অবিচল আস্থার জন্য ধন্যবাদ, দেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ সেনাপ্রধানের কন্ঠে

প্রকাশিতঃ 9:36 pm | August 27, 2023

বিশেষ সংবাদদাতা, কালের আলো:

মাটির তলদেশ থেকে আকাশ পর্যন্ত উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ। বন্দর নগরী চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশে দেশের প্রথম সুড়ঙ্গপথ বঙ্গবন্ধু ট্যানেল। পদ্মা সেতু ও মেট্রোরেলের মতো মেগা প্রকল্পে বদলে গেছে দেশের চেহারা। অপ্রতিরোধ্য অগ্রগতিতে এগিয়ে চলা বাংলাদেশ আজ ‘উন্নয়ন বিস্ময়’। অভূতপূর্ব এসব উন্নয়নের ধারাপাত উচ্চারিত হলো বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ড.এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ’র কন্ঠে।

রোববার (২৭ আগস্ট) ঢাকা সেনানিবাসস্থ আর্মি মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্সে সেনাবাহিনীতে প্রশংসনীয় কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ৭ সেনাসদস্যকে সেনাবাহিনী প্রধানের প্রশংসাপত্র (অপারেশনাল ও নন-অপারেশনাল) প্রদান অনুষ্ঠানে ৫৩ বছরে পা রাখা উন্নয়নশীল বিশ্বের ‘রোলমডেল’ বাংলাদেশের বাস্তবিক এসব চিত্র মোটাদাগে উপস্থাপন করেন তিনি।

সেনাপ্রধান জেনারেল ড.এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশে অভূতপূর্ব অনেক উন্নয়ন হয়েছে। কিছু কিছু আমাদের প্রজেক্ট আছে যেগুলো আমরা আগে কেবল কল্পনা করেছি। বাস্তবে হবে তা কখনোই ভাবিনি। বাংলাদেশেও সমুদ্রের তলেদেশে পানির নিচ দিয়ে সুড়ঙ্গপথ হবে, যানবাহন চলাচল করবে, পদ্মা সেতুর ওপর ব্রিজ হবে, মেট্রোরেল হবে- এগুলো এখন বাস্তব।’

আন্ত:বাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, এদিন সেনাপ্রধান সেনাবাহিনীতে প্রশংসনীয় কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ৭ জন সেনাসদস্যকে সেনাবাহিনী প্রধানের প্রশংসাপত্র (অপারেশনাল ও নন-অপারেশনাল) প্রদান করেন। একই সঙ্গে তাদের ইনসিগনিয়া পরিয়ে দেন। এছাড়াও তিনি ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে সেনাসদর পর্যায়ে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল বাস্তবায়নের জন্য পুরস্কার প্রাপ্ত ১৪ জন সেনাসদস্যকে ক্রেস্ট ও সনদপত্র বিতরণ করেন।

আইএসপিআর আরও জানায়, সেনাবাহিনীতে কর্তব্যনিষ্ঠা, আনুগত্য, দেশপ্রেম, দৃষ্টান্তমূলক ও দুঃসাহসিক কার্যকলাপের স্বীকৃতিস্বরূপ অপারেশনাল ও নন-অপারেশনাল সফলতার জন্য সেনাবাহিনী প্রধানের প্রশংসাপত্র ও ইনসিগনিয়া প্রাপ্তির জন্য বিবেচনা করা হয়। এছাড়াও, বাংলাদেশ সরকারের বাস্তবায়িত শুদ্ধাচার চর্চাকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল পুরস্কার প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ অসামান্য কর্মদক্ষতার স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সেনাসদস্যদের অত্যন্ত উঁচু মনোবল, কর্মস্পৃহা, দেশপ্রেম ও দায়িত্বের প্রতি অবিচল আস্থার জন্য ধন্যবাদ জানান। তিনি আরও বলেন, ‘তাদের এই স্পৃহা সকলের জন্য পাথেয়।’ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সকল সদস্যদের এই ধরনের অনুকরণীয় কাজের জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন।

এ প্রসঙ্গে সেনাপ্রধান আরও বলেন, ‘জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল পুরস্কার এটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর একটি নিজস্ব ঐকান্তিক ইনিশিয়েটিভ। যার ফলশ্রুতিতে আমরাও মনে করেছি যে এই পুরস্কারটা এতো নিভৃতে দিলে হবে না। এটা এমনভাবে দিতে হবে যাতে সবার চোখে পড়ে। এবং উদ্দেশ্য একটাই অন্যের ভেতর যাতে অনুপ্রেরণা সৃষ্টি করে।’

আইএসপিআর জানায়, বাংলাদেশ সরকারের বাস্তবায়িত শুদ্ধাচার চর্চাকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে সেনাবাহিনীতে এই বছর মোট ২৬০ জন জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল পুরস্কার প্রাপ্ত হন। এছাড়াও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে দ্বিতীয়বারের মত আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে ‘সেনাবাহিনী প্রধানের প্রশংসাপত্র ও ইনসিগনিয়া’ এবং ‘জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল পুরস্কার’ প্রদান করা হয়।

এ সময় সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ (সিজিএস) লেফটেন্যান্ট জেনারেল আতাউল হাকিম সারওয়ার হাসান, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, সেনাবাহিনীর কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল (কিউএমজি) লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো.সাইফুল আলমসহ জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

কালের আলো/এমএএএমকে