প্রিয় নেতাকে শুধু এক পলক দেখার জন্য
প্রকাশিতঃ 8:39 pm | January 05, 2019
নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:
সন্ধ্যা থেকেই রাজধানীর ২১ বেইলি রোডের বাসার সামনে মানুষের ভিড় ছিল। সন্ধ্যা ৭টা বাজার আগমুহূর্তে ভিড় বাড়তে থাকে আরও। ৭টায় আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসনমন্ত্রীর মরদেহ তার বাসায় আসলে লেগে যায় হুড়োহুড়ি।
মরদেহ গাড়ি থেকে না নামিয়ে গাড়ির ভেতরে প্রিয় নেতাকে দেখার ব্যবস্থা করা হয়। সুশৃঙ্খল ব্যবস্থাপনা না থাকায় মরদেহবাহী গাড়িতে মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়ে। কেউ কেউ প্রিয় নেতাকে দেখার পরও মরদেহের সামনে বেশি সময় অবস্থান করে।
এ রকম পরিস্থিতিতে জটলা তৈরি হলে মরদেহবাহী গাড়ির পেছনের দরজা বন্ধ করে দেয়া হয়।
প্রথম দিকে জটলার কারণে মরদেহের কাছে যেতে না পেরে অনেকেই ফিরে যান। তবে কেউ কেউ ভিড়ের মধ্যেই প্রিয় নেতাকে দেখে নেন ও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
পেছনের দরজা বন্ধ করে দেয়া হলেও মরদেহ বাসায় অবস্থানের মাঝামাঝি সময়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ও রাশেদ খান মেনন শ্রদ্ধা নিবেদন করতে আসলে গাড়ির যে পাশে সৈয়দ আশরাফের মুখ রয়েছে, সেই অংশ খুলে দেয়া হয়।
এই তিন থেকে পাঁচ মিনিট সময়ে যারা কাছে যেতে পেরেছেন, তারাই কেবল গ্লাসের ওপর দিয়ে প্রিয় নেতার মুখ দেখতে পেরেছেন। শেষের দিকে সুশৃঙ্খলভাবে মানুষজন শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
৮টা ১১ মিনিটে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত শ্রদ্ধা নিবেদন করতে দেখা যায়। ৮টা ১৫ মিনিটের দিকে আশরাফের ছেলে আশরাফুল ইসলাম টিটু বলেন কাঁদতে কাঁদতে, ‘আপনারা যদি দয়া করে একটু জায়গা করে দেন, তাহলে আমাদের পরিবারের মহিলারা দেখতে পারে।’
এর আগে শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় সৈয়দ আশরাফের মরদেহ বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের নেতারা বিমানবন্দরে সৈয়দ আশরাফের কফিন গ্রহণ করেন।
এরপর তার মরদেহ সন্ধ্যা ৭টায় বেইলি রোডের সরকারি বাসভবনে নেয়া হয়। সেখান থেকে রাতে মরদেহ সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) হিমঘরে রাখার জন্য নিয়ে যাওয়া হবে।
কালের আলো/এএ/এমএইচএ