নবযাত্রায় ‘স্মার্ট ডিএমপি’র দৃঢ় প্রত্যয়

প্রকাশিতঃ 9:52 pm | February 11, 2023

বিশেষ সংবাদদাতা, কালের আলো:

৪৯ বছরে পদার্পণ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। স্বভাবতই উৎসবমুখর এক পরিবেশ। অপার সম্ভাবনায় স্বপ্নের দিকে হাত বাড়িয়ে দেওয়ার দিন। প্রীতি উজ্জ্বল নির্মল জীবনে শুভ্র সুন্দরের বারতায় প্রাণবন্ত এক মিলনমেলা। মৈত্রী ও সম্প্রীতির যেন এক উদার মিলনক্ষেত্র! নগরীর বাসিন্দাদের সুখ-সমৃদ্ধি ও সামনের দিনেও শান্তিময় পরিবেশ উপহারে একাট্টা হওয়ার শপথ নেওয়ার দিনটি কার্যত হয়ে উঠলো অনন্য মহিমাময়।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব মো.আমিনুল ইসলাম, ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন ও ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক থেকে শুরু করে বরেণ্য রাজনীতিক, বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক, চলচ্চিত্রের তারকাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের স্বত:স্ফূর্ত অংশগ্রহণ নতুন স্বপ্নে, নতুন সাহস ও অঙ্গীকারে ‘স্মার্ট ডিএমপি’ গড়তে যেন নিজেদের আন্দোলিত করেছেন প্রবলভাবেই।

প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনার রূপকল্প ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশের উপযোগী ‘স্মার্ট ডিএমপি’ গড়ার প্রত্যয়ের মাধ্যমে রাজধানীবাসীর আকুন্ঠ সমর্থন আর পুলিশ-জনতার হৃদয় দিয়ে হৃদয় কেনার বার্তাও ধ্বনিত হয়েছে নিজেদের অবিনাশী চেতনার মর্মমূলে। অবারিত আনন্দের ফল্গুধারায় শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) ৪৮ টি বসন্ত পূর্ণ করেছে বাংলাদেশ পুলিশের সর্ববৃহৎ এই ইউনিটটি। এদিন বিকেলে রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে ডিএমপি’র ৪৮ তম প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করেন ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।

ডিএমপি নেতৃত্ব এই দিনটিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব মো.আমিনুল ইসলাম ও ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বাস্তবতার নিরিখে যুক্তিনির্ভর দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্যে আলোড়িত হয়েছেন। নব উদ্যমে কাজ করার উৎসাহ-প্রেরণা পেয়েছেন। অনুষ্ঠানে পুলিশের সাবেক আইজি ও ডিএমপি কমিশনারসহ বর্তমান উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে বিকেল ৩ টার দিকে ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে পুলিশ আছে জনতার পাশে’ এ স্লোগানে গৌরবময় সেবার ৪৮ বছর পূর্তির বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ঘুরে রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে গিয়ে শেষ হয়। শোভাযাত্রায় ডিএমপির সুসজ্জিত অশ্বারোহী ও ব্যান্ড দল, ডগ স্কোয়াড, সোয়াট, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটসহ অন্যান্য ইউনিটের সদস্যরা যুক্ত ছিলেন।

পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান রাজারবাগ পুলিশ লাইনস মাঠে কেক কেটে প্রতিষ্ঠা দিবসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। ডিএমপির সার্বিক কার্যক্রমের ওপর একটি ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়। এরপর রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে সন্ধ্যায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে দেশের খ্যাতনামা অভিনেতা, অভিনেত্রী, সংগীতশিল্পী ও নৃত্যশিল্পী এবং ডিএমপি শিল্পীগোষ্ঠী অংশগ্রহণ করেন।

ডিএমপি ঢাকাবাসীকে নিরাপত্তা দিতে সক্ষম হয়েছে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ডিএমপির ৪৮ তম প্রতিষ্ঠা দিবসে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ডিএমপির সামগ্রিক কর্মযজ্ঞের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ঢাকাবাসীকে নিরাপত্তা দিতে সক্ষম হয়েছে বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা যে এগিয়ে যাচ্ছি, এর পেছনের শক্তিটা হলো শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা করতে পারছি বলেই এগিয়ে যাচ্ছি। পুলিশ শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় মুখ্য ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। ঢাকায় ২ কোটি মানুষের বাস, এখানে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা সহজ কথা নয়। কিন্তু, ডিএমপি ঢাকাবাসীকে নিরাপত্তা দিতে সক্ষম হয়েছে।’ আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু আহ্বান করেছিলেন বাংলাদেশের পুলিশকে জনগণের পুলিশ হওয়ার জন্য। আজ পুলিশ সে জায়গায়টিতে এসেছে। জনগণের আস্থার জায়গা, বিশ্বাসের জায়গাটাতে পুলিশ আসছে। পুলিশ আজ জনগণের বন্ধু।’

