নির্ভয়ে ভোট দিতে যাওয়ার আহবান সেনাপ্রধানের
প্রকাশিতঃ 5:31 pm | December 29, 2018
নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলোঃ
সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেছেন, আপনারা নির্ভয়ে ভোট দিতে যাবেন। আমরা আশেপাশেই থাকবো। আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করবো, কেউ যেন কোনো অরাজকতা সৃষ্টি করতে না পারে।
শনিবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর আজিমপুর কমিউনিটি সেন্টারে সেনাবাহিনীর ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ আহ্বান জানান।
সারাদেশে নির্বাচনী নিরাপত্তায় প্রায় ৫০ হাজার সেনাসদস্য মোতায়েন রয়েছেন জানিয়ে বাহিনী প্রধান বলেন, মোতায়েন হওয়া সেনাসদস্যরা নিয়মিত টহল দিচ্ছেন। প্রয়োজনে স্বল্প সময়ে আরও সদস্য মোতায়েনের জন্য প্রত্যেকটি ক্যান্টনমেন্টে পর্যাপ্ত সেনাসদস্য স্ট্যান্ডবাই রয়েছেন।
তিনি ভোটারদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা নির্ভয়ে ভোট দিতে যাবেন। আমরা আশাপাশেই থাকবো। আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করবো, কেউ যেন কোনো অরাজকতা সৃষ্টি করতে না পারে। সেনাপ্রধান বলেন, আমি বিভিন্ন ডিভিশন ইতোমধ্যে ভিজিট করেছি। বিভিন্ন জেলায় গিয়েছিলাম। প্রত্যেকটি জায়গায় ডিভিশনাল কমিশনার, ডিআইজি, এসপি, ডিসি, কোথাও কোথাও রিটার্নিং কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বিজিবি, র্যাব কর্মকর্তারাও ছিলেন। নির্বাচনের সার্বিক নিরাপত্তা নিয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলেছি।
জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেন, গত ৫-৭ দিন ধরে সারাদেশ ঘুরে যতোটা অভিজ্ঞতা আমার হয়েছে, বিগত ৪৭ বছরে এতো শান্ত ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ আমরা দেখিনি। নির্বাচনের আর মাত্র একদিন বাকি, এমন সময়ে বিগত বছরগুলোতে কিছু না কিছু সহিংসতা ঘটেছে। এবারও যে একদম হয়নি তা নয়, তবে তা এবার খুবই কম। ‘আমি সেনাপ্রধান হিসেবে বলবো, চমৎকার পরিবেশ, যেটা বিশেষ করে ঢাকার বাইরে দেখে এসেছি। সবাই আশ্বস্ত করেছে যে, অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে এবার নির্বাচন হবে। কোনো থ্রেট আছে কি-না তা সবার কাছ থেকে জানার চেষ্টা করেছি। যেন সেনাবাহিনী দিয়ে সেখানে যে ঝুঁকি বা বিপদের বা ভয়ের আশঙ্কা আছে তা কমিয়ে নিয়ে আসতে পারি। সীমান্ত এলাকাগুলোর আমি সেনাবাহিনীর টহল বৃদ্ধির নির্দেশনা দিয়েছি। যেন ওই জায়গাগুলোতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়।’
সেনাপ্রধান বলেন, সারাদেশে যেখানে সংখ্যালঘু এলাকা আছে, তারা যেন যার যার ভোট কেন্দ্রে এসে ভোট দিতে পারে সে আশ্বাস দেওয়ার জন্য আমাদের সেনাবাহিনীর টহলগুলো ওই এলাকাগুলোতে যাচ্ছে। নির্বাচনের পরেও তাদের যেন কোনো ধরনের সমস্যা না হয়। কারণ অতীতে দেখেছি, নির্বাচনে যারা হেরে যায় তারা সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ করে। এ ব্যাপারে আমরা অনেক সতর্ক থাকবো।
কালের আলো/এমএইচএ