নবির ফিফটিতে আফগানিস্তানের লড়াকু পুঁজি

প্রকাশিতঃ 8:23 pm | July 14, 2023

স্পোর্টস ডেস্ক, কালের আলো:

শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের ইঙ্গিত ছিল আফগানিস্তানের ব্যাটিংয়ে। তবে পরপর তিন ওভারে উইকেট হারিয়ে এরপর তারা বেশ ধুঁকছিল। সেখান থেকে দলকে জোর কদমে এগিয়ে নিয়ে গেছেন অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নবি। তিনি পেয়েছেন আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির চতুর্থ ফিফটি। এছাড়া ১৮ বলে আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের ৩৩ রানের ক্যামিও সফরকারীদের লড়াকু পুঁজি এনে দিয়েছে। নির্ধারিত ওভার শেষে ৭ উইকেটে তাদের সংগ্রহ ১৫৪ রান।

ম্যাচের শুরুতে দ্রুত রান তুললেও, ম্যাচের মাঝামাঝিতে তারা কিছুটা হোঁচটই খেয়েছিল। কিন্তু শেষ ৫ ওভারে আফগানিস্তান তুলেছে ৬০ রান। এতে অবশ্য নবির চার-ছক্কার সঙ্গে বাড়তি হিসেবে ছিল টাইগারদের বিশৃঙ্খল ফিল্ডিং। শুরু থেকে বডি ল্যাঙ্গুয়েজ এবং প্রাণপণে চেষ্টা করতে থাকা ফিল্ডার শেষদিকে খেই হারিয়েছেন। ফলে রান-আউট হাতছাড়া হওয়া ছাড়াও অতিরিক্ত রান পেয়েছে সফরকারীরা।

এর আগে আজ (শুক্রবার) সিলেটে বৃষ্টির শঙ্কা মাথায় নিয়ে টসে নামে দল দুটির অধিনায়করা। পরবর্তীতে টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন সাকিব আল হাসান। শুরুটা ভালোভাবেই করেছিলেন টাইগার বোলার নাসুম আহমেদ ও তাসকিন আহমেদ। দুই ওভারে আফগানরা ১০ রান তোলে। তবে এরপরই তারা খুলে মারতে থাকেন। পরপর দুই ওভারে দুটি ছক্কা মেরে আফগান ওপেনাররা টাইগারদের চেপে ধরতে চেয়েছিলেন। সেই মেজাজই কাল হলো তাদের। নাসুম আহমেদের করা তৃতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলেই আউট হজরুতউল্লাহ জাজাই। দলীয় ১৭ রানেই তারা প্রথম উইকেট হারায়।

এর আগের ওভারেও দারুণ ক্যাচের সুযোগ তৈরি করেছিলেন তাসকিন। তার বলে অফসাইডে তুলে মেরেছিলেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ। দৌড়ে গিয়ে দারুণ লাফে সেটি লুফেও নেন রনি তালুকদার। কিন্তু তার শরীর মাটি ছুঁতেই তার দুর্দান্ত সেই চেষ্টা বিফলে যায়। সতীর্থরা তার পিঠ চাপড়ে দিলেও তখন ক্যাচ-মিসের আক্ষেপে পুড়ছেন রনি।

শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক হতে চাচ্ছিলেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ। দুই বল আগেও তিনি তাসকিনের বলে চার হাঁকিয়েছিলেন। পরের বল ডট, তার আগ্রাসী ভঙ্গি দেখেই পরের বলটা স্লোয়ার দেন তাসকিন। আর তাতেই বড় শট খেলতে গিয়ে গুরবাজ ধরা পড়লেন বাউন্ডারিতে। তিনি ফেরেন ১৬ রান (১১ বল) করে। এর পরের ওভারে ফের শরীফুলের আঘাত শর্ট লেংথের বলে খোঁচা দিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন ইব্রাহিম জাদরান।

পরপর তিন ওভারে তিন উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে আফগানিস্তান। কিন্তু তবুও যেন তাড়াহুড়ো করছিলেন দলটির ব্যাটাররা। দ্রুত উইকেট হারালেও পরবর্তী ব্যাটাররা স্ট্রাইক করে খেলছিলেন। এক সময় ৭-এর ওপরে গড় থাকা দলটি ১১ ওভার শেষে ৬ গড়ে তুলতে ৬৬ রান। লাগামটা মূলত টেনে ধরেন সাকিব-মুস্তাফিজ। তবে সেটি বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। সাকিব করিম জানাতকে ফেরানোর পর, নবি জুটি বাধেন নাজিবউল্লাহ জাদরানের সঙ্গে। দুজনের জুটিতে আসে ৩৫ রান। এরপর মেহেদী মিরাজের বলে কাট করতে গিয়ে ব্যাটের কানা ছুঁয়ে লিটনের হাতে ধরা পড়েন নাজিব। ২৩ বলে ২৩ রান করেন তিনি।

পরবর্তীতে নবির সঙ্গে বেশ ভালো সঙ্গ দিয়েছেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। তার ১৮ বলে ৩৩ রানের ক্যামিও আফগানদের বিপর্যয় দারুণ কাটিয়ে দেয়। শেষদিকে হাত খুলে মারতে থাকেন নবিও। শেষ পর্যন্ত ৪০ বলে তিনি ৫৪ রানে অপরাজিত ছিলেন।

বাংলাদেশের হয়ে সাকিব সর্বোচ্চ দুটি উইকেট নেন। এছাড়া মুস্তাফিজ, শরীফুল, নাসুম ও মিরাজ নিয়েছেন একটি করে উইকেট।

কালের আলো/এমএইচ/এসবি