ঈদে নির্বাচনী আমেজে ভোট প্রস্তুতি
প্রকাশিতঃ 10:37 pm | July 02, 2023

কালের আলো রিপোর্ট:
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে শেষ ঈদ। নিজ এলাকার ভোটারদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে এলাকামুখী ছিলেন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থেকে শুরু করে সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা। তাঁরা নির্বাচনী আমেজে নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন। অনেকেই নিজ নিজ সংসদীয় আসনে রঙিন পোস্টার, বিলবোর্ড আর তোরণের মাধ্যমে ভোটারদের ঈদ শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। গরিব-দু:খীদের ঈদ সামগ্রী বিতরণের পাশাপাশি কোরবানির মাংস বিতরণ করেছেন।
বেশিরভাগ হেভিওয়েট এলাকায় ঈদের নামাজ পড়েছেন এবং স্থানীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে ঈদ উদযাপন করেছেন। ভোট সামনে রেখে তারা সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি নির্বাচনী প্রচারও চালিয়েছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে নেতারা ঈদের ছুটিতে নির্বাচনী জনসংযোগ বা প্রচারে ব্যস্ত সময় পার করেছেন। তৃণমূলে সরকারের উন্নয়নের বার্তা পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি বিরোধীদের ষড়যন্ত্রের কথা মানুষের কাছে তুলে ধরেছেন। এলাকায় নিজেদের অবস্থান আরও দৃঢ় করেছেন।
সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির শেষ বৈঠকে দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা দলের নেতা ও এমপি-মন্ত্রীদের ভোটের আগে এলাকায় বেশি সময় দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। ঘরে ঘরে গিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে সরকারের উন্নয়ন ও বিএনপি-জামায়াত আমলের দু:শাসনের চিত্র তুলে ধরতে বলেছেন। একই সঙ্গে বিরোধী দলের নানা ষড়যন্ত্রের কথাও জনগণকে স্মরণ করিয়ে দিতে বলেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। এসব তৎপরতার মাধ্যমে মানুষের মন জয় করে এলাকায় নিজের ও দলের অবস্থান সুসংহত করার নির্দেশনাও দিয়েছেন শেখ হাসিনা। এসব নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে নেতারা সবাই অন্যান্য সময়ের মতোই ঈদেও এলাকামুখী ছিলেন। নিবিড় সংযোগ স্থাপন করেছিলেন ভোটারদের সঙ্গে।
নির্বাচনী এলাকায় ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়ে প্রধানমন্ত্রী
ঈদের পরের দিন নিজ নির্বাচনী এলাকায় যান আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (১ জুলাই) সকালে দু’দিনের সফরে কোটালীপাড়া পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। এ সময় স্থানীয় নেতাকর্মীরা তাকে স্বাগত জানান। স্লোগানে স্লোগানে বরণ করে নেন প্রধানমন্ত্রীকে। পরে কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের উদ্বোধন করেন। উদ্বোধন শেষে কার্যালয় চত্বরে তিনটি গাছের চারা রোপণ করেন তিনি। এরপর কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় ও দুপুরের খাবার খান প্রধানমন্ত্রী। পরে কোটালীপাড়া থেকে টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশে রওনা হন তিনি।
টুঙ্গিপাড়া পৌঁছে প্রথমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর টুঙ্গিপাড়ার নিজ বাড়িতে বিশ্রামে যান প্রধানমন্ত্রী। এদিন টুঙ্গিপাড়ায় প্রটোকল ভেঙে নিজ বাড়ি থেকে আধা কিলোমিটার হেঁটে উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে পৌঁছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। দু’দিন সফরের শেষ দিনে রোববার (২ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় স্থানীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করতে উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে যান তিনি। এ সময় উষ্ণ অভ্যর্থনা আর স্লোগানে ও মিছিলে বঙ্গবন্ধুকন্যাকে বরণ করে নেন স্থানীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ। পরে প্রধানমন্ত্রী অংশ নেন উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আয়োজিত ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে। সেখানে বক্তব্য রাখেন তিনি। এছাড়া স্থানীয় নেতাকর্মীদের কথাও শোনেন সরকার প্রধান।
সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের প্রচারণায় গুরুত্ব
