যে কারণে আইসিসির দ্বারস্থ হবে অস্ট্রেলিয়া
প্রকাশিতঃ 4:31 pm | October 13, 2023
স্পোর্টস ডেস্ক, কালের আলো:
মাঠের ক্রিকেটে সময়টা ভালো যাচ্ছে ৫ বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার। বিশ্বকাপের প্রথম দুই ম্যাচে অজিদের হারতে হয়েছে বড় ব্যবধানে। ব্যাটে কিংবা বলে, এমন শোচনীয় অবস্থা আগে কখনোই দেখেনি অজিরা। বিশ্বকাপের সফলতম দলটিই এবার দুই রাউন্ড শেষে ধুঁকছে। পয়েন্ট টেবিলে আছে ৯ম স্থানে।
তবে পরাজয়ের ক্ষেত্রে নিজেদের ভাগ্যকেও কিছুটা দোষ দিতে পারে অস্ট্রেলিয়া। ভারতের বিপক্ষে খেলা হয়েছে নিম্নমানের এক পিচে। আর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচে ছিল বিতর্কিত সিদ্ধান্ত। দলের দুই নির্ভরযোগ্য তারকা স্টিভেন স্মিথ এবং মার্কাস স্টয়নিস, দুজনের আউটেই ছিল বিতর্ক। এর মাঝে স্টয়নিসের আউট নিয়ে তো আইসিসির দরবারেই যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই জানিয়েছেন দলের ব্যাটার মার্নাস ল্যাবুশেন। দক্ষিণ আফ্রিকার ৩১১ রান তাড়া করতে নেমে ১৮তম ওভারে আম্পায়ারের বিতর্কিত সিদ্ধান্তে সাজঘরে ফেরেন মার্কাস স্টয়নিস। এই আউটের মধ্য দিয়েই মূলত ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়েছিল অস্ট্রেলিয়া। কাগিসো রাবাদার বলটি লেগে খেলার চেষ্টা করেছিলেন স্টয়নিস। তবে গ্লাভস ছুঁয়ে বল চলে যায় উইকেটরক্ষকের কাছে। কট বিহাইন্ডের আবেদন মাঠের আম্পায়ার জোয়েল উইলসন ফিরিয়ে দিলে রিভিউ নেয় প্রোটিয়ারা। তৃতীয় আম্পায়ার রিচার্ড কেটেলবরো স্টয়নিসকে আউট ঘোষণা করেন আর এ সিদ্ধান্ত নিয়েই চলছে তুমুল বিতর্ক।
টিভি রিপ্লেতে দেখা গিয়েছে স্টয়নিসের ডান হাতের গ্লাভসে বল লেগেছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, বল তার গ্লাভসে লাগার সময় ডান হাত দিয়ে ব্যাট ধরে রেখেছিলেন কি না? ভিডিও রিপ্লেতে দেখে মনে হয়েছে, তখন স্টয়নিসের ডান হাতের সঙ্গে ব্যাটের সংস্পর্শ হয়নি। ক্রিকেটের নিয়ম অনুযায়ী, ডান হাত তখন যেহেতু ব্যাটের অংশ ছিল না, তাই ওটা আউটও নয়।
ম্যাচ শেষে এসব নিয়েই ক্ষুব্ধ মার্নাস ল্যাবুশেন বলেন, ‘তারা (আম্পায়ার) যেটা দেখার দেখেছে। তবে দেখে মনে হয়েছে বল গ্লাভস ছোঁয়ার সময় ব্যাটে তার হাতটা ছিল না। ক্যামেরা কিন্তু সাইডের অ্যাঙ্গেল থেকে ধরা হয়নি। মার্কাস ও আমি জানতে চেয়েছিলাম ওই অ্যাঙ্গেল থেকে পরীক্ষা করা হয়েছে কি না।
তারা (আম্পায়ার) যেটা দেখার দেখেছে। তবে দেখে মনে হয়েছে বল গ্লাভস ছোঁয়ার সময় ব্যাটে তার হাতটা ছিল না। ক্যামেরা কিন্তু সাইডের অ্যাঙ্গেল থেকে ধরা হয়নি। মার্কাস ও আমি জানতে চেয়েছিলাম ওই অ্যাঙ্গেল থেকে পরীক্ষা করা হয়েছে কি না। তারা “স্পাইকটা”(বল গ্লাভসে লাগার দাগ) দেখেছে সামনে থেকে। কিন্তু পাশ থেকে জুম করে দেখা হয়নি। তবে দুটি গ্লাভসের মধ্যে দিনের আলোর মতো পরিষ্কার ব্যবধান ছিল। আমি তৃতীয় আম্পায়ারের কক্ষে গিয়েছিলাম আর সেখানে স্ক্রিনও অনেক বড় ছিল।
আইসিসির কাছে ব্যাখ্যা চাওয়ার প্রসঙ্গে ল্যাবুশেন জানান, ‘ব্যাপারটা আসলেই বিভ্রান্তিকর এবং আমি নিশ্চিত এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দেওয়া হবে কিংবা আমরা ব্যাখ্যা চাইব। এটা তো বিশ্বকাপ, এমন টুর্নামেন্টে আমরা চাই না ছোটখাটো সিদ্ধান্তগুলোর জন্য ম্যাচের ফল পাল্টে যাবে, যেটা (সিদ্ধান্ত) এড়ানো যেত। এটাও ঠিক, আমরা তখন যে পরিস্থিতিতে ছিলাম তাতে সিদ্ধান্তটা ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে, তা বলা কঠিন। কিন্তু ভবিষ্যতের জন্য আমরা সিদ্ধান্তগুলো ঠিক করতে চাই।’
শেষ পর্যন্ত অবশ্য অজিদের আর ম্যাচে ফেরা হয়নি। ১৭৭ রানে অলআউট হয়েছিল তারা। ম্যাচটা তারা হেরে যায় ১৩৪ রানে। বিশ্বকাপে যা তাদের সবচেয়ে বড় ব্যবধানের হার।
কালের আলো/এসএম