থেকে টানা তিনবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য। বেশিরভাগ সময় হাওরেই কাটান। তৃণমূলের সঙ্গে সখ্যতা-হৃদ্যতার রাজনীতিতে তিনি এক অনুকরণীয় উদাহরণ। বাবার মতো তিনিও এলাকায় ভীষণ জনপ্রিয়। স্থানীয় বাসিন্দারা তাকে ডাকেন ‘ভাটির রত্ন’ নামে।
সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি-চৌহালী) আসনের বর্তমান এমপি আবদুল মজিদ মণ্ডলের ছেলে আবদুল মমিন মণ্ডল (সিআইপি) জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি রাজশাহী বিভাগের সর্বকনিষ্ঠ সংসদ সদস্য। তরুণ এ নেতা এলাকামুখী। এলাকায় তাঁর নিয়মিত যাতায়াত রয়েছে।
নবীগঞ্জ-বাহুবল উপজেলা নিয়ে গঠিত হবিগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের গাজী মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ (মিলাদ গাজী)। হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য শাহ নেওয়াজ মিলাদ গাজী সাবেক মন্ত্রী, বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর প্রয়াত দেওয়ান ফরিদ গাজীর ছেলে।
কুমিল্লা-৪ আসনের সংসদ সদস্য রাজি মোহাম্মদ ফখরুল। তার পিতা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এএফএম ফখরুল ইসলাম মুনশী কুমিল্লা-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবং উপমন্ত্রী ছিলেন। রাজি মোহাম্মদ ফখরুল প্রতি মাসে একাধিকবার এলাকায় যান। এলাকার মানুষের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ নিবিড়।
বরিশালের সংসদ সদস্য আবুল হাসনাত আবদুল্লাহর ছেলে সেরনিয়াবাত সাদেক আবদুল্লাহ বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র। এলাকায় তাঁর উপস্থিতি সার্বক্ষণিক। আধুনিক ও দৃষ্টিনন্দন মডেল বরিশাল সিটি গড়ে তোলার এই কারিগর তরুণ ও যুবাদের কাছে জনপ্রিয়।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতিবিদ, গণপরিষদের সাবেক সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী। তার বড় ছেলে মাদারীপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর ই আলম চৌধুরী লিটন। ছোট ছেলে মজিবুর রহমান চৌধুরী (নিক্সন চৌধুরী) ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য। নিক্সন চৌধুরী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। ভোটের মাঠে তিনি অপ্রতিদ্বন্দ্বী। ভোটের সব সমীকরণেই তাঁর সঙ্গে কুলিয়ে ওঠার মতো কোন ক্যান্ডিডেট নেই আসনটিতে।
আবুল খায়ের মোহাম্মদ শামসুজ্জোহা (একেএম শামসুজ্জোহা) আওয়ামী লীগের প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ ও সাবেক সংসদ সদস্য। তার সন্তান শামীম ওসমান নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য। দিনাজপুরের সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি এম আব্দুর রহীমের ছেলে ইকবালুর রহীম দিনাজপুর-৩ আসন থেকে টানা তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। দু:সময়ে ছাত্রলীগকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। এখন সংসদের হুইপ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
আওয়ামী লীগের সাবেক উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ঢাকা-৯ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাজী মকবুল হোসেনের ছেলে আহসানুল ইসলাম টিটু টাঙ্গাইল-৬ আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য। ময়মনসিংহ-২ (ফুলপুর-তারাকান্দা) আসন থেকে ৫ বার নির্বাচিত সংসদ সদস্য প্রয়াত শামসুল হকের পুত্র শরীফ আহমেদ একই আসনের সংসদ সদস্য। ছাত্রলীগের রাজনীতির মাধ্যমে তাঁর হাতেখড়ি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আস্থায় প্রথমে সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ও বর্তমানে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দক্ষতার সঙ্গে নিজের দায়িত্ব সামাল দিচ্ছেন। এলাকায় ভোট রাজনীতিতেও নিজেকে নিয়ে গেছেন বিকল্পহীন উচ্চতায়।
প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত আলতাফ হোসেন গোলন্দাজের ছেলে ফাহমি গোলন্দাজ বাবেল ময়মনসিংহ-১০ (গফরগাঁও) আসন থেকে টানা দু’বারের সংসদ সদস্য। সংসদ সদস্য হওয়ার আগে তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান ছিলেন। স্থানীয় গফরগাঁওকে তিনি আওয়ামী লীগের দুর্ভেদ্য ঘাঁটি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
আওয়ামী লীগের সাবেক উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এইচটি ইমামের ছেলে তানভীর ইমাম সিরাজগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য। পাবনার সাবেক সংসদ সদস্য আহমেদ তফিজ উদ্দিনের ছেলে আহমেদ ফিরোজ কবির পাবনা-২ আসনের সংসদ সদস্য। সাবেক সংসদ সদস্য এমএম নজরুল ইসলামের ছেলে আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব ভোলা-৪ আসনের সংসদ সদস্য। পানিসম্পদ এবং বন ও পরিবেশ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন। সাবেক সংসদ সদস্য করিম উদ্দিন আহমেদের ছেলে লালমনিরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য ও সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ। আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি এখলাস উদ্দিন আহমদের ছেলে কবিরুল হক মুক্তি নড়াইল-১ আসনের সংসদ সদস্য।
প্রত্যেকেই দৃঢ়ভাবেই বিশ্বাস করেন, সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা ‘তলাবিহীন ঝুড়ির’ অপবাদকে চ্যালেঞ্জ করে বাংলাদেশকে বিশ্বপরিমন্ডলে উন্নয়নের ‘রোল মডেল’ হিসেবে উপস্থাপন করেছেন। বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশকে উন্নয়ন-সমৃদ্ধির মহাসোপানে নিয়ে গেছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণের পথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাদুকরি নেতৃত্বে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি চলমান অগ্রযাত্রাকে সমুন্নত রাখতে নিজেদের নিবেদন করেছেন একদিন-প্রতিদিন। তাদের হৃদয়ে চিরকাল বঙ্গবন্ধু এবং প্রেরণার বাতিঘর একজন শেখ হাসিনা।
কালের আলো/এমএএএমকে