পাকিস্তানের পতাকা নিয়ে খালেদার মুক্তি দাবি যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র!
প্রকাশিতঃ 2:28 am | September 24, 2023
বিশেষ সংবাদদাতা, কালের আলো:
দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসাসহ বিভিন্ন দাবিতে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুক্তরাষ্ট্র সফরের প্রতিবাদ জানিয়ে শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রে বিক্ষোভ করেছে বিএনপি। নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সামনে সেকেন্ড এভিনিউতে এই বিক্ষোভে পাকিস্তানের পতাকার উপস্থিতি সবকিছু ছাপিয়ে আলোচনার অগ্রভাগে ঠাঁই করে নিয়েছে। বিশেষ করে দলীয় প্রধানের জন্য বিক্ষোভে কেন এবং কী কারণে পাকিস্তানের পতাকা নিয়ে তাঁরা অংশ নিলেন এ নিয়েও সব পরিমণ্ডলে চলছে নেতিবাচক সমালোচনা।
জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্রে বিএনপির এই বিক্ষোভে জামাতের নেতাকর্মীদের উপস্থিতিও ছিল লক্ষণীয়। ওইদিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত তারা সেখানে বিক্ষোভ করেন। বিক্ষোভে খালেদা ও তারেকের ছবিসহ কেউ কেউ পাকিস্তানের পতাকা নিয়ে আসেন।
সূত্র জানায়, বিএনপির পাকপ্রেম নতুন নয় মোটেও। দলটির প্রতিষ্ঠাতা অবৈধ সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে জাতীয় পতাকা ও জাতীয় সংগীত পরিবর্তন করতে চেয়েছিলেন। তিনি পাকিস্তানি ভাব ধারায় পাকিস্তান জিন্দাবাদের মতো বাংলাদেশ জিন্দাবাদ করেছিলেন। একই ভাবধারায় বেতারের নাম বাংলাদেশ বেতার পরিবর্তন করে রেডিও বাংলাদেশ করা হয়েছিল। শুধু তাই নয়, বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর ১৯৭৬ সালের ৭ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এক ইসলামিক জলসায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেনারেল জিয়ার ডেপুটি এয়ার ভাইস মার্শাল এমজি তোয়াব। সেই জলসায় সভাপতিত্ব করেন সদ্য প্রয়াত যুদ্ধাপরাধী দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী। জলসার স্লোগান ছিল: ‘তোয়াব ভাই তোয়াব ভাই, চাঁন-তারা পতাকা চাই’!
সামাজিক মাধ্যমেও আলোচিত হচ্ছে- বিএনপি সৃষ্টির পেছনেও পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের ভূমিকা ছিল বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এমনকি আইএসআইয়ের প্রধান স্বীকারও করেছিলেন, ২০০১ সালে বিএনপিকে নির্বাচনে জেতার জন্য তারা আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সামনে সেকেন্ড এভিনিউতে বিএনপির বিক্ষোভে পাকিস্তানের পতাকা নিয়ে দলটির নেতাকর্মীদের উপস্থিতি আরও একবার তাদের পেয়ারে পাকিস্তান চরিত্রকেই বিশ্বের সামনে উন্মোচন করলো।
সূত্র জানায়, খালেদা জিয়া, ড. ইউনূসসহ কয়েকটি ইস্যুতে বিএনপি জামাতপন্থিরা জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনকে ঘিরে বাংলাদেশ বিরোধী অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা লবিস্টের মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে আওয়ামী লীগ এবং সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থা নিতে প্ররোচিত করে। তাদের মূল লক্ষ্য আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে জাতিসংঘ যেন সরাসরি হস্তক্ষেপ করে। কিন্তু দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের প্রতিটি মানুষ এমন অপতৎপরতা রুখে দিতে প্রস্তুত।
কালের আলো/আরআই/এমএ