আওয়ামী লীগের বেশিরভাগ হেভিওয়েট এলাকায় ঈদের নামাজ পড়েছেন এবং স্থানীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে ঈদ উদযাপন করেছেন। ভোট সামনে রেখে তারা সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের প্রচারণায় বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। একই সঙ্গে অসহায় দিনমজুর মানুষের খোঁজ খবর নিয়ে তাদের পাশে দাঁড়িয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। সরকারি প্রকল্পের উপকারভোগীদের সার্বিক
খোঁজখবর নিয়েছেন।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী ও কৃষিমন্ত্রী ড.আব্দুর রাজ্জাক ঢাকায় ঈদ করে নির্বাচনী এলাকায় যান। সভাপতিমণ্ডলীর অপর সদস্য আব্দুর রহমান নিজ এলাকা ফরিদপুরে ঈদ করেন।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ দল ও মন্ত্রণালয় সমানতালে সামলে নিয়মিতই তাঁর নির্বাচনী এলাকা রাঙ্গুনিয়া ও বোয়ালখালীতে সময় দেন। সপ্তাহের প্রতি শুক্র ও শনিবার তিনি এলাকায় অবস্থান করেন। এবারের ঈদেও নিজ গ্রাম চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার সুখবিলাসে ঈদের নামাজ আদায় করেন। নির্বাচনী এলাকায় সর্বসাধারণের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, রাষ্ট্রের একজন মন্ত্রী হয়েও ড. হাছান মাহমুদ সবসময় এলাকাবাসীর খোঁজখবর রাখেন। প্রতিবার গ্রামে এসে যেভাবে সব সম্প্রদায়ের মানুষের সঙ্গে মিশে যান, সেটা যেমন এক অনন্য দৃষ্টান্ত তেমনি আনন্দেরও। চট্টগ্রাম-৭ আসনে তিনি রেকর্ড উন্নয়ন উপহার দিয়েছেন। প্রথমবার মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। জয়ের ধারা অব্যাহত রেখেছেন। পরপর তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি চালকের আসনে রয়েছেন। দল ও সরকারে তিনি গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় তার ইমেজ নষ্টে অপতৎপরতা শুরু করেছে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি। তবে চট্টগ্রাম-৭ আসনের ভোটাররা এসব অপপ্রচার ঘৃণাভরেই প্রত্যাখ্যান করেছেন।
নিজ এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করেছেন চাঁদপুর-৩ (সদর ও হাইমচর) আসনের টানা তিনবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী ডা: দীপু মনি। এমনিতেই এলাকায় তার নিয়মিত উপস্থিতি রয়েছে। এলাকার সাধারণ মানুষের সঙ্গে তাঁর নিবিড় যোগাযোগের ফলেই প্রায় ৩৫ বছর হাতছাড়া থাকা আসনটিতে ২০০৮ সালে ভোট বিপ্লব ঘটিয়ে জিতে আসেন ডা.দীপু মনি। জয়ের ধারাবাহিকতা অক্ষুন্ন রেখেছেন সেই সময় থেকেই। টানা তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে বহুমাত্রিক উন্নয়ন কর্মযজ্ঞের মাধ্যমে বঞ্চনার শেকলমুক্ত করেন চাঁদপুরকে। পরিকল্পিত উন্নয়নের সুবাতাস ছড়িয়ে স্থানীয় ভোটারদের কাছেও ডা.দীপু মনি হয়ে উঠেছেন আস্থা আর বিশ্বাসের নাম।
ক্ষমতাসীন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল-আলম হানিফও শুক্র ও শনিবার সুযোগ পেলেই এলাকায় যান। নিজ নির্বাচনী এলাকা কুষ্টিয়ায় ঈদ করেছেন। তিনি নেতাকর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করার পাশাপাশি সরকারি উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরে অসহায় দিনমজুর মানুষের খোঁজ খবর নিয়েছেন।
কুমিল্লা-৯ (লাকসাম-মনোহরগঞ্জ) আসন থেকে চারবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য মো.তাজুল ইসলাম নিজ নির্বাচনী এলাকায় ঈদ করেছেন। ঈদে এলাকার মানুষের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি যেমন করেছেন তেমনি শুক্রবার (৩০ জুন) কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলায় একদিনে ১২ টি স্থানে পথসভায় বক্তব্য রেখেছেন। নিজ এলাকার উন্নয়ন চিত্র ভোটারদের সামনে তুলে ধরেছেন। মোটা দাগে বিএনপির নির্বাচন বানচালের সমালোচনায় মুখর ছিলেন। দল ও সাধারণ মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য এই মন্ত্রীর কর্মদক্ষতার প্রশংসা বিভিন্ন সময়ে করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরও।
পিরোজপুর-১ আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম ঈদের দিন বিদেশ থেকে দেশে ফিরেই এলাকায় ছুটে যান। তিনি পরদিন নাজিরপুর উপজেলার বাসভবনে নেতাকর্মীদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শ ম রেজাউল করিমকে যখন যে মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়েছেন সেখানেই নিজেকে মেলে ধরেছেন তিনি। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী হিসেবেও মন্ত্রণালয়টিতে তিনি নতুন উচ্চতায় নিয়ে এসে নিজের যোগ্যতার পরিচয় দিয়েছেন। নিজ এলাকার ভোটারদের সঙ্গে সুসম্পর্কের সেতুবন্ধ রচনায় সক্ষম হয়েছেন এই দক্ষ রাজনীতিক। ভোটের মাঠে সুসংহত করেছেন নিজেকে।
