পদ্মায় রেলের দুয়ার খুললেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিতঃ 3:38 pm | October 10, 2023

কালের আলো রিপোর্ট:

আরও একটি অবিশ্বাস্য স্বপ্নের স্বার্থক বাস্তবায়ন। স্বপ্নের পদ্মা সেতুতে বাসের পরে এবার খুলেছে রেল চলাচলের পথ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্বোধনের মধ্যে দিয়ে এবার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। ট্রেনে পদ্মা পাড়ি দিয়ে নতুন ইতিহাস গড়লেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ গতিতে ঘণ্টায় প্রায় ১২০ কিলোমিটার বেগে ট্রেন ছুটবে ৮২ কিলোমিটারের এই পথে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) সকাল ১১টায় মাওয়া রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছান। দুপুর ১২টা ৫২ মিনিটে ট্রেনের টিকিট কাটেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগে ১২টা ৫৪ মিনিটে সবুজ পতাকা নেড়ে এই ট্রেন সার্ভিসের উদ্বোধন করেন তিনি। এরপর তিনি ট্রেনে ওঠেন। দুপুর ১২টা ৫৯ মিনিটে ট্রেনটি মাওয়া স্টেশন থেকে ফরিদপুরের উদ্দেশে রওনা হয়। প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী উদ্বোধনী ট্রেনটিও সাজানো হয় রঙ-বেরঙের ফেস্টুন ও ফুলে। উদ্বোধনের পরে মাওয়া প্রান্ত থেকে ছোট বোন শেখ রেহানা, নাতি-নাতনিদের সঙ্গে ট্রেনে চড়ে ভাঙ্গা স্টেশনে পৌঁছেন। সেখানে থেকে ভাঙ্গায় আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় বক্তব্য রাখেন সরকারপ্রধান।

রিকশা চালক, দিনমজুর থেকে শুরু করে রাজনৈতিক নেতা-মন্ত্রীসহ প্রায় সব শ্রেণি-পেশার মানুষ ট্রেনে প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর ৫০ জন সফর সঙ্গীর মধ্যে ছিলেন- বীরমুক্তিযোদ্ধা ৪ জন, প্রাথমিক ছাত্রছাত্রী ৪ জন, প্রাথমিক শিক্ষক ১ জন, মাদ্রাসা ছাত্রছাত্রী ৩ জন, ইমাম ১ জন, মাদ্রাসা শিক্ষক ১ জন, ক্ষুদ্র নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠী ২ জন, হিন্দু ধর্মাবলম্বী ১ জন, বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী ১ জন, খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী ১ জন, রিকশাচালক ১ জন, কৃষক ১ জন, নারী কৃষক ১ জন, গার্মেন্টসকর্মী ১ জন, ফেরিচালক ১ জন, মাঝি ১ জন, মেট্রোরেল কন্ট্রোলার ১, জন, টিটিই ১ জন, ট্রেন চালক ১ জন, স্টেশন মাস্টার ১ জন, ওয়েম্যান ১ জন, বাসচালক ১ জন, হকার ১ জন, সবজি বিক্রেতা ১ জন, পাটকল শ্রমিক ১, নার্স ১ জন, দিনমজুর ১ জন, জেলা আনসার ও ভিডিপি ১ জন, ভিডিপি ১ জন, পুলিশ ১ জন, ফায়ার সার্ভিস ১ জন, স্কাউট ১ জন, বিএনসিসি ১ জন, র‌্যাব ১ জন, রেল পুলিশ ১ জন, সেনা বাহিনীর ১ জন, নৌ বাহিনীর ১ জন, বিমান বাহিনীর ১ জন, বিজিবি ১ জন, কোস্টগার্ড ১ জন এবং আরএনবির ১ জন সদস্য।

জনসভায় যোগদান শেষে প্রধানমন্ত্রী ফরিদপুর থেকে গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায় যান। সেখানে বঙ্গবন্ধুর মাজার প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ, ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাতে অংশ নেবেন শেখ হাসিনা। টুঙ্গিপাড়ায় নিজ বাড়িতে রাত্রিযাপন করবেন তিনি।

যোগাযোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পদ্মা সেতুর হয়ে ঢাকা-যশোর রেলপথ নির্মাণের মাধ্যমে ঢাকার সাথে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার সরাসরি যুক্ত হবে। এই রেলপথের মাধ্যমে নতুন চারটি জেলা মুন্সীগঞ্জ, শরীয়তপুর, মাদারীপুর ও নড়াইল রেল সংযোগ স্থাপিত হয়েছে। একইসঙ্গে আন্তঃদেশীয় রেল যোগাযোগে ঘটবে বিপ্লব। ঢাকা থেকে সরাসরি কলকাতা যোগাযোগ নিশ্চিত হবে। আর আখাউড়া আগরতলা রেলপথের মাধ্যমে ভারতের দুই নগরী কলকাতা ও আগারতলার দূরত্ব কমে আসবে মাত্র ৫৫০ কিলোমিটারে।

এর আগে গত ১৫ সেপ্টেম্বর পরীক্ষামূলকভাবে পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে ট্রেন চালানো হয়। পরের দিন চালানো হয় মালবাহী ট্রেন। এরই মধ্যে ১২০ কিলোমিটার গতিতেও এ রুটে ট্রেন চালানো হয়েছে, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে ট্রেনের সর্বোচ্চ গতি।

দক্ষিণের ২১ জেলায় রেল যোগাযোগে নতুন দিগন্ত
বহুল কাঙ্ক্ষিত পদ্মা রেল সেতু উদ্বোধনের ফলে এই সেতুতে ট্রেন চলাচলের মধ্য দিয়ে দক্ষিণের ২১ জেলায় রেল যোগাযোগে নতুন দিগন্ত স্থাপিত হয়েছে। এখন সাধারণ মানুষ ভোগান্তিবিহীন আর স্বল্প সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবে রেল সেতুর ওপর দিয়ে। অন্যান্য যানবাহনের তুলনায় ট্রেন যাত্রা নিরাপদ ও সাশ্রয়ী। পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগ খুলে যাওয়ায় মানুষ এখন নিরাপদ ও সাশ্রয়ে ট্রেনে যাতায়াত করতে পারবে।

পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে ট্রেন চালু হওয়ায় দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের মধ্যে অবারিত আনন্দের ফল্গুধারা তৈরি হয়েছে বলে মন্তব্য করেন খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের অন্যতম সদস্য আব্দুস সালাম মূর্শেদী। তিনি বলেন, এটি দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের জন্য প্রধানমন্ত্রীর আরও একটি বড় উপহার। পদ্মায় রেল যোগাযোগ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অর্থনীতিতে নতুন গতির সঞ্চার করবে। সড়ক পথে যানজট অনেকটা কমে আসবে। অনেক চাকরিজীবী, শিক্ষার্থী, চিকিৎসাপ্রত্যাশীরা সহজে স্বল্প খরচে ঢাকায় যাওয়া-আসা করতে পারবেন।

সরকারি বিএল কলেজের শিক্ষার্থী রিয়াদ হোসেন বলেন, অধিকাংশ শুক্রবার রাজধানীতে আমাদের চাকরির পরীক্ষা থাকে। ট্রেনে তুলনামূলক ভাড়া কম থাকলেও দীর্ঘ সময় লাগার কারণে আমরা রেলপথে যেতে পারি না। পদ্মা সেতু দিয়ে ট্রেন চলাচল শুরু হওয়ায় দক্ষিণবঙ্গে আমরা যারা পড়াশোনা করি তাদের জন্য নতুন দ্বার উন্মোচন হলো। স্বল্প সময়ে আমরা ঢাকাতে গিয়ে পরীক্ষা বা অন্যান্য কাজ শেষ করে আবার একই দিনে ফিরতে পারবো।

রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের ভোগান্তি কমিয়ে নতুন স্বপ্ন নিয়ে পদ্মা সেতু চালু হয়েছিল। আর রেলসেতু চালুর মধ্য দিয়ে তা পূর্ণাঙ্গতা পেল। ঢাকা থেকে খুলনাগামী আন্তঃনগর ট্রেন সুন্দরবন এক্সপ্রেস পদ্মা সেতু হয়ে যাবে। ভাঙ্গা থেকে ট্রেনটি রাজবাড়ী, পাটুরিয়া, কুষ্টিয়ার পোড়াদহ ও যশোর হয়ে খুলনায় যাবে। বর্তমানে ট্রেনটি বঙ্গবন্ধু সেতু, ঈশ্বরদী, কুষ্টিয়া হয়ে চলাচল করে।

