ঔপনিবেশিকতার চিহ্ন মুছে হাইকোর্টের অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত

প্রকাশিতঃ 7:30 pm | July 25, 2023

বিশেষ সংবাদদাতা, কালের আলো:

ব্রিটিশরা চলে গেছে অনেক আগেই। কিন্তু তাদের চাপিয়ে দেওয়া অভ্যাস বা রেওয়াজ বহমান। মামলার শুনানির সময় পুরনো অভ্যাস বদলাতে ঔপনিবেশিকতার চিহ্ন মুছে এবার নতুন এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ।

মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) সংশ্লিষ্ট বিচারপতিদের ‘মাই লর্ড’ বা ‘লর্ডশিপ’ বলতে বারণ করে ‘ইওর অনার’ বা ‘স্যার’ সম্বোধন করার নির্দেশনা প্রদান করেছেন হাইকোর্টের ওই বেঞ্চ। শুধু তাই নয়, এ বিষয়ে আদালত কক্ষের বাইরে এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তিও টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে।

হাইকোর্টের একটি বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারক শুনানিতে অংশ নেওয়া আইনজীবীদের উদ্দেশ করে বলেন, ‘দাসত্বের সময় নেই, প্রভুরা চলে গেছে।’ একই সঙ্গে বিচারক সংশ্লিষ্ট বেঞ্চ অফিসারকে আদালত কক্ষের বাইরে এই সংক্রান্ত নোটিশ টানাতে নির্দেশ দেন।

পরে এই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘‘অত্র বেঞ্চে (বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ) বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিজ্ঞ আইনজীবীদের ‘মাই লর্ড’-এর স্থলে ‘ইওর অনার’ বা ‘স্যার’ সম্বোধন করার নির্দেশ প্রদান করা হলো।’

বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চের এই নির্দেশনাকে প্রশংসনীয় প্রচেষ্টা বলছেন বিজ্ঞ আইনজীবীরা। তাদের ভাষ্য হচ্ছে- ‘মাই লর্ড সম্বোধনের মধ্যে কোথাও একটা পরাধীনতার বোধ অনুভূত হয়। ব্রিটিশরা চলে গেলেও তাদের চাপিয়ে দেওয়া অভ্যাস এখনও বয়ে নিয়ে চলার কোনো কারণ নেই। আইনজীবীদেরও ‘স্যার’ সম্বোধনের সুযোগ দিয়ে হাইকোর্ট বেঞ্চ অনুকরণীয় এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।’

কালের আলো/এমএএএমকে