ঢাকা-১৯ (সাভার-আশুলিয়া) থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা: এনামুর রহমান দলীয় নেতাকর্মী ও গরিব ও অসহায় মানুষের সঙ্গে ঈদের আনন্দে মেতেছিলেন। তিনি সব সময় সাভারেই অবস্থান করে নিয়মিত নিজ দপ্তরে অফিস করেন। জনসম্পৃক্ত নানা উদ্যোগের মাধ্যমে তিনি নিজ এলাকার তৃণমূলে নির্বাচনী আবহ তৈরি করতে সক্ষমতার পরিচয় দিয়েছেন। এর ফলে বিএনপি ও তাদের মিত্রদের নির্বাচন ঠেকানোর সুগভীর ষড়যন্ত্র সাভার-আশুলিয়ার মাটিতে হালে পানি পাচ্ছে না। ঈদের সময়টিতে দলীয় নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করতে দলীয় বিভিন্ন কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন প্রতিমন্ত্রী ডা: এনামুর রহমান। সাভার থানা যুবলীগের উদ্যোগে আয়োজিত পশু কোরবানি ও গোশত বিতরণ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে যুবলীগের এমন মানবিক কার্যক্রমের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন। ‘রাউন্ড দ্য ক্লক’ জনসংযোগে বিশ্বাসী ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের এই জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি নিজ এলাকার ভোটারদের সঙ্গে নিবিড় হৃদ্যতা গড়েছেন। ভোটের মাঠে অপ্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছেন।
উন্নয়ন ও শান্তির বরপুত্র হিসেবে জয়পুরহাট-২ আসনে পরিচিত আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন নিজ এলাকার ভোটারদের সঙ্গে ঈদ আনন্দে একাকার করেন নিজেকে। তিনি আক্কেলপুর উপজেলার জামালগঞ্জ বাজার ও ক্ষেতলাল উপজেলার হিন্দা বাজারে সর্বস্তরের জনসাধারণের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। আওয়ামী লীগের টানা ৫ বারের এই সাংগঠনিক সম্পাদক ভোটের মাঠে নিজের একক আধিপত্য ধরে রেখেছেন। তিনি সরকারের উন্নয়নচিত্র জনগণের সামনে তুলে ধরে নৌকা প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করেছেন বিনয়াবনত কন্ঠে।
আওয়ামী লীগের ৫ বারের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন ও বিএম মোজাম্মেল হক ঈদ করেছেন তাঁদের নিজ নিজ এলাকায়। দলটির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুস সবুর ঢাকায় ঈদ করে নির্বাচনী এলাকায় যান। ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন নিজ নির্বাচনী এলাকা চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় ঈদ উদযাপন করেছেন।
রাজশাহী-৬ আসনের সংসদ সদস্য ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম তার নির্বাচনী এলাকা (চারঘাট-বাঘায়) দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। ঈদের আগের দিন ও পরদিন শুক্রবার দিনব্যাপী তিনি এই শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। ঈদের আগের দিন সন্ধ্যায় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে বসে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। মন্ত্রী চারঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এরপর রাতে বাঘার আড়ানী বাসভবনে পৌঁছালে সেখানেও শত-শত মানুষ ও দলীয় নেতা-কর্মীরা তার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছ বিনিময় করেন।
রূপসা-তেরখাদা-দিঘলিয়া উপজেলা নিয়ে গঠিত খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় দলের এক সময়ের নন্দিত ফুটবলার আব্দুস সালাম মুর্শেদী প্রতি সপ্তাহেই ছুটেন নিজের নির্বাচনী এলাকায়। বরাবরের মতো এবারও তিনি ঈদ করেছেন নিজের নির্বাচনী এলাকায়। ঈদুল আজহার দ্বিতীয় দিন শুক্রবার (৩০ জুন) রূপসা উপজেলার নৈহাটি ইউনিয়নের নৈহাটি গ্রামে নিজ বাড়িতে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে দিনব্যাপী ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। নিজে উপস্থিত থেকে দু:স্থ-অসহায় ও ছিন্নমুল পরিবারের মাঝে কুরবানীর মাংস বিতরণ করেন এবং ঈদ শুভেচ্ছা অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকল অতিথিদের আপ্যায়িত করেন। নিজ নির্বাচনী এলাকার পাশাপাশি দেশজুড়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ বিশাল ক্যানভাসে ভোটারদের সামনে তুলে ধরেছেন।
কালের আলো/এমএএএমকে