উচ্ছ্বসিত লোকো মাস্টার আবুল কাশেম
লোকো মাস্টার (চালক) আবুল কাশেম বাংলাদেশ রেলওয়েতে চাকরি করছেন প্রায় ২০ বছর। কিন্তু তাঁর বড় অর্জন, স্বপ্ন পূরণের দিন ছিল মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর)। তিনি বলেন, আজ আমাদের আনন্দের দিন। স্বপ্ন পূরণের দিন। রেলে আমরা যারা কাজ করি, আমাদের স্বপ্নের দিন। কারণ আজ আমাদের ট্রেনে যাত্রী সাধারণের সঙ্গে সফরসঙ্গী হয়েছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি আরও বলেন, এ অনুভূতি আনন্দের, উৎসাহের। প্রধানমন্ত্রী আমাদের ট্রেনে চড়েছেন এটাই আমার কাছে চাকরি জীবনে বড় প্রাপ্তি। এটা ভাষায় প্রকাশ করার মতো না, আমরা গর্বিত। এই পদ্মা সেতু তৈরির জন্য প্রধানমন্ত্রী অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন। প্রথমে হবে কি হবে না এমন দ্বিধাদ্বন্দ্ব ছিলো। প্রধানমন্ত্রী চেয়েছেন বলেই সম্ভব হয়েছে।

পদ্মা সেতু দিয়ে চলবে পাঁচ ট্রেন
প্রাথমিকভাবে শুরুতে পদ্মা সেতু দিয়ে পাঁচটি যাত্রীবাহী ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। রেলওয়ে সূত্র জানায়, এই পাঁচটি ট্রেনের মধ্যে- খুলনা-ঢাকা রুটের দুইটি আন্তঃনগর ট্রেন চিত্রা, ঢাকা-বেনাপোল রুটের বেনাপোল এক্সপ্রেস বর্তমান রুট পরিবর্তন করে পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকায় চলাচল করবে। এদিকে, ঢাকা-কলকাতা রুটের আন্তর্জাতিক ট্রেন মৈত্রী এক্সপ্রেসও রুট পরিবর্তন করে পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকায় চলাচল করবে। প্রস্তাবনায় আরও বলা হয়েছে, রাজশাহী থেকে গোপালগঞ্জ পর্যন্ত চলাচল করা আন্তঃনগর ট্রেন মধুমতি এক্সপ্রেস ট্রেনটিকেও রাজশাহী থেকে ভাঙ্গা হয়ে পদ্মা সেতু দিয়ে ঢাকা রুটে চালু করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি খুলনা থেকে গোয়ালন্দ রুটে চলাচলকারী মেইল ট্রেন নকশিকাঁথা এক্সপ্রেসকে ভাঙ্গা হয়ে পদ্মা সেতু দিয়ে ঢাকায় আনার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

রেল নেটওয়ার্কে যুক্ত নতুন ৩ জেলা
বাংলাদেশের ৬৪ জেলার মধ্যে এতোদিন ৪৩টি জেলায় রেলপথ চালু ছিল। পদ্মা রেল সংযোগ প্রকল্পের ঢাকা-ভাঙ্গা অংশের উদ্বোধনের মাধ্যমে আরও তিন জেলা যুক্ত হল দেশের রেল নেটওয়ার্কে। এই তিন জেলা হলো মুন্সিগঞ্জ, মাদারীপুর ও শরীয়তপুর।

মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাওয়া রেলওয়ে স্টেশন থেকে উদ্বোধনী ট্রেনে চড়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা রেলস্টেশনে যাতায়াতের মাধ্যমে চালু হলো এ রেলপথ। ৬৪ জেলার মধ্যে বর্তমানে ১৮ জেলায় রেলপথ সংযোগ হয়নি। জেলাগুলোকে সরকার ২০৪৫ সালের মধ্যে রেলপথের আওতায় আনতে চায়। জেলাসমূহ হলো কক্সবাজার, নড়াইল, সাতক্ষীরা, মেহেরপুর, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, শেরপুর, মানিকগঞ্জ, মাগুরা, লক্ষ্মীপুর ও বাগেরহাট। আর একমাত্র বিভাগ হিসেবে বরিশালের ছয় জেলা- বরিশাল, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, পিরোজপুর ও ঝালকাঠি।

