প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে মেয়র আতিকের গান, উচ্ছ্বাস-করতালি শেখ হাসিনার
প্রকাশিতঃ 10:44 pm | February 19, 2023
বিশেষ সংবাদদাতা, কালের আলো:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুষ্ঠানস্থলে এসে পৌঁছার আগেই বক্তব্য শুরু করেছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো.আতিকুল ইসলাম। রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর মিরপুরে ইসিবি চত্বর থেকে মিরপুর পর্যন্ত সড়ক প্রশস্তকরণ এবং কালশী ফ্লাইওভার উদ্বোধনে স্থানীয় কালশী বালুর মাঠে আয়োজিত সুধী সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন তিনি। ঘড়ির কাঁটায় সকাল ১০ টা ৫০ মিনিট। অনুষ্ঠানস্থলে এসে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর তিনি প্রকল্পের উদ্বোধনের পর অনুষ্ঠানের সভা মঞ্চে গিয়ে বসলে পুনরায় বক্তব্য শুরু করেন ডিএনসিসি মেয়র।
আরও পড়ুন: চওড়া হাসি মিরপুরবাসীর মুখে; ঢাকাকে স্মার্ট সিটিতে রূপান্তরের অঙ্গীকার প্রধানমন্ত্রীর
পুনরায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে শুরুতেই মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘কবির ভাষায় ফুল ফুটুক আর না ফুটুক আজ বসন্ত। ঢাকাবাসী তথা মিরপুরবাসীর জন্য আজ সত্যিই বসন্তের দিন। ধন্যবাদ জানাই স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। এই ফ্লাইওভারটি প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে মিরপুরবাসীর জন্য বসন্তের বাসন্তী উপহার।’
তিনি প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শিতা, প্রজ্ঞা ও সাহসী পদক্ষেপের কারণে আমাদের অর্থনীতি আজ সুরক্ষিত, আমরা সুরক্ষিত। বঙ্গবন্ধুর পররাষ্ট্রনীতি সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব আপনি সেটি সফল করে বাস্তবায়ন করেছেন। এই দেশে ভূমিহীনদের ভূমি দিয়েছেন, ঘরহীনদের ঘর দিয়েছেন, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে মানবিকতা দেখিয়েছেন, ঢাকায় এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েসহ সবকিছু। আপনি কী করেননি আমাদের জন্য! আপনি মমতার হাত মাথায় দিয়ে আমাদের আগলে রেখেছেন। আপনি স্নেহময়ী বাংলার ১৬ কোটি মানুষের চির আপনজন।’
এরপরেও গানের সুরে ডিএনসিসি মেয়র গাইতে থাকেন-‘১৬ কোটি মানুষের মরমিয়া, শেখ হাসিনা তুমি শেখ হাসিনা…, দেশটাকে ভালোবাসো জীবন দিয়া, শেখের বেটি তুমি শেখ হাসিনা…।’ গান শুনে মঞ্চে বসে হাসতে দেখা যায় শেখ হাসিনাকে। তিনি মেয়রের কন্ঠে গানে তুমুল উচ্ছ্বাস নিয়ে করতালি দেন। এ সময় মঞ্চে বসা মন্ত্রী, সেনাপ্রধানসহ অন্যরা এবং সামনে বসা আমন্ত্রিত অতিথিরাও হাততালি দিয়ে মেয়রের গানকে স্বাগত জানান। এর আগেও প্রধানমন্ত্রীর সামনে একাধিকবার নিজের কন্ঠে গান পরিবেশন করে বিভিন্ন দাবি আদায় করে নিয়েছেন উত্তরের জনবান্ধব এ নগর পিতা।
প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে আসার আগে ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘কালশী ফ্লাইওভার উদ্বোধনের মাধ্যমে ঢাকাবাসী এক নতুন দিগন্তের শুভ সূচনা হবে। আগে মিরপুরের ১২ নম্বরে আসতে জনগণের ১২ টা বেজে যেতো। এখন সেই ১২ টা বাজবে না, ১২ মিনিটও লাগবে না এই এলাকা ক্রস করতে। কালশীতে আগে জলজট ও যানজট থাকতো। এখন যানজট ও জলজট নেই।’
‘আওয়ামী লীগের কোন ব্যাক গিয়ার নেই, একটিই মাত্র গিয়ার উন্নয়নের ফ্রন্ট গিয়ার। আমি মনে করি আওয়ামী লীগ কথা কম কাজ বেশি করে। ধন্যবাদ জানাই নির্দিষ্ট সময়ের আগেই কাজগুলো করে দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ারিং ব্রিগেডকে। কারণ তারা নির্ধারিত সময়ের ৪ মাস আগেই পুরো কাজটি বাস্তবায়ন করেছে। ইচ্ছা থাকলে উপায় হয় তাঁর প্রমাণ কালশী ফ্লাইওভার।’
নিজের আন্তরিক হৃদ্যতাপূর্ণ কথামালায় মেয়র আতিকুল ইসলাম বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ড.এস এম শফিউদ্দিন আহমেদরও প্রশংসা করেন। এ সময় তিনি তাঁর কাছে একটি দাবিও উত্থাপন করেন। মেয়র আতিক বলেন, ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সেনাপ্রধান বসে আছেন। আমি দেখেছি যেখানেই সমস্যা সেখানেই বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আমাদের কাজ করে দিয়েছে। সেনাপ্রধানকে বিনয়ের সঙ্গে অনুরোধ করবো মেট্রোরেলের নিচের জায়গাটি মেহেরবাণী করে আমাদের দিয়ে দিলে আমরা চওড়া করে দিবো। সেনাবাহিনী ও জনগণের বন্ধুত্ব আরও সুদৃঢ় করবো। আমি ভলিবলের প্রেসিডেন্ট, ভলিবল যখন উন্নতি করে, মাননীয় সেনাপ্রধান আপনি নিজে প্রত্যেকটি ভলিবলের প্লেয়ারকে সম্মান দিয়েছেন। এজন্য আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই সেনাপ্রধানকে।’
কালের আলো/পিএসবি/এমএমকে