নেতিবাচক আচরণে লিটনের ওপর মানসিক চাপ তৈরি হবে: ফাহিম

প্রকাশিতঃ 11:41 am | October 19, 2023

স্পোর্টস ডেস্ক, কালের আলো:

যদিও পরে তিনি কৃতকর্মের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন; কিন্তু তার আগে টিম হোটেল লবি থেকে নিরাপত্তা কর্মীকে ডেকে নিয়ে নিজ দেশের সাংবাদিকদের বের করে দিয়ে চরমভাবে সমালোচিত ও নিন্দিত হয়েছেন লিটন দাস। দেশের বাইরে বিশ্বকাপ খেলতে গিয়ে নিজ দেশের প্রচার মাধ্যমের সদস্যদের এভাবে হোটেল থেকে বের করা বড় ধরনের অপমানের সামিল।

ক্রিকেট অনুরাগী, ভক্ত ও সমর্থকদের বড় অংশের মূল্যায়ন, বিশ্বকাপের মতো আসরে স্বদেশি সাংবাদিকদের অসম্মান করে লিটন দাস মোটেই বড় হননি। নিজেই ছোট হয়েছেন। বিকেএসপি থেকে পাস করা লিটন দাসের এমন নেতিবাচক আচরণে যারপরনাই হতাশ ও ক্ষুব্ধ বিকেএসপির সাবেক ক্রিকেট কোচ ও বর্তমান চিফ টেকনিক্যাল ডিরেক্টর নাজমুল আবেদিন ফাহিম।

দেশের ক্রিকেটের পরিচিত মুখ প্রশিক্ষক, ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ ও বিশ্লেষক নাজমুল আবেদিন ফাহিম মনে করেন, লিটনের এ আচরণ একদমই অনাকাঙ্ক্ষিত ও অনভিপ্রেত।
বধবার বিকেলে জাগো নিউজের সঙ্গে আলাপে ফাহিম বলেন, ‘এমন নয়, এটা শোনা কথা। উড়ো খবর বা গুজব। টিভিতেই দেখাই গেছে লিটন কী করেছে। তার আচরণ কতটা নেতিবাচক ছিল।’

ফাহিম যোগ করেন, ‘এরপর লিটন যেহেতু ভুলের জন্য দুঃখপ্রকাশ করে ক্ষমা চেয়েছে, তাতে আরও প্রমাণ হয়েছে, সে কাজটা করেছে। বিদেশের মাটিতে নিজ দেশের সাংবাদিকদের সঙ্গে এমন ব্যবহার খুবই দুঃখজনক। নিজ দেশের প্রচার মাধ্যমকে একটি বিশ্বআসরে ছোট করা গর্হিত অন্যায়। ভবিষ্যতে এ ধরনের আচরণ করার আগে চিন্তা-ভাবনা করতে হবে লিটনকে। আমি আশা করবো এমন কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকবে সে।’

কোচ ফাহিম মনে করেন, লিটন যে আচরণ করেছে, তাতে তার শুধু ইমেজই ক্ষুণ্ন হয়নি। তার ক্যারিয়ারের, বিশেষ করে বিশ্বকাপ পারফরমেন্সও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তার ব্যাখ্যা, ‘কারণ এমন নেতিবাচক আচরণ করে কোনো লাভ হয় না। লিটন দাসেরও কোনো লাভ হবে না। বরং তাতে করে নিজের ভেতরে অপরাধবোধ জাগে এবং সর্বোপরি ভেতরে একটা চাপও বাড়ে।’

বিকেএসপির চিফ টেকনিক্যাল ডিরেক্টরের অনুভব, ‘চাপ যত বাড়বে খেলার ওপর তত নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। পারফরমেন্স তত খারাপ হবে।’
ফাহিমের পরামর্শ, ‘বরং কী করলে চাপমুক্ত হয়ে ভালো ও স্বাভাবিক পারফর্ম করা যায়, তাতেই মনোযোগী থাকা উত্তম লিটনের। তার পাশাপাশি বাকি সবারও সেদিকেই সবার নজর থাকা উচিত।’

ফাহিম জাতীয় দলের সব ক্রিকেটারের কাছ থেকে দায়বদ্ধতা ও দায়িত্ববোধের আশা করছেন। তার শেষ কথা, ‘সব জাতীয় ক্রিকেটারের দায়বদ্ধতা ও দায়িত্ববোধের পরিচয় দেয়া উচিত।’
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে ৭৬ রানের বড় ইনিংস খেললেও আফগানিস্তান এবং নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাকি ২ ম্যাচে একদমই রান নেই (১৩ আর ০) লিটন দাসের ব্যাটে। নিজ দেশের সাংবাদিকদের অপমান করে এ ওপেনার নিশ্চয়ই আরও বড় মানসিক চাপে পড়ে গেছেন।সে চাপ সামলে তার ভালো করা সত্যিই কঠিন হবে কি না, তা আজই বোঝা যাবে হয়তো। লিটন কি সাকিবের মতো সব চাপ সামলে উঠে ব্যাট হাতে নিজেকে মেলে ধরতে পারবেন? সেটাই দেখার।

কালের আলো/এসএম