নভেম্বর মাসের উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ের আরও দুই প্রকল্প। খুলনা-মোংলা রেল প্রকল্প ও দোহাজারী-কক্সবাজার রেল প্রকল্প।

দোহাজারী-কক্সবাজার রেল প্রকল্পের মাধ্যমে পর্যটন নগরী কক্সবাজার রেল সংযোগের আওতায় অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে। যার জন্যে অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় রয়েছে দেশের পর্যটনপ্রেমী জনতা। এই প্রকল্পের মাধ্যমে কক্সবাজারে ট্রেন চলাচল উদ্বোধন করা হবে ১২ নভেম্বর। এর মধ্যে দিয়েই কক্সবাজার জেলাও যুক্ত হবে দেশের রেল নেটওয়ার্কে।

অন্যদিকে ৯ নভেম্বর চার হাজার ২৬০ কোটি টাকায় মোংলা-খুলনা রেল প্রকল্পের মাধ্যমে নতুন করে রেল সংযোগে যুক্ত হচ্ছে বাগেরহাট জেলা। ৬৫ কিলোমিটার ব্রডগেজ রেলপথ নির্মাণের মাধ্যমে রেল করিডোরে যুক্ত হচ্ছে দেশের দ্বিতীয় সমুদ্রবন্দর মোংলা।

এর আগে, ১৯১৮ সালে চালু হওয়া খুলনা-বাগেরহাট রেলপথ ১৯৯৮ সালে লোকসানের দেখিয়ে পরিত্যক্ত ঘোষণা করে। আর ২০১২ সালে সব স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি নিলামে বিক্রি করে এই সেকশনকে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। ফলে বাগেরহাট জেলা রেল সংযোগ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।

এ রেলপথে চালু হলে ব্যবসা-বাণিজ্যে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে মন্তব্য করে রেলমন্ত্রী বলেন, মোংলা-খুলনা রেলপথ শুধু সারাদেশের সঙ্গে নয়, রেলপথটি আন্তর্জাতিক রেল রুট হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে। এর মধ্য দিয়ে বন্দরের ব্যবসা-বাণিজ্য গতিশীল হবে।

আর ২০২৪ সালে পদ্মা রেল সংযোগের পুরো প্রকল্পের উদ্বোধন হলে যুক্ত হবে নড়াইল। আর মধুখালি-মাগুরা রেলপথের উদ্বোধন হলে নতুন করে যুক্ত হবে মাগুরা জেলা। তারপর ধীরে ধীরে রেলওয়ের বেশ কয়েকটি প্রকল্পের মাধ্যমে যুক্ত হবে বাকি জেলাসমূহ। এসব জেলাকে রেলপথে সংযুক্ত করতে বিভিন্ন প্রকল্পের সমীক্ষার কার্যক্রম চলমান।

এরমধ্যে, প্রথম ধাপে সাতক্ষীরা, বরিশাল, রাঙ্গামাটি, ঝালকাঠি, পটুয়াখালী, বরগুনা, পিরোজপুর ও মেহেরপুর রেলপথের আওতায় আসবে। আর ২০৪৫ সালের মধ্যে সর্বশেষ ধাপে লক্ষ্মীপুর, শেরপুর, মানিকগঞ্জ, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি জেলা রেল সংযোগে যুক্ত হবে।

এ বিষয়ে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, বর্তমানে দেশে ৪৩টি জেলায় রেলপথ রয়েছে। পর্যায়ক্রমে বাকি জেলাগুলো কিভাবে রেল সংযোগে যুক্ত হবে সে সম্পর্কে রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, বর্তমানে যেসব প্রকল্পের সমীক্ষা সমাপ্ত হয়েছে সেসব প্রকল্পের আওতায় রেলপথ নির্মিত হলে আটটি জেলা রেল সংযোগের আওতায় আসবে। এই আট জেলা হচ্ছে সাতক্ষীরা, বরিশাল, রাঙ্গামাটি, ঝালকাঠি, পটুয়াখালী, বরগুনা, পিরোজপুর ও মেহেরপুর। অপরদিকে মানিকগঞ্জ জেলায় রেলপথ নির্মাণের সমীক্ষা কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন বলেও জানিয়েছেন রেল মন্ত্রী।

কালের আলো/এসবি/এমএম