বঙ্গবন্ধু ডিএমপি তৈরির স্বপ্ন দেখেছিলেন, তার প্রচেষ্টাতেই ডিএমপির যাত্রা শুরু হয়েছিল উল্লেখ করে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘আজ ডিএমপি ৪৮ বছরে পদার্পণ করেছে। ৫০টি থানাসহ ডিএমপিতে আরও ইউনিট রয়েছে, যারা সবসময় কাজ করে যাচ্ছে।’

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘যখন আমরা দিশেহারা হয়ে গিয়েছিলাম জঙ্গি উত্থানের কারণে। হোমগ্রোথ টেরোরিস্ট এবং আন্তর্জাতিক টেরোরিস্টের যোগসাজসে জঙ্গি যে প্রচেষ্টা হয়েছিল। তখন প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় ডিএমপিতে সিটিটিসি প্রতিষ্ঠা করা হয়। সিটিটিসি অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে জঙ্গি দমন করতে পেরেছে।’

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘২০১৪-১৫ অগ্নিসন্ত্রাসের মাধ্যমে মানুষকে হত্যা করার দৃশ্য আপনারা দেখেছিলেন। জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মারার দৃশ্য দেখেছেন। তখন পুলিশ কাজ করছে, অনেক পুলিশ সদস্য শাহাদাত বরণ করেছে। প্রত্যেকটা আন্দোলন প্রত্যেকটা সঙ্কটে পুলিশ অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে বীরত্বের সঙ্গে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে কাজ করে যাচ্ছে বলেই আজ বাংলাদেশের এই দুর্বার অগ্রগতি।’

ডিএমপি সাহসী সেই পুলিশের উত্তরাধিকারের পতাকা বহন করে চলেছে : জননিরাপত্তা সচিব
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান বলেন, ‘হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে এ রাজাগারবাগ পুলিশ লাইন থেকে সশস্ত্র প্রতিরোধ যুদ্ধ শুরু হয়। ২৫ মার্চে ৭৮ জন শাহাদাত বরণ করেন। আজকের ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) সাহসী সেই পুলিশের উত্তরাধিকারের পতাকা বহন করে চলেছে।’

ডিএমপি হচ্ছে বাংলাদেশ পুলিশের মুখচ্ছবি-এমনটি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ডিএমপিকে দেখেই বোঝা যাবে যে, বাংলাদেশের পুলিশ কীভাবে কাজ করছে, জনগণের সেবক হয়ে সুখে-দু:খে-আনন্দ বেদনায় জনগণের পাশে আছে। জাতির পিতা চেয়েছিলেন বাংলাদেশ পুলিশ পরাধীন পুলিশের মতো শুধুমাত্র আজ্ঞাবাহী হবে না, পদলেহী হবে না, তারা জনগণের সেবক হবে, জনগণের পাশে থাকবে। ডিএমপি সৃষ্টির পর থেকেই জাতির পিতা এ চিন্তা চেতনাকে ধারণ করে ডিএমপি এগিয়ে যাচ্ছে।’

ডিএমপি নানাবিধ চাহিদা, সমস্যা-সঙ্কট মোকাবিলা করছে জানিয়ে এ জ্যেষ্ঠ সচিব আরও বলেন, ‘রাজধানীর জনসংখ্যা যেমন বেড়েছে তেমনি ডিএমপির সংখ্যাও বেড়েছে। অপরাধের ধরন যেমন পাল্টাচ্ছে, ডিএমপির কার্যক্রমের পদ্ধতি ও তেমন পাল্টাচ্ছে। প্রতিনিয়তই সমাজের নানাবিধ চ্যালেঞ্জগুলোকে মোকাবিলা করার জন্য নিজেদেরকে উন্নত করে যাচ্ছে ডিএমপি। সময়ের সঙ্গে চাহিদার সঙ্গে তাল মেলাতে হচ্ছে তাদেরকে।’

দেশের সমস্ত সঙ্কটে সাহসিকতার সঙ্গে কাজ করেছে ডিএমপি, এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘সাইবার ক্রাইম, নারী নির্যাতন, চুরি-ডাকাতি-রাহাজানি সমস্ত অপরাধের ক্ষেত্রে ৯৯৯ জনগণের কাছে আস্থার প্রতীকে পরিণত হয়েছে। আমি দ্ব্যর্থহীন ভাষায়, প্রত্যয়ের সঙ্গে বলতে চাই, ডিএমপি এখন জনগণের আস্থার প্রতীকে পরিণত হয়েছে। তারা অঙ্গীকার করেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সালে যে স্মার্ট বাংলাদেশ হবে সেখানে আমাদের দরকার স্মার্ট পুলিশ, স্মার্ট ডিএমপি। এ লক্ষে তাঁরা কাজ করে চলেছে। জনগণের সঙ্গে নিবিড়ভাবে আস্থার সঙ্গেই তাঁরা কাজ করে চলেছে।’

স্মার্ট পুলিশে উন্নীত করতে ডিএমপির প্রতিটি সদস্য হবে অগ্রসৈনিক : আইজিপি
ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ বাংলাদেশ (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বলেন, ‘ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে পেশাদারিত্ব ও দক্ষতার সঙ্গে বিশ্বের অন্যতম মেগাসিটির নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে। নারী ও শিশুদের সুরক্ষায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কুইক রেসপন্স টিম গঠন করেছে যা নি:সন্দেহে একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ। কমিউনিটি পুলিশিং যার সদস্য সংখ্যা প্রায় ১৫ হাজারের ওপরে, বিট পুলিশিং কার্যক্রম চলছে ৩০৬ টি বিটে। এর মাধ্যমে ডিএমপি জনসাধারণের সঙ্গে সুসম্পর্কের সেতুবন্ধন তৈরি করেছে যা সত্যিই অতুলনীয়।’

তিনি বলেন, ‘বর্তমানে ৫০ টি থানা নিয়ে ডিএমপি বাংলাদেশ পুলিশের সর্ববৃহৎ ইউনিট হিসেবে কাজ করছে। আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি ঢাকার সম্মানিত নাগরিকদের প্রতি। যাদের দায়িত্ববোধ ও সর্বাত্মক সহযোগিতায় ডিএমপি এগিয়ে চলছে। শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে সম্মানিত নগরবাসীর ভূমিকা অগ্রগণ্য। তদুপরি নাগরিকদের মাঝে আইনের প্রতি শ্রদ্ধার সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দেশ ও সরকার ব্যবস্থার দর্পণ। সম্মানিত নাগরিকদের সঙ্গে ডিএমপির সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যরে মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখা ডিএমপির মূলমন্ত্র।’

আইজিপি সন্ত্রাস ও জঙ্গি দমনে ডিএমপির সাহসিকতার প্রশংসা করে বলেন, ‘২০১৩ সালে শাপলা চত্বরে ডিএমপির সাহসী ভূমিকা, ২০১৬ পর্যন্ত আগুন সন্ত্রাস ও হলি আর্টিজানে জঙ্গি আক্রমণ দমনে ডিএমপির ভূমিকা বাংলাদেশের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে বাংলাদেশ পুলিশকে স্মার্ট পুলিশে উন্নীত করতে ডিএমপির প্রতিটি সদস্য অগ্রসৈনিক হবে আমি এই প্রত্যাশা করি। ইতোমধ্যেই ডিএমপির কমিশনার স্মার্ট ডিএমপি গড়তে দৃঢ় প্রত্যয়ের কথা জানিয়েছেন। নিরাপদ টেকসই ও স্মার্ট ঢাকা নগরী বিনির্মাণের পাশাপাশি জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা, আত্মমর্যাদাশীল ও সমৃদ্ধ জাতি হিসেবে উন্নীত করতে কাজ করে যাবে বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।’

স্মার্ট ডিএমপি গঠনে আমরা বদ্ধপরিকর : ডিএমপি কমিশনার
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে বলেন, ‘বিশ্বের অন্যতম মেগাসিটি, বৈচিত্র্যময় মহানগরী ঢাকার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা স্থিতিশীল রাখা, অপরাধ দমন ও নিয়ন্ত্রণ, উন্নয়ন প্রকল্প সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন ও বিনিয়োগবান্ধব স্থিতিশীল পরিবেশ বজায় রাখতে ‘টিম ডিএমপি’ বাংলাদেশ পুলিশের মুখচ্ছবি হিসেবে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। জঙ্গি, সন্ত্রাস নাশকতা দমন, স্থিতিশীল আইনশৃঙ্খলা ও জনমনে পুলিশি সেবা দ্রুত নিশ্চিত করা ও সমসাময়িক অপরাধীদের ধরন ও গতি প্রকৃতি ধরন বিবেচনা করে বিশেষত সাইবার অপরাধ দমনে তথ্যপ্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে যুগোপযোগী পুলিশি সেবা নিশ্চিত করতে আমরা বদ্ধপরিকর।’

জঙ্গি, সন্ত্রাস ও নাশকতা সৃষ্টির অপপ্রয়াস রুখে দিতে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘অতীতে যারা জঙ্গি, সন্ত্রাস ও নাশকতা সৃষ্টি করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ তাদের কঠোর হস্তে দমন করেছে। বর্তমানে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সক্ষমতা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। কোনও ব্যক্তি বা গোষ্ঠী ভবিষ্যতে জঙ্গি, সন্ত্রাস ও নাশকতা সৃষ্টির অপপ্রয়াস চালালে জনগণের জানপ্রাণের নিরাপত্তা ও রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের জনগণের পুলিশ হওয়ার প্রত্যয়ে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে সেতুবন্ধন তৈরি করে জনগণের দোরগোড়ায় পুলিশী সেবা পৌঁছে দিতে আমরা নিরন্তর প্রয়াস অব্যাহত রেখেছি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্নপূরণে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি এবং আগামীতে স্মার্ট ডিএমপি গঠনে আমরা বদ্ধপরিকর।’

কালের আলো/এমএএএমকে